শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সড়ক সংস্কারে যথেচ্ছতা

কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি কাম্য

দেশের বেশির ভাগ সড়ক নির্মাণ বা মেরামতে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারে সরকারি অর্থের অপচয় ঘটছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে মানসম্মত বিটুমিন উৎপাদন সত্ত্বেও মানহীন বিটুমিন আমদানি করা হচ্ছে বিদেশ থেকে। ঠিকাদারদের একাংশ অতিলাভের আশায় মানহীন বিটুমিন দিয়ে যেভাবেই হোক সড়ক নির্মাণ ও মেরামত করায় তার স্থায়িত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। জনমনে দেখা দিচ্ছে ক্ষোভ। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পর নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১৯ কিলোমিটার মেরামতের কাজ বন্ধ রয়েছে প্রায় দুই মাস ধরে। ফলে সড়ক ব্যবহাকারীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্মর্তব্য, নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ২০১৮ সালে জেলার শ্যামগঞ্জ থেকে কান্দুলিয়া পর্যন্ত ১০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ কিলোমিটার ওভারলে সিলকোট কার্পেটিংয়ের কার্যাদেশ পায় রাজধানীর তানভীর কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি প্রকল্পের কাজ শুরু করতেই দীর্ঘ সময় নেয়। প্রকল্পের কাজে পেট্রোবাংলার বিটুমিন ব্যবহারের কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নি¤œমানের বিটুমিন দিয়ে ওভারলে সিলকোটের কাজ সম্পন্ন করে। সড়কে ৬০ মিলি ওভারলে থিকনেসের কথা থাকলেও স্থানভেদে ৪৫ থেকে ৫০ মিলি পর্যন্ত ওভারলে কার্পেটিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেস্ট অব ওয়ানে ৭০ ভাগ পাথরের সঙ্গে ৩০ ভাগ বালু সংমিশ্রণের নির্দেশনা থাকলেও প্রকল্পের কাজে প্রায় ৬০ ভাগ বালুর সঙ্গে ৪০ ভাগ পাথর মিশ্রণের অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, সড়কের প্রাইমকোড করে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল ও বৃষ্টিপাতে তা নষ্ট হয়ে যায়। নষ্ট হওয়া জায়গাগুলো প্রাইমকোড রিপিয়ার ও বিটুমিন ছিটিয়ে টেককোড না করে ওভারলে কার্পেটিং করায় এর স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার এবং নির্মাণ ও মেরামত কাজে পুকুরচুরির কারণে দেশের কোনো সড়কেই সুস্থভাবে যানবাহন চলাচলের পরিবেশ নেই বললেই চলে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো হবে- আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর