সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস

টিকা সংগ্রহে চোখ কান খোলা রাখতে হবে

প্রধানমন্ত্রী জাতিকে আশ্বস্ত করে বলেছেন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যত টাকা লাগুক টিকার ব্যবস্থা করা হবে। দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ নেতা সমাপনী ভাষণে আরও বলেছেন, টিকা প্রয়োগ শেষ হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিশ্ববাজারে চড়া দামে টিকা কেনা হলেও তা বিনামূল্যে জনগণকে দেওয়ার ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি তার সমাপনী ভাষণে গত ঈদে সরকারের বারণ সত্ত্বেও দলে দলে লোকজনের ঈদ পালনে বাড়িমুখী হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। সবাই যদি সরকারের পরামর্শ শুনতেন তবে এটা হতো না। সংসদে টিকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতিকে দৃঢ়কণ্ঠে যেভাবে আশ্বস্ত করেছেন তা স্বস্তিদায়ক ঘটনা। কারণ ভয়াবহ এ ভাইরাস প্রতিরোধে এখনো পর্যন্ত টিকাই সর্বোত্তম পন্থা। সরকার চীনের সঙ্গে ইতিমধ্যে দেড় কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি করেছে, অন্য সব উৎপাদনকারী দেশের সঙ্গে চুক্তির চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশি একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে এক কোটি ডোজ টিকা রাশিয়া থেকে আমদানি ও একই সঙ্গে তাদের অত্যাধুনিক কারখানায় কভিড-১৯ প্রতিরোধী রুশ টিকা উৎপাদনের প্রস্তাবও দিয়েছে। যা এখন সরকারের বিবেচনাধীন। বাংলাদেশ টিকা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে। কথা ছিল দেড় কোটি ডোজ টিকা দেবে তারা। জানুয়ারি মাস থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ টিকা বাংলাদেশে আসার কথা। কিন্তু ৭০ লাখ টিকা সরবরাহের পর কাঁচামাল সংকট এবং ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের হার ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সে দেশের সরকার টিকা রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত থেকে টিকা আসবে কি আসবে না তা নিশ্চিত নয়। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪৫ লাখ ডোজ টিকার চালান দেশে আসায় এ সংক্রান্ত সংকট আপাতত কেটে গেছে। রাশিয়া থেকে টিকা কেনা এবং দেশে টিকা উৎপাদন শুরু করা গেলে এ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার অবসান ঘটবে বলে আশা করা যায়। টিকা সংগ্রহের ক্ষেত্রে দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তার যথাযথ বাস্তবায়নে সরকার চোখ ও কান খোলা রাখবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর