বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিনিয়র এসপি, জুনিয়র ডিসি!

আরিফুর রহমান দোলন

সিনিয়র এসপি, জুনিয়র ডিসি!

কে বেশি প্রভাবশালী-  জেলা প্রশাসক নাকি পুলিশ সুপার? গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে মাঝেমধ্যে কখনো প্রকাশ্যে কখনো অপ্রকাশ্যে জেলা পর্যায়ে প্রশ্নটি ঘুরেফিরে আসছে। জেলা প্রশাসক সরকারিভাবে জেলা প্রশাসনের এক নম্বর কর্তাব্যক্তি। একসময়ের মীমাংসিত এ বিষয়টি এখনো কাগজে-কলমে স্বীকৃত। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে কোনো কোনো জেলায় পুলিশ সুপারের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের তিক্ত সম্পর্কের রসায়ন এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, এ নিয়ে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একাধিক চিঠি চালাচালি হয়েছে।

জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সভায় পুলিশ সুপার নিজে সচরাচর যান না। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার মর্যাদার কোনো কর্মকর্তার জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করা এখন এক প্রকার রীতি। যেসব জেলায় ডিসি-এসপির সম্পর্কের রসায়ন যথেষ্ট বোঝাপড়ার সেসব জেলায়ও জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কোনো সভায় কালেভদ্রে পুলিশ সুপারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

যে জেলা প্রশাসক একসময় পুলিশ সুপারের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) লিখতেন সেই ডিসিকে এখন ডিসি সাহেব সম্বোধন করাই সংগত মনে করা হয়। যদিও দীর্ঘ সময়ের রীতিই হলো জেলা প্রশাসক সব সময় বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে পুলিশ সুপারের সিনিয়র হন। যেহেতু জেলা প্রশাসককে জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের সঙ্গে নানা কাজের সমন্বয় করতে হয়, তাই কখনো এ রীতি ভাঙা হয়নি।

বিগত ১৯৯৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেশ কয়েকটি জেলায় অবশ্য প্রশাসন ও পুলিশের ’৭৩ ব্যাচের (বিসিএস) ডিসি-এসপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসকের চেয়ে পুলিশ সুপার চাকরিতে সিনিয়রÑ এমন পদায়ন কখনই কোনো সরকারের সময় হয়নি।

জেলা প্রশাসনে সেই অস্বস্তিকর ঘটনাও ঘটছে এবার। প্রথমবারের মতো বেশ কয়েকটি জেলায় পুলিশ সুপারের চেয়ে চাকরিতে কনিষ্ঠ প্রশাসক ক্যাডারের এমন কর্মকর্তাদের সম্প্রতি জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের অনেকেরই নজরে এসেছে। বিষয়টি স্বাভাবিক নাকি নিতান্তই কাকতালীয়- এ কানাঘুষার সঙ্গে উভয় ক্যাডারের মাঠ পর্যায়ের সম্পর্ককে কতখানি স্বস্তিকর পর্যায়ে রাখবে সেই প্রশ্নের জন্মও দিচ্ছে? প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট যেসব কর্তাব্যক্তি এসব পদায়নের সঙ্গে জড়িত তারা জেনে-বুঝেই এই পদায়নে ভূমিকা রেখেছেন, নাকি যাকে জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করা হচ্ছে তিনি সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের চেয়ে কনিষ্ঠ নাকি জ্যেষ্ঠ?- তা আমলেই নেননি!

আবার এমনও হতে পারে যে, অসাবধানতাবশত এ ঘটনা ঘটেছে। যদি অসাবধানতাবশতও হয় তাহলে জনপ্রশাসন পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের বিবেচনাবোধ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠবেই। কারণ ইতিমধ্যে জনপ্রশাসনের অন্দরে এ আলোচনা শুরু হয়েছে যে, জুনিয়র ডিসি সিনিয়র পুলিশ সুপার একই জেলায় কর্মরত থাকলে মাঠ প্রশাসনের ভারসাম্য ঝুঁঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ দুই, তিন বা তার চেয়েও সিনিয়র ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের জেলা প্রশাসককেই যেখানে অনেক পুলিশ সুপার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে গড়িমসি করেন বলে শোনা যায়, সেখানে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের চেয়ে পুলিশ সুপার যদি চাকরিতে সিনিয়র হন তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। এমনটাই মনে করেন জনপ্রশাসন-সংশ্লিষ্টরা। আর এ ঘটনার ফলাফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী, যা সরকারকে নানামুখী বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।

ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান বিসিএস (পুলিশ) ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা। নেত্রকোনা ও নীলফামারীর পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালনের পর তৃতীয় জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ফরিদপুরে কর্মরত আছেন।

গত ১১ জুন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের একান্ত সচিব অতুল সরকারকে। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২১তম ব্যাচের কর্মকর্তা অতুল সরকার স্মার্ট কর্মকর্তা হিসেবেই খ্যাত। কিন্তু ফরিদপুর জেলায় তাকে কাজ করতে হবে এক ব্যাচ সিনিয়র পুলিশ সুপারের সঙ্গে।

একই ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের ক্ষেত্রেও। সেখানকার পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান খান বিসিএস (পুলিশ) ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা। নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে যিনি নিয়োগ পেয়েছেন, শাহিদা বেগম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২১তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

আরও কয়েকটি জেলার ক্ষেত্রেও এমন উদাহরণ টানা যাবে, যেখানে বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসের সদস্য হিসেবে পুলিশ সুপার জেলা প্রশাসকের চেয়ে সিনিয়র। বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করতে হবে এ কারণে যে, জেলা পর্যায়ে ডিসি-এসপি পদটি এমনই যে উভয় পদে আসীনের ব্যক্তিগত বা প্রফেশনাল সম্পর্কের রসায়ন যাই হোক, প্রতিনিয়তই জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ নানা বিষয়ে তাদের সরাসরি কথা বলতে হয়।

এই সিনিয়রিটি-জুনিয়রিটি উভয় কর্মকর্তার স্বাভাবিক যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোয় বাড়তি চাপের কারণ হবে কিনা সেটিই মূলত সংশ্লিষ্টদের চিন্তায় এসেছে। ডিসি ও এসপি পদের কর্মকর্তাদের কারও কারও অহং (ইগো) বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে চলে আসায় চাকরিতে উভয়ের সিনিয়রিটি-জুনিয়রিটির বিষয়টি আর উপেক্ষার বিষয় নয়।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসক পদে পুলিশ সুপারের চেয়ে জুনিয়র প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাকে পদায়ন করে জেনে-বুঝেই বিতর্ক উসকে দেওয়া হলো কিনা!

এসব পদায়নের ক্ষেত্রে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের নিশ্চয়ই নানা যুক্তি আছে। মোক্ষম একটি যুক্তি তো এই হতে পারে যে, পুলিশের ২০তম ব্যাচের ক্যাডার কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার কথা রয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে। তখন বিভিন্ন জেলায় ২০তম ব্যাচের যেসব পুলিশ সুপার অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাবেন তাদের প্রত্যাহার করা হবে। মাত্র তো কয়েক মাস! কিন্তু মাত্র কয়েক মাস বা কয়েক দিন হলেও তো সিনিয়র এসপি-জুনিয়র ডিসি একসঙ্গে কাজ করবেন! যে রেওয়াজ চালু করে দেওয়া হলো, এর প্রভাব কতটা সুদূরপ্রসারী হবে এই আগাম ভাবনা কি অমূলক? বিভিন্ন সময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের মধ্যকার সম্পর্কের তিক্ততার উদাহরণ এ কারণেই টানতে হচ্ছে।

২০১৪ সালে সিলেটের একটি উদাহরণ টানছি। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভায় উপস্থিত না থাকায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নালিশ করেন জেলা প্রশাসক।

২০১৪ সালের ২৯ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মো. মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বলা হয়Ñ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি, জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি, জেলা আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটি এবং জেলা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত টাস্কফোর্স সভার কোনোটিতে সংশ্লিষ্ট সদস্যের অনুপস্থিতি অথবা নিম্নতর পর্যায়ের কর্মকর্তার প্রতিনিধিত্ব সভার গুরুত্ব ও কার্যকারিতা লঘু করে দিচ্ছে। এর ফলে জনস্বার্থে গৃহীত সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

ওই বছরেরই ৯ মার্চ ও ২১ এপ্রিল সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় একটি প্রতিবেদন পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তাতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে জেলার আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় সিলেট জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (উত্তর ও দক্ষিণ সার্কেল), সহকারী পুলিশ সুপার (বিয়ানীবাজার-জকিগঞ্জ সার্কেল) উপস্থিত ছিলেন না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয় প্রতিবেদনে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা পায়।

এরপর একই বছরের ২১ জুন উল্লিখিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মঈন উল ইসলাম। এর ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের পক্ষে উপসচিব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান যুগ্মসচিব (পুলিশ)-এর কাছে ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন। এ নিয়ে তখন পুলিশের ভিতরে অসন্তুষ্টি ছিল।

এমন অনেক উদাহরণ টানা যাবে। পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলেছি বিভিন্ন সময়ে। সবারই এক মত, ‘জেলা প্রশাসকের সব বৈঠকেই উপস্থিত থাকা কি জরুরি? ডিসিদের সব নির্দেশ মানতে আমরা বাধ্য নই। তারা একেক সময় একেক নির্দেশ দেবেন আর পুলিশ তা মেনে নেবে, তা হতে পারে না। আমাদের তো ক্ষমতা আছে।’ মিলেমিশে কাজ করার ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ে ডিসি-এসপির মধ্যে কোথাও কোথাও মনস্তাত্ত্বিক রেষারেষি এভাবে কখনো প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ, নীতির যথাযথ প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আইনশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস দমনে মাঠ পর্যায়ে মূল ভূমিকা রাখে জেলা পুলিশ প্রশাসন। দুই পক্ষই নানা প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন সময় জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।

কিন্তু ’৯০-এর পর থেকে কখনো কখনো নিজেদের কাজের বাইরে গিয়ে অতিমাত্রায় ইনভলবড হয়ে যাওয়ার অভিযোগ কোনো কোনো ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় উঠেছে। বিভিন্ন সরকারের রাজনৈতিক দর্শনে কে কত বেশি পুরনো অনুসারী, কিংবা কে বেশি সংশ্লিষ্ট সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বেশি ভূমিকা রেখেছেন এ আলোচনা যখন কখনো কখনো ডিসি-এসপিদের দু-এক জন ঘনিষ্ঠ মহলে করেন ও পরবর্তীতে তা সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে জানান দেওয়ার চেষ্টাও হয়। এসব ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে স্বাভাবিক শৃঙ্খলা আশা করা যায় না। কারণ রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের কাছাকাছি যাওয়ার বা পরবর্তীতে বিশেষ আনুকূল্য পাওয়ার চেষ্টাও বোধ করি এর মাধ্যমে থাকে। না হলে জেলা পর্যায়ে ক্ষেত্রবিশেষ ডিসি-এসপিদের মধ্যে ক্ষমতা-চর্চার অসুস্থ প্রতিযোগিতার কথা আমাদের কেন শুনতে হবে? কেন গণমাধ্যমে এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন, কলাম লেখা হবে?

পাকিস্তান আমলের সিএসপিরা জেলা প্রশাসন থেকে উঠে আসার পর থেকেই মূলত জেলায় ডিসি-এসপিদের মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ ক্ষমতা, প্রভাব-প্রতিপত্তি নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে আসতে থাকে। যতই দিন যাচ্ছে ততই এ নিয়ে জট তৈরি হয়। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে চাকরিতে জেলায় পুলিশ সুপারের চেয়ে জুনিয়র জেলা প্রশাসককে পদায়ন করে কী বার্তা দেওয়া হলো! এটি কোনো বিতর্ককে উসকে দেবে, নাকি এতে মাঠ প্রশাসনের শৃঙ্খলায় কোনো ব্যত্যয় হবে না? এ নিয়ে আগামীতে জেলায় জেলায় কী ঘটবে জানি না। এমনও হতে পারে, নিয়োগ, বদলির আদেশ সংশোধন হবে। কিংবা আপাতদৃষ্টিতে আমাদের চোখে যেটি অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে তাও ঠিক করে দেওয়া হবে। কিন্তু সুকৌশলে এমন একটি উদাহরণও তৈরি করে দেওয়া হলো মাঠ পর্যায়ে ডিসি-এসপিদের সিনিয়রিটি কোনো ফ্যাক্টর নয়। দীর্ঘদিনের রীতি ভেঙে দেওয়ার এ উদ্যোগ হয়তো সাহসী কোনো পদক্ষেপও। কিন্তু এর প্রভাব মাঠ প্রশাসনের জন্য ইতিবাচক নাকি নেতিবাচক?

লেখক : সম্পাদক, দৈনিক ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস২৪ ডটকম ও সাপ্তাহিক এই সময়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর