শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২১

একটু চাকরির জন্য

হোসেন আবদুল মান্নান
প্রিন্ট ভার্সন
একটু চাকরির জন্য

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে প্রায় ৩২ বছর চাকরি করে আজ এর সমাপ্তি ঘটল। শুরুর শেষ অনিবার্য। এটি জীবনের সঙ্গে মৃত্যুর সম্পর্কের মতো অবশ্যম্ভাবী। মনে হয়, এই তো সেদিন এর শুরু হয়েছিল, তবু কালের হিসাবে দীর্ঘ তিন দশকের বেশি। অন্যভাবে, অতীতের দিকে তাকালে পৃথিবীতে আগত অগণিত মহামানবের গোটা পার্থিব জীবনকালেরও ঢের বেশি। তবে মহাকালের অদৃশ্য গহ্বরের কাছে তা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণু হিসেবেও বিবেচ্য নয়। তবু জীবনের গাণিতিক হিসাব-নিকাশ করলেই বোঝা যাবে কতটা কার্যকর বা বেহুদা ছিল আমার পেছনের কর্মময় আর বর্ণময় সেই সময়। তাই সফলতা বা ব্যর্থতার নৈর্ব্যক্তিক মূল্যায়নের ভার ছেড়ে দেওয়া যাক অনাগত সময়ের হাতে।

২. ভাবলে প্রায়ই আনন্দে উদ্বেলিত হই, গোটা আশির দশকটি কেটে যায় আমার জীবনের নিশ্চিত-অনিশ্চিতের দোলাচলে। মফস্বলের কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় পা রাখা যেন এক-হাঁটু আবর্জনা-আকীর্ণ অগভীর জলাশয় থেকে সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গে সাঁতার কাটার মতো অসাধ্য সাধন। প্রাচ্য-প্রতীচ্যের আলোচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশালাকৃতির বর্ণিল ক্যাম্পাসের মায়াবী ছায়ায় নিজেই অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার উপক্রম। প্রায় আট বছরের দীর্ঘ বাধা-বিপত্তি, চড়াই-উতরাই, বাঁচা-মরার অমসৃণ পথ পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার সামান্য একটু আলোকবিন্দু হাতে নিয়ে কর্মপ্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়ার মতো এমন দুঃসাহসিক কাজকে মধ্যবিত্তের ভাষায় এক ধরনের বিলাসিতা বলা যায়। তার পরও প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি অধিক এমন বিবেচনায় আপন আরাধ্য কর্মালয়ে আমার সাদা-কালো জীবনকে সঁপে দিয়ে যাত্রা করি।

৩. প্রায় পৌনে ৩০০ বছরের পুরনো এবং বনেদি এক রাজসিক চাকরির গৌরবগাথা শুনতে শুনতে ক্রমেই উচ্চপদে আসীন হয়েছি। মাঠ প্রশাসনের নানাবিধ দায়িত্বে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে এর বর্ণাঢ্য অতীতকে সযতেœ লালন ও আগলে রাখার প্রয়াস সর্বদা আমার ছিল। আমি অনেকটা দাবি করেই বলতে পারি, সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট থেকে বিভাগীয় কমিশনার এবং সরকারের সচিব পর্যন্ত প্রায় সব পদে আত্মমর্যাদা সমুন্নত রেখে দায়িত্ব পালন করেছি। পরিবর্তিত আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও যথেষ্ট মর্যাদাবোধ এবং আত্মতৃপ্তির সমন্বয়েই তা শেষ করেছি।

৪. ঐতিহ্যের ধারক-বাহক প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হয়ে সিভিল সার্ভেন্ট হিসেবে জেলা প্রশাসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের চারটি বছর ছিল নিঃসন্দেহে বহুমাত্রিক কর্তব্যবোধে বর্ণাঢ্য। স্মরণের দীপশিখায় আমৃত্যু প্রজ্বলিত হয়ে থাকবে আমার যাপিত জীবনের এ অধ্যায়। বিশেষ করে বন্দরনগর চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসক ও পরে বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে কাজ করার বর্ণিল অভিজ্ঞতা। বলা বাহুল্য, ১৭৭২ সালে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে এ দেশে জেলা প্রশাসনের যাত্রা হলে চট্টগ্রামকে নিয়েই এর গোড়াপত্তন হয়। আগ্রহভরে গণনা করে দেখেছিলাম, প্রথম কালেক্টর ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক (আইসিএস) Mr. John Bentley (১৭৭২-৭৩)। সেই থেকে আমার নিজের ক্রমমান ছিল ১৮৩তম। একইভাবে ১৮২৯ সালে বিভাগীয় কমিশনারের পদ সৃষ্টির সূচনালগ্নে ছিলেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত  Mr. Nathaniel John Halhed, ESQR এখানে আমার অবস্থান দাঁড়ায় ৯০তম। আরও লক্ষ্য করেছিলাম, আড়াই শতাব্দীর অধিককালে সাবেক পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের দুজন এবং বাংলাদেশ প্রজন্মের সিভিল সার্ভিসের দুজন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার উভয় পদে আসীন হয়েছিলেন। এমন চারজন বিরল সিভিলিয়ানের একজন আমি। তাই বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য আমার গর্বের কোনো সীমা নেই।

৫. টানা তিন দশকের অধিক নানা স্থান ও পদবিতে চাকরি করার অম্লমধুর অভিজ্ঞতার কথা বিভিন্ন সময়ে বলা হয়েছে। সেপ্টেম্ব^র ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের কমিশনার হিসেবে যোগদান করে সেদিনই সন্ধ্যায় কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা করি। পরদিন সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী বা জোরপূর্বক মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থান সরেজমিন দেখার জন্য আসবেন। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উখিয়ায় সদ্য গড়ে ওঠা মানবেতর ক্যাম্পগুলো পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। বৈরী আবহাওয়া, হালকা বৃষ্টিপাত ও ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াতের ভিতর দিয়েই কর্মসূচি সফল করা হলো। সেদিন অপরাহ্ণে সার্কিট হাউসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলারও সুযোগ হয়ে যায়। ডিআইজি মুনিরুজ্জামান মনিও সঙ্গে ছিলেন। পরের দুই বছর পাঁচ মাস আমার কক্সবাজার-উখিয়া-টেকনাফ করে করে ৩৪টি ক্যাম্পের তত্ত্বাবধান, দেশি-বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ অতিথির প্রটোকল, সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত প্রত্যাবাসনবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির (Joint working group) ডেপুটি টিম-লিডার হিসেবে একাধিকবার মিয়ানমার ও জেনেভা সফর করি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস (Antonio Guterres) এবং বিশ্বব্যাংক চেয়ারম্যান Jim Yong Kim-এর সান্নিধ্যে যাওয়া হয়েছিল। এমন বিশ্ববরেণ্যদের ব্রিফ করারও এক অনন্য সুযোগ পেয়ে যাই। ক্যাম্প এলাকায় নির্মাণ করি রোহিঙ্গা কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (RCC)। জেলা প্রশাসন কক্সবাজারের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক হই। একই কাজে দাতা সংস্থা UNHR থেকে দাফতরিক প্রয়োজনে একটি উন্নতমানের জিপ গাড়ি এবং আর্থিক সম্মানিও প্রাপ্ত হয়েছি। যা আমার পারিবারিক জীবনে খানিকটা আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেয়।

৬. সিভিল সার্ভিসের বেলায় এর একটি সফল পরিসমাপ্তি সবারই প্রত্যাশা। আর এটি হলো আমাদের প্রজাতন্ত্রের কর্মের পদ-সোপানের শেষ প্রান্তে পৌঁছার আকুতি অর্থাৎ সচিব পদাধিকারী হওয়া। প্রায় দুই বছরকালের সরকারের সচিবের চাকরিতে প্রীতি ও অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা আমাকেও বেশ পরিপক্ব ও ঋদ্ধ করেছে। জাতীয় জীবনের ক্রান্তিকালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব হিসেবে আমার সাড়ে নয় মাসের দায়িত্ব পালন আমৃত্যু স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দেশের মানুষের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কিছু করার আমার আপ্রাণ সচেষ্টতা গণমাধ্যমেও দৃশ্যমান ছিল। সরকারপ্রধান হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই আমাকে এ সুযোগ করে দিয়েছেন। এ সময়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের ভিতরে দেশের এক উদ্যোগী কোম্পানির করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের মহতী কার্যক্রম পরিদর্শন করতে গিয়ে আকস্মিকভাবে এর নামকরণ করে দিই বঙ্গভ্যাক্স (Banga-vax)। এতে পরে কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি প্রশংসাপত্রও পেয়েছিলাম।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে অনেক উদ্যোগের মধ্যে বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্যের স্মারক তথা শতাব্দীর কিংবদন্তি মসলিন শিল্পের পুনরুদ্ধার ও পুনর্জাগরণ নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করি। এবং ঢাকার অদূরে তারাবো পৌর এলাকায় গড়ে তোলা হয় ‘ঢাকাই মসলিন হাউস’। মসলিন কাপড় তৈরির ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ ও সুরক্ষার যাবতীয় আয়োজন করে শীতলক্ষ্যার তীরে নান্দনিকতার ছোঁয়ায় এক অনন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। এমন স্বপ্নেরও মূল চিন্তক, রূপকার ও পরামর্শদাতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মরণ করি স্বামী বিবেকানন্দের কথা- ‘পৃথিবীতে যখন এসেছিস একটা ছোট্ট দাগ রেখে যা।’

৭. যেভাবে লেখাজোখার কারখানার একজন খন্ডকালীন শ্রমিক হিসেবে নাম লেখালাম : ২০১৫ সালের জানুয়ারি। অফিসার্স ক্লাব ঢাকার বার্ষিক সম্মেলন এবং নির্বাচন। সে বছর আমি কোষাধ্যক্ষ পদের প্রার্থী। ইতিপূর্বে ক্লাবের নির্বাহী সদস্য এবং যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইলেকট্রনিক ভোটেও নির্বাচিত হয়েছিলাম। সেবার ক্লাবের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে আমাকে প্রচন্ড বিব্রতকর, অসম্মানজনক এবং অপ্রতিরোধ্য অসহযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কতিপয় অসংবেদনশীল, অবিবেচক ও অমানবিক স্বগোত্রীয় জ্যেষ্ঠ সহকর্মী নিজ পরিবারকে বিসর্জন দিয়ে অন্য পক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলিঙ্গন করে নিল। এতে যেন আপন গৃহদাহে ঘৃত সংযোগ করে দেয়। দেশের দুটো বড় জেলার জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন শেষে তখন যুগ্মসচিব হিসেবে সদ্য সচিবালয়ে আমার পদায়ন। অসংখ্য কনিষ্ঠ সহকর্মী যারা মাঠ প্রশাসনে কাজ করেছেন তখন তারাও কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অনুজপ্রতিম এসব সহকর্মীকে শঙ্কিত ও সংকুচিত হতে দেখেছি। আমার অপরাধ ওনাদের সবার পূর্বসম্মতি বা অনুমতি ছাড়া প্রার্থিতায় অংশ নেওয়া। এ ক্ষেত্রে কেবল অসমর্থন দিয়েই তারা বসে থাকেননি, নির্বাচনের উৎসবমুখরতায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে এবং চোখের পর্দা সরিয়ে ভোটারদের প্রতিটি সারিতে গিয়ে আমার পক্ষে ভোট না দিতে প্রচ্ছন্ন ভীতি প্রদর্শনও করা হয়েছিল। তদুপরি ছুঁইছুঁই সহস্র ভোট আমার পক্ষে আসে। ফলাফলে আমি আনন্দিত এবং একই সঙ্গে বিস্মিত হই। যেখানে প্রার্থী হিসেবে নিজের অস্তিত্ব সংকটই দিনভর দৃশ্যমান ছিল সেখানে এত অগ্রজ-অনুজ সহকর্মী আমাকে বিবেচনায় তুলেছেন! সেদিন মনে মনে কবি নির্মলেন্দু গুণকে স্মরণ করি, ‘কবি নজরুল পরাজিত হলে ক্ষতি কার?’

অতএব, প্রিয় ক্লাবকে দুই হাত ঊর্ধ্বে তুলে প্রণতি জানিয়ে নিভৃতে শাহবাগের পুস্তক বিপণিগুলোয় আশ্রয় নিলাম। যোগ হয় পাঠক সমাবেশ, প্রথমা, তক্ষশিলা, জনান্তিক ইত্যাদিতে নিত্য আনাগোনা। নিবিড় অভিনিবেশ নিয়ে স্পর্শ করতেই বেশ সহযোগিতা করল বিচিত্র ধরনের বইগুলো। এমনকি আমার পক্ষে ডানা প্রসারিত করে প্রকাশ্যে জোরালো সমর্থনও জোগাল তারা। যেখানে কোনো সিনিয়র-জুনিয়র প্রতিপক্ষের উপস্থিতি নেই। এ যেন হঠাৎ আলোর ঝলকানি। বছর দুই বাদে বিভিন্ন দৈনিকের সাহিত্য সাময়িকীতে আমার নিয়মিত লেখা শুরু। তবে এই নয় যে আগেও ছিটেফোঁটা কিছু লিখিনি। আজকাল সময়ে অসময়েও আমার ঠিকানার বাইরে ঠিকানা পাঠক সমাবেশের দোতলার সিঁড়িতে পা রাখি। বই নেওয়া, পড়া এবং লেখা সমানতালেই চলেছে।

৮. লেখালেখির নিজস্ব একটি ভুবন সৃষ্টি করার একাগ্র প্রয়াস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা সব সময় ভাবী। এ যাবৎ আমার ভাবনা নিজের দেশ, জনপদ, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, বাংলার প্রকৃতি, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনীতিক, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির মৌলিক পৃষ্ঠপোষকতায় নিবেদিতপ্রাণ, মননশীল ব্যক্তিত্বগণের বাইরে যেতে পারেনি। আমরা জানি আমাদের পৃথিবীতে নির্ধারিত গন্ডি বা কোনো অদৃশ্য সীমাবদ্ধতায় আটকে পড়া লেখকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। আমি মনে করি লেখার বিষয় বা উপজীব্য সব সময় খুঁজে বের করার কাজ নয় বরং একজন লেখকের-চোখে দেখে যেতে পারলেই হলো। বিখ্যাত সৈয়দ মুজতবা আলী বা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বা আমাদের হুমায়ূন আহমেদের তেমন উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলির প্রয়োজন হয়নি। অথচ এদের শৈল্পিক বর্ণনার মায়াবী জালে আটকা পড়ে প্রতিদিন অপার মুগ্ধতায় যাপিত হচ্ছে অগণিত পাঠকের দিনরাত। কখনই একগুঁয়ে নিষ্প্রভ হয়ে ওঠেন না তারা।

৯. সুদীর্ঘ সময়ের চাকরিতে সবারই সুসময়-দুঃসময় থাকে। যেমন ‘চিরদিন সবার সমান নাহি যায়’। এটি বোধকরি দুনিয়ার সর্বত্র কম-বেশি আছে। আকস্মিকভাবে অনাকাক্সিক্ষত স্থানে বদলি, স্বাভাবিক পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়া, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সাময়িক বিরাগভাজন হওয়া, সন্দেহের চোখে দেখা ইত্যাদি অভিজ্ঞতা থেকেও আমি বঞ্চিত হইনি। এখন ভাবী, এসবেরও দরকার আছে। যেমন- মহামতি সক্রেটিস মৃত্যুর আগে তাঁর অনুরাগী শিষ্যদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘তোমরা আমাকে নিয়ে এত উদ্বিগ্ন কেন! শোনো, ডান্ডাবেড়িরও দরকার আছে।’ (everything relates everything else)। সবকিছুর অভিজ্ঞতাই জীবনকে মহিমান্বিত করে তোলে। বেঁচে থাকার আনুষ্ঠানিকতাকে খানিকটা সমৃদ্ধও করে বইকি।

১০. তবে চাকরিতে একটা অদ্ভুত অমানবিক বিচারিক বিষয়ের নিত্যনৈমিত্তিক পুনরাবৃত্তি দেখেছি এবং মাঝেমধ্যে বেদনাহত হয়েও অব্যক্ত থেকেছি। অবশ্য এর জন্য সরকার একেবারেই দায়ী নয়। পুরো দায় বর্তায় নিজেদের সহকর্মী, বন্ধু বা ব্যাচমেটদের (batch-mate zealously) ওপর। বলা বাহুল্য, আমাদের এ সময়ে সরকারপ্রধান হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রতি অভূতপূর্ব ঔদার্য্য প্রদর্শনপূর্বক এদের যত প্রকার আর্থিক সুযোগ ও পদোন্নতি দিয়েছেন গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে তা বিরল। শুনেছি, আমরাই আমাদের কাউকে পদোন্নতি না দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করি। তখন আমরা স্বাভাবিক বালি না থেকে সূর্যের ভূমিকায় অবতীর্ণ হই। এমন পরিস্থিতিতে বরং বাংলাদেশের মানবিক প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার মতো করেই বলেছেন, ‘কারও পদোন্নতি আটকানো উচিত নয়, দিয়ে দাও।’ কাজেই কোনো কর্মচারীর সম্পর্কে শুধু জনশ্রুতি বা শোনা কথার (hearsays) ওপর স্থির থেকে তার ভাগ্য বা নিয়তিকে নির্ধারণ করে দেওয়া যায় না। এটি অবশ্যই পীড়াদায়ক এবং দুর্ভাগ্যজনক। তা ছাড়া এমন প্রক্রিয়ার আশীর্বাদে কারও কারও ক্যারিয়ারে অভাবনীয়ভাবে উন্নতি হয় আবার কেউ কেউ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। তবে দিনের শেষে আমরা সবাই ভাগ্যবিধাতা বলেই সান্ত¡না খুঁজি।

আমার চাকরি এবং দাম্পত্য জীবনের সূচনা হয়েছিল একদম একসঙ্গে। সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছিল উভয় জীবনের সাজানো তরী। বিয়ের সামাজিক অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করে মাত্র ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে উত্তরবঙ্গের এক সীমান্ত জেলায় চাকরি শুরু করেছিলাম। আমার ৩১ বছরের সাধের সংসার ও পারিবারিক জীবনের হঠাৎ ছন্দপতন ঘটায় বিশ্বব্যাপী চলমান অভিশপ্ত করোনা। আমার প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়ে হৃদয়ে অহর্নিশি রিক্ততা অনুভব করি। অন্তহীন আফসোস আমার, অনবরত রক্তক্ষরণ হয় যাঁকে নিয়ে যাত্রা শুরু, শেষ হলো না তাঁর হাত দিয়ে। এখন মনে হয় এমন বর্ণাঢ্য চাকরির অবিচ্ছেদ্য অংশীদারও ছিলেন আমার সহধর্মিণী। ইদানীং প্রায়ই সশব্দে বলে উঠি, পৃথিবীতে ৫০ লাখ বা বাংলাদেশে ২৮ হাজার মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেনি। হ্যাঁ, কেবল একজনই গেছেন তিনি আমার অর্ধাঙ্গিনী। তবু আমাদের জীবনের জন্য অনেক মায়া, অনেক ভালোবাসা।

 

                লেখক : গল্পকার।

এই বিভাগের আরও খবর
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
যুদ্ধ নয় শান্তি
যুদ্ধ নয় শান্তি
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
হজের সূচনা যেভাবে হলো
হজের সূচনা যেভাবে হলো
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
সাইবার সুরক্ষা
সাইবার সুরক্ষা
ওএসডি কালচার
ওএসডি কালচার
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা  প্রয়োজন
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা প্রয়োজন
ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলামে নারীর অধিকার
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে সরকার
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে সরকার

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

হাটহাজারীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
হাটহাজারীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৩ সেকেন্ড আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস
গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস

৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস
আগামী ২০ বছরের মধ্যে সব সম্পদ বিলিয়ে দেবেন বিল গেটস

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল

৩০ মিনিট আগে | রাজনীতি

বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ
বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে
যেখান থেকেই ইরানি স্বার্থে আঘাত আসবে, সেখানেই পাল্টা হামলা হবে

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
জুলাই শহীদের কন্যাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ
চুল পরিষ্কার না হওয়ার লক্ষণ

৫৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ
পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার পরামর্শ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের
বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি হামাসের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫
পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার
মাথাব্যথার কারণ ও প্রতিকার

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান
কুবিতে টেন্ডার কেলেঙ্কারি : প্রায় ১০ লাখ টাকা লোকসান

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার
গুম হওয়া বিএনপি নেতার বাসায় পুলিশ, এসআইকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা
যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইরান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

মোহামেডানের দরকার ৪৩
মোহামেডানের দরকার ৪৩

মাঠে ময়দানে