শিশুখাদ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় শতভাগ মার্জিন প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু কোনো কোনো ব্যাংক খাদ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও পানীয়ের তালিকায় ফেলে শিশুখাদ্যে শতভাগ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, শিশুখাদ্য আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার নির্ধারণ করতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এ বিষয়ে জারি করা সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে ডলার সংকটের কারণে আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এক নির্দেশনায় কিছু পণ্যে শতভাগ এবং কিছু পণ্যে ৭৫ শতাংশ এলসি মার্জিন নির্ধারণ করা হয়। তবে সরকার পতনের পর গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর গাড়ি, স্বর্ণ, মদ, তামাকসহ ১৪ ধরনের বিলাসী পণ্য ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে এলসি মার্জিনের শর্ত শিথিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব পণ্য ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ এলসি মার্জিন নির্ধারণ করা যাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বরের ওই নির্দেশনায় উল্লিখিত ‘নন-সিরিয়াল ফুড’ তথা অশস্য খাদ্যপণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়ের তালিকায় অত্যাবশ্যকীয় শিশুখাদ্যকে অন্তর্ভুক্ত করে কিছু ব্যাংক শতভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণে বাধ্যবাধকতা আরোপ করছে। এখন স্পষ্টীকরণ করা যাচ্ছে, ওই নির্দেশনায় উল্লিখিত পণ্যের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় শিশুখাদ্য অন্তর্ভুক্ত হবে না।
এ সার্কুলারের ফলে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুবিধাজনক পন্থায় শতভাগ মার্জিন ছাড়াই শিশুখাদ্য আমদানি করতে পারবে।