শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১ আপডেট:

আওয়ামী লীগে ‘তুই রাজাকার’ বিতর্ক

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
আওয়ামী লীগে ‘তুই রাজাকার’ বিতর্ক

আওয়ামী লীগ এখন রাজাকার খোঁজায় ব্যস্ত। দলের তৃণমূল নেতারা একে অন্যকে ‘তুই রাজাকার’ বলেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না, তথ্য-প্রমাণসহ চিঠি দিচ্ছেন দলের হাইকমান্ডের কাছে। ‘রাজাকার’ নিয়ে অভিযোগের স্তুপ এখন দলের সভানেত্রীর কার্যালয়ে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজেই এক অনুষ্ঠানে বললেন, ‘আওয়ামী লীগে এখন একে অন্যকে রাজাকার বলছে।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য শুনে ‘বহুব্রীহি’ নাটকের কথা মনে পড়ে গেল। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বহুব্রীহি নাটকের কথা মনে আছে? আলী যাকের পাগলাটে মানুষ। নানারকম পাগলামি করেন। সিদ্ধান্ত নিলেন পোষা পাখিকে ‘তুই রাজাকার’ শেখাবেন। সেজন্যই টেপরেকর্ডারে তুই রাজাকার রেকর্ড করে পাখির কাছে অবিরত শোনানো হলো। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না। হতাশ আলী যাকের। এ সময় এলেন রাজাকার (আবুল হায়াত)। দেখে পাখি বলে উঠল ‘তুই রাজাকার’। হুমায়ূন আহমেদ এ নাটকটি লিখেছিলেন এমন একসময় যখন বাংলাদেশে রাজাকার, আলবদর, যুদ্ধাপরাধী ইত্যাদি শব্দগুলো নিষিদ্ধ ছিল। বেতার-টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ ছিল অপরাধ। পাঠ্যপুস্তক থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল ‘পাকিস্তান হানাদার বাহিনী’ কথাগুলো। ইতিহাস বিকৃতির এমনই একসময়ে হুমায়ূন আহমেদ ‘রাজাকার’ শব্দটি সামনে এনেছিলেন নিপুণ দক্ষতায়। ’৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশে ‘রাজাকার’ শব্দটিকে ঘৃণিত হিসেবে জনপ্রিয় করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ তাঁর বহুব্রীহি নাটকে। ১৯৯১ সালে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে জামায়াত প্রকাশ্যে তাদের দলের আমির ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয় মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ। শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। সে সময় তারুণ্যে ভরপুর ‘আজকের কাগজ’ একরাশ তরুণকে নিয়ে নতুন ধারার সাংবাদিকতা শুরু করে। ’৯১-এর ডিসেম্বরে ‘আজকের কাগজ’ প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তুই রাজাকার’ শিরোনাম দিয়ে ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের অপকর্মের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি প্রকাশ্যে আনে। ‘তুই রাজাকার’ শিরোনামে এ লেখার মূল আকর্ষণ ছিল শিশির ভট্টাচার্যের কার্টুন। একজন রাজাকারের কার্টুন, ’৭১-এ তার অপকর্মের ছোট্ট বর্ণনায় ‘তুই রাজাকার’ অসাধারণ জনপ্রিয়তা পায়। শেষ কার্টুন ছিল গোলাম আযমের। সারা দেশে হুমায়ূন আহমেদের ‘তুই রাজাকার’ শিশির ভট্টাচার্যের কার্টুনে নবজন্ম পায়। ‘তুই রাজাকার’ স্বাধীনতা -বিরোধীদের বিরুদ্ধে একটি জনপ্রিয় স্লোগানে পরিণত হয়। শহীদজননীর নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে গঠিত হয় ‘গণআদালত’। এটিই রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে প্রথম গণঅভ্যুত্থান। এ আন্দোলনে প্রধান সংগঠন ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের জন্যই ‘গণআদালত’ সফল হয়েছিল। আওয়ামী লীগ রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ করার অঙ্গীকার করেছিল। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগই একদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে।’ শহীদজননীর এ আন্দোলনকে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে তৎকালীন বিএনপি সরকার এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। ‘গণআদালত’ করার কারণে শহীদজননীসহ একাধিক বিশিষ্টজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করেছিল। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। ’৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিই বাংলাদেশে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ’৭৫-এর পর দেশবাসীকে সংগঠিত ও উদ্বুদ্ধ করে। আর এ আন্দোলনের প্রধান শক্তি ছিল আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এ দলটি রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার দাবি সামনে নিয়ে আসে। ১৯৯৬-২০০১ সালে না পারলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও শুরু করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনার সাহস ও দৃঢ়তার প্রমাণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় এটি বাংলাদেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এ বিচারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের পথে পা রেখেছিল। কিন্তু ১৩ বছর পর এখন আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘তুই রাজাকার’ ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগই তার দলের অন্য সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে ’৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধবিরোধিতার। অন্তত আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তা-ই মনে করেন। ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের ‘রাজাকার’ ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই এখন একে অন্যের দিকে রাজাকারের তকমা লাগানোর চেষ্টা করছেন।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যার সঙ্গে বনবে না তাকে বলবে রাজাকারের ছেলে অথবা বলবে রাজাকারের নাতি বা শান্তি কমিটির সদস্য ছিল তারা।’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, ‘এসব অভিযোগের স্তুপ হয়েছে আওয়ামী লীগে।’ ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগে বিতর্ক হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। দফায় দফায় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তির আসল পরিচয় জানিয়ে দিচ্ছেন, কেউ পুরনো ছবিও পোস্ট করছেন। এর সবই যে মিথ্যা তা নয়। কারণ ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড বেশ কিছু মনোনয়ন পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় আওয়ামী লীগে ‘রাজাকার’ গোষ্ঠী ঢুকে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যত প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাজাকারের অভিযোগ উঠেছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে তা লোম বাছতে কম্বল উজাড়ের মতো ঘটনা হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের মূল সুর অনুধাবন করলে বোঝা যায়, অনেক অভিযোগই অসত্য। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে করা। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার একটা সস্তা কৌশল। রাজাকার, বিএনপি বা জামায়াত বলে কাউকে কোণঠাসা করার কৌশলটি আওয়ামী লীগের কারও কারও পুরনো অভ্যাস। এ অভ্যাসটা এখন ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক কাজে নয়, প্রশাসনে, ব্যবসায় এ ব্যাধি সংক্রমিত হয়েছে। ধরা যাক, প্রশাসনে একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি মেধাবী, কারও সাতেপাঁচে নেই। প্রতিপক্ষ তাকে রাজাকারের আত্মীয় বানিয়ে দিল। ব্যস, তার পদোন্নতি বন্ধ হয়ে গেল। একসময় ওই দক্ষ মেধাবী কর্মকর্তা হয়ে গেলেন রাজাকার। ‘রাজাকার’ তকমা দেওয়ার ব্যাধিটা শুরু অবশ্য রাজনীতি থেকে। আওয়ামী লীগের বিরোধিতা, সমালোচনা করা মানেই তিনি স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিনাশী। আওয়ামী লীগের কেউ কেউ বুঝে না বুঝে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলে কৌশলটির প্রয়োগ ঘটিয়েছিল। খুব দ্রুত এর এমন অপপ্রয়োগ শুরু হলো যে একবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকেও আওয়ামী লীগের অতিউৎসাহীরা ‘রাজাকার’ বানিয়ে ফেলেছিল। এ কাজের জন্য আওয়ামী লীগে উর্বর মস্তিষ্কের গবেষকের অভাব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে, বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করে কেউ আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডের সমালোচক হতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আওয়ামী লীগে কিছু চাটুকার সস্তা জনপ্রিয়তার আশায় কিংবা কৃপালাভের জন্য প্রতিপক্ষকে রাজাকারের তকমা লাগিয়ে দেওয়ার এক খেলা শুরু করেছিল। এ খেলায় এখন আওয়ামী লীগই একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে।

এ কথা ঠিক, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের পুনরুত্থান ঘটে। প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ ’৭৫-’৯৫ সাল পর্যন্ত জামায়াত, স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ’৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এ সময় প্রশাসনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের সামনে আনার একটি প্রয়োজনীয়তা ছিল। পেশাদারি, মেধার পাশাপাশি তার অতীত ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও মধুর আশায় অনেক রাজাকার পরিবার আওয়ামী লীগে ভিড় করে। পাশাপাশি এ সময় অনেক চাটুকার ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক’ এবং ‘২১ বছরের ত্যাগী’ হয়ে যান। এর ফলে আসল শুভাকাক্সক্ষীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। এ সময় চাটুকারিতা ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উগ্র মানসিকতা দুটোই বেড়ে যায়। ক্রমে তা মহামারীতে রূপ নিয়েছে। কারও পদোন্নতি ঠেকাবেন, বলুন, ‘তুই রাজাকার’। কাউকে গুরুত্বপূর্ণ পদায়নে বাধা দেবেন বলুন, ‘তুই রাজাকার’। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বড্ড বেশি সমালোচনা করেছেন, বলুন, ‘তুই রাজাকার’। রাজাকার বললেই হলো। বাছবিচার ছাড়া এভাবে তকমা লাগানোর প্রবণতা এখন আওয়ামী লীগের ঘরেই হানা দিয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার একটি সঠিক, নির্ভুল তালিকা তৈরি করতে পারিনি। এ দেশে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট কেনাবেচা হয়। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে নিয়ে লিখতেও লজ্জা লাগে। তিনি রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করলেন ঘটা করে। সে তালিকায় দেখা গেল বহু মুক্তিযোদ্ধার নাম। মন্ত্রী নিজেই নিজেকে ‘বেকুব’ বললেন। মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে তো এখন লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। যে দেশে কিছু টাকা খরচ করলেই মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পাওয়া যায়, সে দেশে রাজাকার বানানো তো আরও সহজ। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ই এখন রাজাকার পুনর্বাসন কেন্দ্র বলে অনেকে অভিযোগ করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ভালো কাজ এগিয়ে নিতে পারেনি। কিংবা আওয়ামী লীগের মধ্যেই কেউ কেউ এগিয়ে নিতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়। এ প্রকল্প দিয়ে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রয়াত হাসান হাফিজুর রহমান, আফসান চৌধুরীর মতো দৃঢ়চিত্তের গবেষকের কল্যাণে তা হয়নি। এ প্রকল্পের মাধ্যমেই ১৫ হাজার পৃষ্ঠার ১৫ খন্ডের দলিল প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ : দলিলপত্র’কে নিজেদের মতো করে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়ার নাম ঢোকানোর জন্য চাপ দিয়েছিল লেখক ও প্রকাশককে। কিন্তু হাক্কানি প্রকাশনী বিএনপি সরকারের ওই চাপের কাছে নতিস্বীকার করেনি। ফলে বিপুলসংখ্যক বই গুদামে পড়ে ছিল। আওয়ামী লীগ এ উদ্যোগকে কেন এগিয়ে নিয়ে যায়নি, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের নির্মোহ, সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস ও দলিল তৈরি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী নিজে গবেষণামনস্ক একজন মানুষ। কদিন আগেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি গবেষণার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ’৭৫-এর পর নানারকম খেলা হয়েছে। যে-যার মতো ইতিহাস বিকৃতি করেছে। চিরদিনের জন্য এ বিকৃত ও মিথ্যাচার বন্ধ করা প্রয়োজন। আর এটা বন্ধের একমাত্র উদ্যোগ গবেষণা এবং তথ্য অনুসন্ধান। এখনো আফসান চৌধুরী, মুনতাসীর মামুনের মতো ইতিহাস অনুসন্ধানী গবেষক বাংলাদেশে রয়েছেন। যাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করলে এ জাতি ইতিহাস বিকৃতির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সে পথে যায়নি। বরং ইতিহাস বিকৃতি রুখতে আওয়ামী লীগের কেউ কেউ ইতিহাসবিদ হয়ে গেছেন। কিছু লাভের আশায়, দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ইতিহাস বানিয়েছেন। ’৭১-এ ল্যাংটো হয়ে ডাঙ্গুলি খেলা বালক যখন ’৭১-এ তাজউদ্দীন আহমদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করে তখন তা ভয়াবহ। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা আছেন যারা কথায় কথায় যাকে তাকে রাজাকার বানিয়ে দেন। রাজাকার বানানো এ ব্যাধির ধাক্কা এসে এখন লেগেছে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে। তৃণমূলের কথা বাদই দিলাম। এখন রাজাকার বানানোর আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বড় নেতারাও। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের পরিবারকে নিয়েও রাজাকারবিষয়ক কটূক্তি করা হলো। যদিও এ বক্তব্যের পর তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে রাজাকার বানিয়ে দেওয়ার ভয়ংকর অসুখ যে কোন পর্যন্ত যেতে পারে এ থেকে তা অনুমান করা হয়েছে। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজাকার রোগের ভয়াবহতা আওয়ামী লীগ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে। ১৩ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগে যে অনেক রাজাকার, মৌলবাদ এবং উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ঢুকে গেছে তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। রংপুরের সৈকত মন্ডল, কিংবা সম্প্রতি চুল কাটার ফতোয়া দেওয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার তার বড় প্রমাণ। এ রকম বহু উদাহরণ দেওয়া যায়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার বলেছেন। নিজ উদ্যোগে তালিকা করে দলে নেতাদের দিয়েছেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ এদের আওয়ামী লীগে এনেছেন এমপি কিংবা প্রভাবশালী নেতারা। তাদের জন্যই এসব অনুপ্রবেশকারীকে আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দেওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারাও প্রভাবশালীদের বদান্যতায় পেয়েছেন। যে দলটি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দেশি এজেন্ট রাজাকার, আলবদরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে সেই দলে একজনও রাজাকার সন্তান বা রাজাকার পরিবারের সদস্য জনপ্রতিনিধি হওয়া কাক্সিক্ষত নয়। তাই আওয়ামী লীগকে রাজাকারমুক্ত হতেই হবে। মনে রাখতে হবে স্বাস্থ্য নয় ব্যাধি সংক্রমক। একবার আওয়ামী লীগে বাসা বাঁধলে আওয়ামী লীগই নিঃশেষ হয়ে যাবে।

ইতিহাস, গবেষণা, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া যাকে তাকে যখন তখন ঘায়েল করার জন্য রাজাকার বলার সস্তা মানসিকতা থেকেও আওয়ামী লীগের উৎসাহীদের সরে আসতে হবে। অন্যকে ঘায়েল করার এ অস্ত্র আওয়ামী লীগের জন্যই বুমেরাং হয়ে যাবে। যার প্রমাণ এবার আওয়ামী লীগ পাচ্ছে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
মূল্যস্ফীতি ও কর্মহীনতা
ফল বিপর্যয়
ফল বিপর্যয়
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
কোথায় হারাল সেই কাচারিঘরগুলো
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
প্রয়োজন প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
রাজপথে শিক্ষকরা
রাজপথে শিক্ষকরা
জাতীয় সনদ
জাতীয় সনদ
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
নতুন ট্যারিফ
নতুন ট্যারিফ
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
সর্বশেষ খবর
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়
ঘুম থেকে জেগে মুমিনের করণীয়

৪৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই
ঐক্য ও সংগ্রামী চেতনার বিকাশ চাই

৪৭ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

জাতীয়ভাবে লালন উৎসব পালন অব্যাহত থাকবে : ফারুকী
জাতীয়ভাবে লালন উৎসব পালন অব্যাহত থাকবে : ফারুকী

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সূর্য হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে কী পরিণতি হবে পৃথিবীর!
সূর্য হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলে কী পরিণতি হবে পৃথিবীর!

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

এফএও মহাপরিচালকের সঙ্গে কৃষি উপদেষ্টার বৈঠক
এফএও মহাপরিচালকের সঙ্গে কৃষি উপদেষ্টার বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলা একাডেমিতে ৮ম বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে উদযাপিত
বাংলা একাডেমিতে ৮ম বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে উদযাপিত

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল
রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্রিকেটে আসছে নতুন ফরম্যাট 'টেস্ট টোয়েন্টি'
ক্রিকেটে আসছে নতুন ফরম্যাট 'টেস্ট টোয়েন্টি'

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিরক্ত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ করেছে এলিয়েনরা, বিজ্ঞানীদের নতুন ধারণা
বিরক্ত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ করেছে এলিয়েনরা, বিজ্ঞানীদের নতুন ধারণা

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী ড্যারেন সামি
টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী ড্যারেন সামি

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডেমরায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর
ডেমরায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সালাহউদ্দিনের মাথায় ছাতা ধরে প্রশংসিত মির্জা ফখরুল
সালাহউদ্দিনের মাথায় ছাতা ধরে প্রশংসিত মির্জা ফখরুল

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ধানমন্ডি আইডিয়ালে জিপিএ-৫ কমেছে, পাসের হারও নিম্নগামী
ধানমন্ডি আইডিয়ালে জিপিএ-৫ কমেছে, পাসের হারও নিম্নগামী

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুবিন গার্গের মৃত্যু: সিঙ্গাপুর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি
জুবিন গার্গের মৃত্যু: সিঙ্গাপুর পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অভিনব জালিয়াতি
মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অভিনব জালিয়াতি

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ৭টি প্রাকৃতিক টনিক
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ৭টি প্রাকৃতিক টনিক

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্রিতে অটোগ্রাফ দেয়া বন্ধ করছেন ইয়ামাল!
ফ্রিতে অটোগ্রাফ দেয়া বন্ধ করছেন ইয়ামাল!

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা সিটিতে ইয়োসো বাংলাদেশের ষষ্ঠ আউটলেটের বর্ণিল উদ্বোধন
বসুন্ধরা সিটিতে ইয়োসো বাংলাদেশের ষষ্ঠ আউটলেটের বর্ণিল উদ্বোধন

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল : ডা. জাহিদ
বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল : ডা. জাহিদ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষক-শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে
বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষক-শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে সড়ক অবরোধ
নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে সড়ক অবরোধ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় নারীকে গলা কেটে হত্যা
কুমিল্লায় নারীকে গলা কেটে হত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের
বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার কণ্ঠশিল্পী মনির খানের
৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার কণ্ঠশিল্পী মনির খানের

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এনজিওকর্মীর মরদেহ উদ্ধার
এনজিওকর্মীর মরদেহ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‌‍সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ইলেক্টেড সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই : ধর্ম উপদেষ্টা
‌‍সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ইলেক্টেড সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই : ধর্ম উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
মালিবাগে সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪
মালিবাগে সেই ৫০০ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৪

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কী বলা হয়েছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়
কী বলা হয়েছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংশোধন করা হলো জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা
সংশোধন করা হলো জুলাই সনদ অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস
রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার
ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব সালাহউদ্দিন আহমদের
জুলাই সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব সালাহউদ্দিন আহমদের

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে চার তরুণ-তরুণী আটক
সিলেটে আবাসিক হোটেল থেকে চার তরুণ-তরুণী আটক

১৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার
নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইপিএস অফিসারের ঘরে ‘টাকার পাহাড়’
আইপিএস অফিসারের ঘরে ‘টাকার পাহাড়’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকসু নির্বাচনে কোন পদে কারা জয়ী
রাকসু নির্বাচনে কোন পদে কারা জয়ী

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে সিআইএ’কে অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাতে সিআইএ’কে অনুমোদন দিলেন ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বসে সনদ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বসে সনদ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘জুলাই যোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
‘জুলাই যোদ্ধা’দের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বাক্ষরিত হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ’
স্বাক্ষরিত হলো ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ’

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যায় ঢাকার তীব্র নিন্দা
ভারতে তিন বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যায় ঢাকার তীব্র নিন্দা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ
প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ

১৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বল ‘আফগান তালেবানের কোর্টে’: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকসুতে বিজয়ী হলেন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুব
রাকসুতে বিজয়ী হলেন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুব

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত, আরোহী সকলেই নিহত
জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত, আরোহী সকলেই নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল
রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ জানালেন মির্জা ফখরুল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শনিবার যে কয়েকটি এলাকায় থাকছে না বিদ্যুৎ
শনিবার যে কয়েকটি এলাকায় থাকছে না বিদ্যুৎ

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল
রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সবজির দাম আকাশছোঁয়া
সবজির দাম আকাশছোঁয়া

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আড়াল থেকে কাঞ্চনকে দেখেছিলেন চম্পা
আড়াল থেকে কাঞ্চনকে দেখেছিলেন চম্পা

শোবিজ

পাসপোর্টেও লেখা আছে আমি ম্যারিড : মাহি
পাসপোর্টেও লেখা আছে আমি ম্যারিড : মাহি

শোবিজ

জন্মের খাটটি সংরক্ষণে রেখেছেন জয়া
জন্মের খাটটি সংরক্ষণে রেখেছেন জয়া

শোবিজ

নায়িকার চোখের আয়নায় দাড়ি কাটছে নায়ক
নায়িকার চোখের আয়নায় দাড়ি কাটছে নায়ক

শোবিজ

কালো মাটির উইকেট দেখে বিস্মিত স্যামি
কালো মাটির উইকেট দেখে বিস্মিত স্যামি

মাঠে ময়দানে

প্রেমের দেবী মধুবালা
প্রেমের দেবী মধুবালা

শোবিজ

শেজাদের নেতৃত্বে বসুন্ধরার জয়
শেজাদের নেতৃত্বে বসুন্ধরার জয়

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা কিংস অ্যাকাডেমি টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
বসুন্ধরা কিংস অ্যাকাডেমি টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

মাঠে ময়দানে

মিরাজদের ঘুরে দাঁড়ানোর সিরিজ
মিরাজদের ঘুরে দাঁড়ানোর সিরিজ

মাঠে ময়দানে

আয়ের শীর্ষে রোনালদো
আয়ের শীর্ষে রোনালদো

মাঠে ময়দানে

নারী ফুটবলারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প
নারী ফুটবলারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প

মাঠে ময়দানে

ফিফায় এক ধাপ উন্নতি হামজাদের
ফিফায় এক ধাপ উন্নতি হামজাদের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভগ্যচক্র
আজকের ভগ্যচক্র

আজকের রাশি

ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর
ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ চারজন

নগর জীবন

অপেক্ষা শুধু প্রথম উড্ডয়নের
অপেক্ষা শুধু প্রথম উড্ডয়নের

পেছনের পৃষ্ঠা

জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হচ্ছে
জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ নেই

নগর জীবন

নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে চায় একটি মহল
নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে চায় একটি মহল

নগর জীবন

আবাসিক হোটেল থেকে আটক চার
আবাসিক হোটেল থেকে আটক চার

নগর জীবন

চট্টগ্রামে সিএইচসিপিদের মানববন্ধন
চট্টগ্রামে সিএইচসিপিদের মানববন্ধন

খবর

পরিত্যক্ত দোকানে যুবকের লাশ
পরিত্যক্ত দোকানে যুবকের লাশ

নগর জীবন

জিম্মি ওমরি মিরানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর
জিম্মি ওমরি মিরানকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর

পূর্ব-পশ্চিম

উন্নয়নের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
উন্নয়নের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

নগর জীবন

ঢাকা মেট্রো বাদ পড়ায় হতাশ ক্রিকেটাররা
ঢাকা মেট্রো বাদ পড়ায় হতাশ ক্রিকেটাররা

মাঠে ময়দানে

মৌমাছির অদ্ভুত নাচ
মৌমাছির অদ্ভুত নাচ

পরিবেশ ও জীবন

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আবাসিক কক্ষে লাশ এনজিওকর্মীর
আবাসিক কক্ষে লাশ এনজিওকর্মীর

দেশগ্রাম

মিশিগানে জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত আরোহীর সবাই নিহত
মিশিগানে জঙ্গলে বিমান বিধ্বস্ত আরোহীর সবাই নিহত

পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জুলাই যোদ্ধারা
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জুলাই যোদ্ধারা

খবর