দিনাজপুরের বীরগঞ্জ, হাকিমপুরসহ বিভিন্ন বাজারে মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর দেখা মিললেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বাজারে সরবরাহ তুলনায় নতুন আলুর চাহিদা অনেক বেশী তাই দামও বেশী। তবে বাজারে আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
হাকিমপুরে দুদিন আগেও প্রতি কেজি আলুর দাম ৮০ টাকা ছিল কিন্তু রবিবার তা ৬০ টাকায় নেমে আসে। আবার দিনাজপুর শহরের বাজারে প্রতি কেজি ১২০ টাকা বিক্রি হলেও তা নেমে এসেছে প্রতি কেজী ৬০-৭০ টাকায়। দাম বেশি হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ কিনতে না পারলেও ব্যবসায়ীদের দাবি ২/১ সপ্তাহের মধ্যেই মাঠ থেকে আগাম জাতের নতুন আলু বাজারে সরবরাহ বাড়লেই দাম কমে যাবে।
অবশ্য দাম ভাল পাওয়ার আশায় বাজারে আগাম এসেছে অপরিপক্ক নতুন আলু। তবে এ মাসের শেষের দিকে বাজারে আগাম জাতের আলুর সরবরাহ বাড়বে এবং দামও ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে আসবে বলে ব্যবসায়ীরা জানায়।
কৃষকরা বলছেন, এটি আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করলেও এখনও অনেকে আলু রোপন করছেন কিংবা মাঠে রয়েছে।
আরমানসহ কয়েকজন ক্রেতা বলছেন, শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় বাজারে আসা নতুন আলু বাজারের প্রতিটি সবজির দোকানে অন্যান্য সবজির সঙ্গে দেখা যায়। আলুর দাম বেশি হলেও ক্রেতারা নতুন আলুর স্বাদ নিতে কমবেশি কিনছেন। পুরাতন আলুর স্বাদের তুলনায় স্বাদ অনেক বেশি নতুন আলুতে, সবজি, মাছ দিয়ে রান্নায় অনেক মজা তাই দাম বেশী দিয়েই এই আলু কিনছেন অনেকে।
বাজার করতে আসা মোসলেমা বেগম জানান, দুই দিন আগেও তিনি বাজারে এসে নতুন আলু ১২০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলেন। এখন সেই আলু ৬০ টাকা কেজি। আশা করছি, বাজার সুষ্ঠুভাবে তদারক করলে প্রতিটি পণ্যই কম দামে কিনতে পারবো।
বিক্রেতা সাঈদ জানায়, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে শীতকালীন সবজি সরবরাহ রয়েছে। দাম রয়েছে নাগালের মধ্যে। তবে অন্যান্য সবজির চেয়ে নতুন আলুর দাম কিছুটা বেশি। প্রথমদিকে অন্য জেলা থেকে নতুন আলু আশায় দাম বেশী থাকে। তবে এখানকার আলু উঠা শুরু হলে দাম কমে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ