শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অভিশপ্ত বাড়ি..!

এটি কোনো গল্প নয়। বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া। আমাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল। ক’দিন আগে বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামে গিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য- বাড়ি নির্মাণ। যে কথা সে কাজ। শুরু হয়ে গেল বাড়ির নির্মাণ প্রক্রিয়া। আমরাও ঢাকায় ফিরে আসি। এখান থেকেই চলছিল বাড়ির কাজের তদারকি। মাঝে মাঝে গিয়ে দেখে আসতাম। দেড় মাস বাদে শেষ হলো- বাড়ির নির্মাণ। আমরা তখন ঢাকায়। বাড়িতে যাওয়া হয়নি। আসলে বাবার ব্যস্ততায় সুযোগ হচ্ছিল না। হঠাৎ এক দিন বাড়ির এক প্রতিবেশী ফোন করলেন। কুশলাদি বিনিময়ের পর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, বাড়িতে কী কেউ থাকে? আমরা বললাম না। প্রতিবেশী অবাক হয়ে বললেন, সত্যিই কেউ না! বাবা বললেন, কী হয়েছে খুলে বলুন তো! প্রতিবেশী বলতে লাগলেন, গত রাতে বাড়ির উঠোনে পায়চারি করছিলাম। অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ। আপনাদের বাড়িতে চোখ গেল। নিস্তব্ধ অদ্ভুত লাগছিল বাড়িটি। হঠাৎ বাড়ির ভিতর থেকে ঘর পরিষ্কারের আওয়াজ পেলাম। কিছুটা অবাকও হলাম। অন্ধকার বাড়ি। কিন্তু শব্দ ভেসে আসছে। ভাবলাম, নিশ্চয়ই বাড়িতে কেউ আছে। এড়িয়ে গেলাম। পর দিন দিনের আলোয় দেখলাম, বাড়িটি একদম সুনশান। কেউ নেই। প্রতিবেশীর কথা শুনে আমরাও চিন্তায় পড়ে গেলাম। বাড়িতে আবার চোর এলো না তো? দুদিন পর প্রতিবেশী আবারও ফোন করলেন। এবারও একই কথা বললেন। সে রাতের মতোই ঘর পরিষ্কারের শব্দ। এতো রাতে অন্ধকারে কে ঘর পরিষ্কার করবে? আমরা বুঝতে পারলাম অশরীরী আছে বাড়িতে। বাবা এক কবিরাজের শরণাপন্ন হন। সব শুনে তিনি বলেন, ‘এটা ভৌতিক ব্যাপার হতে পারে’। পর দিন কবিরাজ তদবির করে জানালেন, ‘সে বাড়িতে প্রেতাত্মা রয়েছে। সেখানে নাকি অনেক আগে এক লোককে জ্যান্ত কবর দেওয়া হয়েছিল। সেই থেকে আজ অব্দি এই সমস্যা’। তিনি বলেন, ‘আমি সে বাড়িতে যাব। তিন দিন পর আমরা বাড়িতে গেলাম। কবিরাজও এলেন। সব দেখে বললেন, ‘কেউ আমাদের দেখছে। তাছাড়া বাড়িটাও বেশ অন্ধকার’। তারপর কবিরাজ দোয়া-দুরুদ পড়লেন। দরজায় লাল সুতা বেঁধে দিলেন। সবশেষে বললেন, ‘ভিতরে যেন কেউ প্রবেশ না করে’। আমরাও বাড়ি থেকে ঢাকা ফিরে এলাম।

লিখেছে : আহনাফ আলম আবিদ, সপ্তম শ্রেণি, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর