শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১ আপডেট:

আওয়ামী লীগে ‘তুই রাজাকার’ বিতর্ক

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
আওয়ামী লীগে ‘তুই রাজাকার’ বিতর্ক

আওয়ামী লীগ এখন রাজাকার খোঁজায় ব্যস্ত। দলের তৃণমূল নেতারা একে অন্যকে ‘তুই রাজাকার’ বলেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না, তথ্য-প্রমাণসহ চিঠি দিচ্ছেন দলের হাইকমান্ডের কাছে। ‘রাজাকার’ নিয়ে অভিযোগের স্তুপ এখন দলের সভানেত্রীর কার্যালয়ে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজেই এক অনুষ্ঠানে বললেন, ‘আওয়ামী লীগে এখন একে অন্যকে রাজাকার বলছে।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য শুনে ‘বহুব্রীহি’ নাটকের কথা মনে পড়ে গেল। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বহুব্রীহি নাটকের কথা মনে আছে? আলী যাকের পাগলাটে মানুষ। নানারকম পাগলামি করেন। সিদ্ধান্ত নিলেন পোষা পাখিকে ‘তুই রাজাকার’ শেখাবেন। সেজন্যই টেপরেকর্ডারে তুই রাজাকার রেকর্ড করে পাখির কাছে অবিরত শোনানো হলো। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না। হতাশ আলী যাকের। এ সময় এলেন রাজাকার (আবুল হায়াত)। দেখে পাখি বলে উঠল ‘তুই রাজাকার’। হুমায়ূন আহমেদ এ নাটকটি লিখেছিলেন এমন একসময় যখন বাংলাদেশে রাজাকার, আলবদর, যুদ্ধাপরাধী ইত্যাদি শব্দগুলো নিষিদ্ধ ছিল। বেতার-টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ ছিল অপরাধ। পাঠ্যপুস্তক থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল ‘পাকিস্তান হানাদার বাহিনী’ কথাগুলো। ইতিহাস বিকৃতির এমনই একসময়ে হুমায়ূন আহমেদ ‘রাজাকার’ শব্দটি সামনে এনেছিলেন নিপুণ দক্ষতায়। ’৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশে ‘রাজাকার’ শব্দটিকে ঘৃণিত হিসেবে জনপ্রিয় করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ তাঁর বহুব্রীহি নাটকে। ১৯৯১ সালে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে জামায়াত প্রকাশ্যে তাদের দলের আমির ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয় মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ। শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত হয় ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। সে সময় তারুণ্যে ভরপুর ‘আজকের কাগজ’ একরাশ তরুণকে নিয়ে নতুন ধারার সাংবাদিকতা শুরু করে। ’৯১-এর ডিসেম্বরে ‘আজকের কাগজ’ প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তুই রাজাকার’ শিরোনাম দিয়ে ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের অপকর্মের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি প্রকাশ্যে আনে। ‘তুই রাজাকার’ শিরোনামে এ লেখার মূল আকর্ষণ ছিল শিশির ভট্টাচার্যের কার্টুন। একজন রাজাকারের কার্টুন, ’৭১-এ তার অপকর্মের ছোট্ট বর্ণনায় ‘তুই রাজাকার’ অসাধারণ জনপ্রিয়তা পায়। শেষ কার্টুন ছিল গোলাম আযমের। সারা দেশে হুমায়ূন আহমেদের ‘তুই রাজাকার’ শিশির ভট্টাচার্যের কার্টুনে নবজন্ম পায়। ‘তুই রাজাকার’ স্বাধীনতা -বিরোধীদের বিরুদ্ধে একটি জনপ্রিয় স্লোগানে পরিণত হয়। শহীদজননীর নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে গঠিত হয় ‘গণআদালত’। এটিই রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে প্রথম গণঅভ্যুত্থান। এ আন্দোলনে প্রধান সংগঠন ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের জন্যই ‘গণআদালত’ সফল হয়েছিল। আওয়ামী লীগ রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ করার অঙ্গীকার করেছিল। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগই একদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে।’ শহীদজননীর এ আন্দোলনকে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। বেগম জিয়ার নেতৃত্বে তৎকালীন বিএনপি সরকার এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। ‘গণআদালত’ করার কারণে শহীদজননীসহ একাধিক বিশিষ্টজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করেছিল। সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। ’৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিই বাংলাদেশে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ’৭৫-এর পর দেশবাসীকে সংগঠিত ও উদ্বুদ্ধ করে। আর এ আন্দোলনের প্রধান শক্তি ছিল আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এ দলটি রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার দাবি সামনে নিয়ে আসে। ১৯৯৬-২০০১ সালে না পারলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার করে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও শুরু করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনার সাহস ও দৃঢ়তার প্রমাণ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় এটি বাংলাদেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এ বিচারের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের পথে পা রেখেছিল। কিন্তু ১৩ বছর পর এখন আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘তুই রাজাকার’ ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগই তার দলের অন্য সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে ’৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধবিরোধিতার। অন্তত আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তা-ই মনে করেন। ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের ‘রাজাকার’ ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই এখন একে অন্যের দিকে রাজাকারের তকমা লাগানোর চেষ্টা করছেন।’ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যার সঙ্গে বনবে না তাকে বলবে রাজাকারের ছেলে অথবা বলবে রাজাকারের নাতি বা শান্তি কমিটির সদস্য ছিল তারা।’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, ‘এসব অভিযোগের স্তুপ হয়েছে আওয়ামী লীগে।’ ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগে বিতর্ক হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। দফায় দফায় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে। মনোনয়ন ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেন ঝড় বয়ে যাচ্ছে। কেউ মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তির আসল পরিচয় জানিয়ে দিচ্ছেন, কেউ পুরনো ছবিও পোস্ট করছেন। এর সবই যে মিথ্যা তা নয়। কারণ ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড বেশ কিছু মনোনয়ন পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় আওয়ামী লীগে ‘রাজাকার’ গোষ্ঠী ঢুকে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যত প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাজাকারের অভিযোগ উঠেছে তা যদি সত্যি হয় তাহলে তা লোম বাছতে কম্বল উজাড়ের মতো ঘটনা হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের মূল সুর অনুধাবন করলে বোঝা যায়, অনেক অভিযোগই অসত্য। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে করা। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার একটা সস্তা কৌশল। রাজাকার, বিএনপি বা জামায়াত বলে কাউকে কোণঠাসা করার কৌশলটি আওয়ামী লীগের কারও কারও পুরনো অভ্যাস। এ অভ্যাসটা এখন ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। শুধু রাজনৈতিক কাজে নয়, প্রশাসনে, ব্যবসায় এ ব্যাধি সংক্রমিত হয়েছে। ধরা যাক, প্রশাসনে একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি মেধাবী, কারও সাতেপাঁচে নেই। প্রতিপক্ষ তাকে রাজাকারের আত্মীয় বানিয়ে দিল। ব্যস, তার পদোন্নতি বন্ধ হয়ে গেল। একসময় ওই দক্ষ মেধাবী কর্মকর্তা হয়ে গেলেন রাজাকার। ‘রাজাকার’ তকমা দেওয়ার ব্যাধিটা শুরু অবশ্য রাজনীতি থেকে। আওয়ামী লীগের বিরোধিতা, সমালোচনা করা মানেই তিনি স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিনাশী। আওয়ামী লীগের কেউ কেউ বুঝে না বুঝে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলে কৌশলটির প্রয়োগ ঘটিয়েছিল। খুব দ্রুত এর এমন অপপ্রয়োগ শুরু হলো যে একবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকেও আওয়ামী লীগের অতিউৎসাহীরা ‘রাজাকার’ বানিয়ে ফেলেছিল। এ কাজের জন্য আওয়ামী লীগে উর্বর মস্তিষ্কের গবেষকের অভাব হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করে, বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করে কেউ আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডের সমালোচক হতে পারে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আওয়ামী লীগে কিছু চাটুকার সস্তা জনপ্রিয়তার আশায় কিংবা কৃপালাভের জন্য প্রতিপক্ষকে রাজাকারের তকমা লাগিয়ে দেওয়ার এক খেলা শুরু করেছিল। এ খেলায় এখন আওয়ামী লীগই একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে।

এ কথা ঠিক, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের পুনরুত্থান ঘটে। প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ ’৭৫-’৯৫ সাল পর্যন্ত জামায়াত, স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ’৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এ সময় প্রশাসনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের সামনে আনার একটি প্রয়োজনীয়তা ছিল। পেশাদারি, মেধার পাশাপাশি তার অতীত ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও মধুর আশায় অনেক রাজাকার পরিবার আওয়ামী লীগে ভিড় করে। পাশাপাশি এ সময় অনেক চাটুকার ‘বঙ্গবন্ধু সৈনিক’ এবং ‘২১ বছরের ত্যাগী’ হয়ে যান। এর ফলে আসল শুভাকাক্সক্ষীরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। এ সময় চাটুকারিতা ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উগ্র মানসিকতা দুটোই বেড়ে যায়। ক্রমে তা মহামারীতে রূপ নিয়েছে। কারও পদোন্নতি ঠেকাবেন, বলুন, ‘তুই রাজাকার’। কাউকে গুরুত্বপূর্ণ পদায়নে বাধা দেবেন বলুন, ‘তুই রাজাকার’। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বড্ড বেশি সমালোচনা করেছেন, বলুন, ‘তুই রাজাকার’। রাজাকার বললেই হলো। বাছবিচার ছাড়া এভাবে তকমা লাগানোর প্রবণতা এখন আওয়ামী লীগের ঘরেই হানা দিয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার একটি সঠিক, নির্ভুল তালিকা তৈরি করতে পারিনি। এ দেশে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট কেনাবেচা হয়। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে নিয়ে লিখতেও লজ্জা লাগে। তিনি রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করলেন ঘটা করে। সে তালিকায় দেখা গেল বহু মুক্তিযোদ্ধার নাম। মন্ত্রী নিজেই নিজেকে ‘বেকুব’ বললেন। মুক্তিযোদ্ধার তালিকা নিয়ে তো এখন লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। যে দেশে কিছু টাকা খরচ করলেই মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পাওয়া যায়, সে দেশে রাজাকার বানানো তো আরও সহজ। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ই এখন রাজাকার পুনর্বাসন কেন্দ্র বলে অনেকে অভিযোগ করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ভালো কাজ এগিয়ে নিতে পারেনি। কিংবা আওয়ামী লীগের মধ্যেই কেউ কেউ এগিয়ে নিতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়। এ প্রকল্প দিয়ে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রয়াত হাসান হাফিজুর রহমান, আফসান চৌধুরীর মতো দৃঢ়চিত্তের গবেষকের কল্যাণে তা হয়নি। এ প্রকল্পের মাধ্যমেই ১৫ হাজার পৃষ্ঠার ১৫ খন্ডের দলিল প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ : দলিলপত্র’কে নিজেদের মতো করে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়ার নাম ঢোকানোর জন্য চাপ দিয়েছিল লেখক ও প্রকাশককে। কিন্তু হাক্কানি প্রকাশনী বিএনপি সরকারের ওই চাপের কাছে নতিস্বীকার করেনি। ফলে বিপুলসংখ্যক বই গুদামে পড়ে ছিল। আওয়ামী লীগ এ উদ্যোগকে কেন এগিয়ে নিয়ে যায়নি, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের নির্মোহ, সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস ও দলিল তৈরি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী নিজে গবেষণামনস্ক একজন মানুষ। কদিন আগেই সংবাদ সম্মেলনে তিনি গবেষণার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ’৭৫-এর পর নানারকম খেলা হয়েছে। যে-যার মতো ইতিহাস বিকৃতি করেছে। চিরদিনের জন্য এ বিকৃত ও মিথ্যাচার বন্ধ করা প্রয়োজন। আর এটা বন্ধের একমাত্র উদ্যোগ গবেষণা এবং তথ্য অনুসন্ধান। এখনো আফসান চৌধুরী, মুনতাসীর মামুনের মতো ইতিহাস অনুসন্ধানী গবেষক বাংলাদেশে রয়েছেন। যাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করলে এ জাতি ইতিহাস বিকৃতির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেত। কিন্তু আওয়ামী লীগ সে পথে যায়নি। বরং ইতিহাস বিকৃতি রুখতে আওয়ামী লীগের কেউ কেউ ইতিহাসবিদ হয়ে গেছেন। কিছু লাভের আশায়, দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ইতিহাস বানিয়েছেন। ’৭১-এ ল্যাংটো হয়ে ডাঙ্গুলি খেলা বালক যখন ’৭১-এ তাজউদ্দীন আহমদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করে তখন তা ভয়াবহ। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা আছেন যারা কথায় কথায় যাকে তাকে রাজাকার বানিয়ে দেন। রাজাকার বানানো এ ব্যাধির ধাক্কা এসে এখন লেগেছে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে। তৃণমূলের কথা বাদই দিলাম। এখন রাজাকার বানানোর আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বড় নেতারাও। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের পরিবারকে নিয়েও রাজাকারবিষয়ক কটূক্তি করা হলো। যদিও এ বক্তব্যের পর তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে রাজাকার বানিয়ে দেওয়ার ভয়ংকর অসুখ যে কোন পর্যন্ত যেতে পারে এ থেকে তা অনুমান করা হয়েছে। এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজাকার রোগের ভয়াবহতা আওয়ামী লীগ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে। ১৩ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগে যে অনেক রাজাকার, মৌলবাদ এবং উগ্রসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ঢুকে গেছে তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। রংপুরের সৈকত মন্ডল, কিংবা সম্প্রতি চুল কাটার ফতোয়া দেওয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন হাওলাদার তার বড় প্রমাণ। এ রকম বহু উদাহরণ দেওয়া যায়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার বলেছেন। নিজ উদ্যোগে তালিকা করে দলে নেতাদের দিয়েছেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কারণ এদের আওয়ামী লীগে এনেছেন এমপি কিংবা প্রভাবশালী নেতারা। তাদের জন্যই এসব অনুপ্রবেশকারীকে আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দেওয়া যাচ্ছে না। একইভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারাও প্রভাবশালীদের বদান্যতায় পেয়েছেন। যে দলটি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দেশি এজেন্ট রাজাকার, আলবদরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে সেই দলে একজনও রাজাকার সন্তান বা রাজাকার পরিবারের সদস্য জনপ্রতিনিধি হওয়া কাক্সিক্ষত নয়। তাই আওয়ামী লীগকে রাজাকারমুক্ত হতেই হবে। মনে রাখতে হবে স্বাস্থ্য নয় ব্যাধি সংক্রমক। একবার আওয়ামী লীগে বাসা বাঁধলে আওয়ামী লীগই নিঃশেষ হয়ে যাবে।

ইতিহাস, গবেষণা, তথ্য-প্রমাণ ছাড়া যাকে তাকে যখন তখন ঘায়েল করার জন্য রাজাকার বলার সস্তা মানসিকতা থেকেও আওয়ামী লীগের উৎসাহীদের সরে আসতে হবে। অন্যকে ঘায়েল করার এ অস্ত্র আওয়ামী লীগের জন্যই বুমেরাং হয়ে যাবে। যার প্রমাণ এবার আওয়ামী লীগ পাচ্ছে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

Email : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মহান পয়লা মে
মহান পয়লা মে
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শ্রমনির্ভর করে
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শ্রমনির্ভর করে
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
চাল নিয়ে চালবাজি
চাল নিয়ে চালবাজি
শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য
শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য
অর্থনীতিতে বিসংবাদ
অর্থনীতিতে বিসংবাদ
শিক্ষা অর্জনের প্রেরণা জোগায় কোরআন
শিক্ষা অর্জনের প্রেরণা জোগায় কোরআন
সর্বশেষ খবর
ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা
ভারতের হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হাজারের বেশি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্যটকে মুখর সিলেট
পর্যটকে মুখর সিলেট

২ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

'রপ্তানি বৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও সাশ্রয়ী হতে হবে'
'রপ্তানি বৃদ্ধিতে পোশাক শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও সাশ্রয়ী হতে হবে'

৩ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

মানবদেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ সন্দেহে যশোরে আইইডিসিআরের টিম
মানবদেহে বার্ড ফ্লু সংক্রমণ সন্দেহে যশোরে আইইডিসিআরের টিম

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে : জামায়াত আমির
শ্রমিক বাঁচলে শিল্প বাঁচবে : জামায়াত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর : সাবেক এমপি শম্ভুসহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর : সাবেক এমপি শম্ভুসহ ১৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টঙ্গীতে বজ্রপাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
টঙ্গীতে বজ্রপাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজতের গণমিছিল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফল করতে হেফাজতের গণমিছিল

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ : মামুনুল হক
নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ : মামুনুল হক

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অধিকার আদায়ে প্রবাসীদের সচেতনতা জরুরি : ফয়েজ তৈয়্যব
অধিকার আদায়ে প্রবাসীদের সচেতনতা জরুরি : ফয়েজ তৈয়্যব

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ
ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আর গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র একই : গয়েশ্বর
বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আর গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র একই : গয়েশ্বর

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রমিকদের ন্যায্য আদায়ের লড়াইয়ে পাশে আছে বিএনপি : আমীর খসরু
শ্রমিকদের ন্যায্য আদায়ের লড়াইয়ে পাশে আছে বিএনপি : আমীর খসরু

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে শপথ নিতে হবে : প্রিন্স
মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে শপথ নিতে হবে : প্রিন্স

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডায়রিয়া নিয়ে কিছু কথা
ডায়রিয়া নিয়ে কিছু কথা

৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে চলেছে সরকার : শ্রম উপদেষ্টা
শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে চলেছে সরকার : শ্রম উপদেষ্টা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেসলার সিইও হিসেবে ইলন মাস্ককে পরিবর্তনের খবর মিথ্যা
টেসলার সিইও হিসেবে ইলন মাস্ককে পরিবর্তনের খবর মিথ্যা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীতে শ্রমিক দলের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন
নোয়াখালীতে শ্রমিক দলের উদ্যোগে মহান মে দিবস পালন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস
আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নয়াপল্টনে মে দিবসের সমাবেশে বিএনপির শোডাউন
নয়াপল্টনে মে দিবসের সমাবেশে বিএনপির শোডাউন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাপানে সাপের কারণে ব্যস্ততম বুলেট ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত
জাপানে সাপের কারণে ব্যস্ততম বুলেট ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মেসেঞ্জারে ভুল মেসেজ পাঠিয়ে ফেলেছেন? মাত্র ১৫ মিনিটে বাঁচার উপায়!
মেসেঞ্জারে ভুল মেসেজ পাঠিয়ে ফেলেছেন? মাত্র ১৫ মিনিটে বাঁচার উপায়!

১০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের লিফলেট বিতরণ
সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের লিফলেট বিতরণ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আবারও ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নামছেন শোবিজ তারকারা
আবারও ব্যাট-বল নিয়ে মাঠে নামছেন শোবিজ তারকারা

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চ্যাটজিপিটির পরামর্শে মামলায় জিতলেন তরুণ
চ্যাটজিপিটির পরামর্শে মামলায় জিতলেন তরুণ

১০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গ্রিনকার্ড থাকলেই নিশ্চিন্ত নন, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু নতুন নজরদারি
গ্রিনকার্ড থাকলেই নিশ্চিন্ত নন, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু নতুন নজরদারি

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মালাইকার বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা
মালাইকার বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে উড়ে গেল ভারতীয় সেনা চেকপোস্ট
পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে উড়ে গেল ভারতীয় সেনা চেকপোস্ট

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভয়ংকরতম দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, জরুরি অবস্থা জারি
ভয়ংকরতম দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, জরুরি অবস্থা জারি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা বাড়িয়ে ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া
উত্তেজনা বাড়িয়ে ভারত সীমান্তে পাকিস্তানের পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা যুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে বহু ইসরায়েলি সেনা
গাজা যুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে বহু ইসরায়েলি সেনা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে : তারেক রহমান
করিডর দেয়ার সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে : তারেক রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমরা প্রস্তুত, আমাদের পরীক্ষা নিও না : হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর
আমরা প্রস্তুত, আমাদের পরীক্ষা নিও না : হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফরিদপুর জেলা এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে
ফরিদপুর জেলা এনসিপির কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির মেয়ে

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতকে হুঁশিয়ারি, ‌‘পাকিস্তান অস্ত্র জাদুঘরে রাখবে না’
ভারতকে হুঁশিয়ারি, ‌‘পাকিস্তান অস্ত্র জাদুঘরে রাখবে না’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সালমানকে প্রেমিক স্বীকার করতে চাইতো না ঐশ্বরিয়া, ছিল দ্বিচারিতা : সোহেল
সালমানকে প্রেমিক স্বীকার করতে চাইতো না ঐশ্বরিয়া, ছিল দ্বিচারিতা : সোহেল

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেনের সাথে সেই চুক্তিটি করেই ফেলল ট্রাম্প প্রশাসন
ইউক্রেনের সাথে সেই চুক্তিটি করেই ফেলল ট্রাম্প প্রশাসন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে রাজশাহীতে বিক্ষোভ
যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন থামিয়ে রাজশাহীতে বিক্ষোভ

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের টাকায় স্বপন-আমিনের বিলাসী জীবন
শ্রমিকের টাকায় স্বপন-আমিনের বিলাসী জীবন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ দিন টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা যেসব অঞ্চলে
পাঁচ দিন টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা যেসব অঞ্চলে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস
আমরা ১৭ বছর গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেছি, এখন ফল খাচ্ছেন আপনারা : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ দেখে লুকাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
পুলিশ দেখে লুকাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানে সাপের কারণে ব্যস্ততম বুলেট ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত
জাপানে সাপের কারণে ব্যস্ততম বুলেট ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল করিম, সম্পাদক আনিসুজ্জামান
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল করিম, সম্পাদক আনিসুজ্জামান

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই ম্যাচে একই কাহিনী: রাতে রোনালদো, সকালে মেসির বিদায়
দুই ম্যাচে একই কাহিনী: রাতে রোনালদো, সকালে মেসির বিদায়

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা সপ্তম দিনেও কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি
টানা সপ্তম দিনেও কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান গোলাগুলি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্রিনকার্ড থাকলেই নিশ্চিন্ত নন, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু নতুন নজরদারি
গ্রিনকার্ড থাকলেই নিশ্চিন্ত নন, যুক্তরাষ্ট্রে শুরু নতুন নজরদারি

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ
ম্যাচসেরা হয়ে পেলেন ১ লাখ, জরিমানা দিলেন ১২ লাখ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩ মে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ
৩ মে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

“রাত না কাটালে বাদ!” অঞ্জনার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি
“রাত না কাটালে বাদ!” অঞ্জনার বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত সরকার
পাকিস্তানি সেলিব্রেটিদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত সরকার

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান, অথচ গ্যাস-বিদ্যুৎ পাচ্ছে না স্থানীয় উদ্যোক্তারা: মেঘনা গ্রুপ চেয়ারম্যান
বিদেশি বিনিয়োগ আহ্বান, অথচ গ্যাস-বিদ্যুৎ পাচ্ছে না স্থানীয় উদ্যোক্তারা: মেঘনা গ্রুপ চেয়ারম্যান

১৪ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

হ্যাট্রিক করলেন চাহাল, এক ওভারেই নিলেন ৪ উইকেট
হ্যাট্রিক করলেন চাহাল, এক ওভারেই নিলেন ৪ উইকেট

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অনুমতি ছাড়া হজ করলে কঠোর শাস্তির ঘোষণা সৌদির
অনুমতি ছাড়া হজ করলে কঠোর শাস্তির ঘোষণা সৌদির

২০ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার
ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার

২২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ১৫ হাজার সেনা, হতাহত ৪,৭০০
ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ১৫ হাজার সেনা, হতাহত ৪,৭০০

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স
পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ, সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইল ভারতীয় এয়ারলাইন্স

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক