শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা

ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা

দানবের বিরুদ্ধে জয়ী হোক মানুষ

মানবসভ্যতার ইতিহাস হার না মানার। মানুষের হার না মানা মনোভাবই তাকে প্রতিকূল অবস্থায় টিকে থাকতে সাহায্য করেছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও মানুষ জয়ী হবে। এজন্য চলছে ভ্যাকসিন ও ওষুধ তৈরির গবেষণ। বিজ্ঞানীরা মানবজাতিকে রক্ষায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ল্যাবরেটরিতে। তাদের আশা, করোনাভাইরাস যত ভয়ঙ্কর হোক না কেন তার ভ্যাকসিন ও নিরাময়ের ওষুধ আবিষ্কার হবেই। অস্ট্রেলিয়ার গবেষণাগারে করোনাভাইরাসের দুটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা শুরু করেছেন একদল গবেষক। এ দুটি ভ্যাকসিন প্রাণীর শরীরে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও মার্কিন সংস্থা ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে যুক্ত একদল গবেষক এ দুটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছেন। দুটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষা সফল হলেও তা বাজারে আসতে এখনো অনেকটা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। দুটি ভ্যাকসিন নিয়ে তিন স্তরের পরীক্ষা করা হবে। প্রথমে ইঁদুর, তারপর খরগোশ এবং শেষ ধাপে বাঁদরের শরীরে প্রয়োগ করে দেখা হবে। এ দুটি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ নিরাপদ কিনা এ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থা। চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ভারতসহ একাধিক দেশের বিজ্ঞানীরা এই মারণ ভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি দেশের গবেষকরাই বলেছেন, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতে কম করে ১২ থেকে ১৮ মাস লাগবে। কারণ, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরও ভ্যাকসিন ঘোষণা করার মাঝে অনেক ধাপ থাকে। সেগুলো পূরণ করতে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশের পর অতিদ্রুত জেনেটিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। যার জেরে এই মারণ ভাইরাসের গতিবিধি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে বিজ্ঞানীদের। আর পাঁচটা ভাইরাসের মতো করোনার চরিত্র স্থির থাকছে না। বিজ্ঞানীদের সাফল্যের ওপর যেহেতু মানবজাতির ভবিষ্যৎ নির্ভরশীল সেহেতু করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তারা জয়ী হবেন- এ শুভ কামনা বিশ্ববাসীর। আমাদের বিশ্বাস, অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জ মানুষকে মারণাস্ত্রের বদলে জীবন বাঁচানোর বিজ্ঞান গবেষণায় ব্রতী হতে আগ্রহী করবে।

সর্বশেষ খবর