চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভিতরে পুলিশের সামনেই নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সুজন গাজী নামের এক যুবক। মঙ্গলবার রাতে থানার ২য় তলার সিঁড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত সুজন গাজীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে, সেখান কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সুজন গাজী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল শহরের পুরাণবাজার রঘুনাথপুর এলাকার মিজান গাজী নামের এক ব্যক্তি তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে হারিয়ে গেছে বলে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন।
মঙ্গলবার ওই স্কুলছাত্রীকে শহরের বিষ্ণুদী এলাকায় সুজন গাজীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় এবং সুজন গাজীর মাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। রাত ৯টায় যুবক সুজন গাজী থানায় আসলে এস আই আব্দুল আলিম তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায় সুজন গাজী তার প্যান্টের পকেটে থাকা ছুরি বের করে পেটে ডুকিয়ে দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াছিন আরাফাত বলেন, স্কুলছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় একটি ডায়রী করা হয়েছিল। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ওই স্কুলছাত্রী যে ছেলের সঙ্গে চলে গিয়েছিল, সেই সুজন গাজীকে খবর দেওয়া হয়। সে থানায় এসে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে থাকে। ওই স্কুল ছাত্রীকে কেন থানায় নিয়ে আসা হয়েছে জানতে চেয়েছে। একপর্যায়ে সুজন গাজী প্যান্টের পকেটে থাকা ছুরি নিজের পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মো: মহসীন আলম জানান, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/এএম