শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

নকল ভেজালের দৌরাত্ম্য

নজরদারি বাড়াতে হবে

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে খাদ্যে ভেজালের সংবেদনশীল খবরগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পাঠকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে। হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ গত বছর নিম্নমানের ৫২ খাদ্যপণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিল। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে দেখেছি, হাই কোর্টের হস্তক্ষেপের পরও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পরিস্থিতির তেমন হেরফের ঘটেনি। অথচ সরকারি সংস্থার দ্বারা ভেজাল চিহ্নিত হওয়ার পরই উপযুক্ত সরকারি সংস্থা দায়ী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে, সেটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা। বুধবার রাজধানীতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে ভেজাল পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির অপরাধে আটটি কারখানা সিলগালা করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এসব কারখানার ১৮ জনকে কারাদন্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কারখানাগুলো থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার পণ্য জব্দ করা হয়। জানা গেছে, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির নকল ক্যাবল উৎপাদন ও নতুন মোড়কে হুবহু ব্র্যান্ডের লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত হচ্ছিল। নবাবপুরে অবস্থিত এসব কারখানার ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ৪০ লাখ টাকা জরিমানা ও প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের নকল বিদ্যুতের তার জব্দ করা হয়। অনুমোদনহীন এসব কারখানায় নামিদামি ব্র্যান্ডের নামে নকল ও মানহীন বৈদ্যুতিক ক্যাবল উৎপাদন করা হতো। অভিযান শেষে ছয়টি কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনে খাদ্য কর্তৃপক্ষকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মতো তৎক্ষণাৎ ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার দেওয়া হয়। ২০১১ ও ২০১২ সালে হাই কোর্টের দুটি বেঞ্চ মাছ ও ফলমূলে ফরমালিন মেশানোর বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছিল। নিরাপদ খাদ্য ও পণ্যের মান নিশ্চিতে বিএসটিআই ও ক্যাব যৌথভাবে ভোক্তা পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি, বিএসটিআইর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সেবার মান নিয়ে ভোগান্তি নিরসনে একযোগে কাজ নিলে নকল ভেজাল রোধে সাফল্য অর্জিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর