উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালের শিশু বিভাগে বেড়েছে রোগীর চাপ। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর প্রতিনিয়ত আসছেন চিকিৎসা নিতে। এদিকে হাসপাতালগুলোয় শিশু রোগীর চাপ আগের চেয়ে বেড়ে যাওয়ায় শয্যাসংকটে অনেকটা গাদাগাদি পরিবেশে চলছে চিকিৎসা। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে গেলে এমনি চিত্রটি চোখে পড়ে।
যানা যায়, রাতে ঠাণ্ডা দিনে গরম, আবহাওয়ার এমনি পরিবর্তনে ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগ। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শয্যা মাত্র ৪৫টি হলেও প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জনের বেশি রোগী আসছেন এখানে চিকিৎসনা নিতে। বর্তমানে ২শ ৩৫ জন রোগী সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সারেজমিনে দেখা যায়, জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন স্বজনরা। রোগীর চাপ বাড়ায় শয্যাসংকটে অনেকটা গাদাগাদি পরিবেশে চলছে চিকিৎসা। শিশু ওয়াার্ডের বারান্দা কিংবা মেঝে সবখানেই রোগী ভর্তি। রোগীর স্বজনরা বলছেন, সিট পাওয়া যাচ্ছে না শিশু বিভাগে। এক বিছানায় থাকতে হচ্ছে ৪/৫জন শিশুকে নিয়ে। অনেকে ওয়ার্ডের বারান্দা কিংবা মেঝে থেকেই রোগীর চিকিৎসা করাচ্ছেন।
হাসপাতালের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়সহ নানা রোগে ২৩৫ জন শিশু ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া ৬২ ও নিউমোনিয়ায় ৩৫ জন ও অন্য শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
হাসপাতালে শিশুকে নিয়ে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, হঠাৎ শিশুর বমি, সর্দি ও সাথে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এরপর শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ও গত দুই দিন ধরে আছেন। কিন্তু হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক। তিনি শয্যা (বিছানা) না পেয়ে অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে মেঝেতে রয়েছেন। তার মতো আরো অনেকেই হাসপাতালের ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আবু মোঃ রাজীব-উল-দোজা (তূর্য) বলেন, ঠাণ্ডা বাড়ার কারণে হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল রোগীদের সাধ্যমতো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে এখন মা দের একটু সচেতন হতে হবে। বাঁচ্চাদের যেন ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন