গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর, খাবার নষ্ট ও মারধরের অভিযোগে করা মামলায় দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। একই দিন বিকালে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান শরীফ ও পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর পাটগাতীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর, খাবার নষ্ট ও মারধর অভিযোগের মামলায় সংশ্লিষ্টতা থাকায় তাদের আটক করা হয়েছে। সোমবার বিকালে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এরআগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও এস এম জিলানীর ভাতিজা জুলকার শেখ বাদী হয়ে ২৯ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে টুঙ্গিপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরো ৪০-৫০ জনকে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীর টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতীর নিজ বাড়িতে অতিথিদের সাথে খাওয়া-দাওয়ার কর্মসূচি ছিল। বিকাল ৪ টায় তার গাড়িবহর সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া পৌঁছালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা করে। পরে তিনি গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা ফিরে যান।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ওই ঘটনার জের ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এস এম জিলানীর বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আসবাবপত্র ও দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। এছাড়া মেহমানদের জন্য রান্না করে রাখা খাবার নষ্ট করে দেয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন