মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

বাজারে এলো আম

ফরমালিনের বিষয়ে সতর্ক থাকুন

জ্যৈষ্ঠ ফলের মাস। আম, জাম, জামরুলসহ নানা ফল ওঠে এ মাসে। তবে এ মাসের অন্যতম আকর্ষণ আম। আমকে বলা হয় ফলের রাজা। সবচেয়ে সুস্বাদু ও সুমিষ্ট ফল। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে আম উৎপাদন হলেও বাংলাদেশের ফজলি, ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙার সুনাম দেশের সীমানা ডিঙিয়ে অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৫০ বছরে দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেলেও আম উৎপাদন বেড়েছে কয়েক গুণ। চাষযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমলেও সুপরিকল্পিতভাবে আম উৎপাদন ৫০ বছরের ব্যবধানে কয়েক গুণ বেড়েছে। আম চাষ করে সমৃদ্ধির মুখ দেখেছে এমন পরিবারের সংখ্যা কম নয়। দেশের আম রাজ্যের রাজধানী রাজশাহী। এ বছর স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গুঁটি আম ইতিমধ্যে পাড়া শুরু হলেও একদিকে ঈদ অন্যদিকে লকডাউনের কারণে হাটগুলোয় ক্রেতা নেই। স্মর্তব্য, ৬ মে রাজশাহী জেলা প্রশাসন, আম বিশেষজ্ঞ, চাষি ও ব্যবসায়ীদের এক সভায় ১৫ মে থেকে গুটি জাতের আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। গোপালভোগ জাতের আম ২০ মে, লক্ষণভোগ বা লখনা ও রানীপছন্দ ২৫ মে এবং হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি ২৮ মে থেকে বাজারজাত করা যাবে। এ ছাড়া ৬ জুন থেকে ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে ফজলি ও আম্রপালি এবং ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা ও বারি-৪ আম নামানো যাবে। আম বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘গুটি আম সবার আগে পাকে। আঁশযুক্ত এ আমের স্বাদ তুলনামূলক কম তাই তেমন জনপ্রিয় নয়। গোপালভোগ, লখনা, ক্ষীরশাপাতি, ল্যাংড়া ও ফজলি জাতগুলো দেরিতে পাকে। তবে খরার কারণে এ বছর আম পাকতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। দাবদাহের কারণে আমের আকার ও ফলনেও প্রভাব পড়তে পারে।’ চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আম হয়েছে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হেক্টরপ্রতি ১১ দশমিক ৯ টন ধরে মোট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন। আম দেশের মানুষের পছন্দীয় একটি ফল। কিন্তু আম উৎপাদনে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, আম পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহার বিশেষত আম সংরক্ষণে ফরমালিনের ব্যবহার এ ফল সম্পর্কে ভোক্তাদের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে তীক্ষè নজর রাখতে হবে। আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের সচেতনতাও কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর