শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নারী ফুটবলে শিরোপা

অন্যরা শিক্ষা নিলে উপকৃত হবেন

ভারতকে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবলের শিরোপা অর্জন করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ছেলেদের ফুটবলে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের সবচেয়ে পেছনের দিকে। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নিরিখেও অবস্থান লজ্জাকর। ভুটান ও মালদ্বীপের মতো দেশগুলোর কাছেও বাংলাদেশের ফুটবল দলের হারে এখন আর কেউ অবাক হয় না। সে লজ্জা থেকে জাতিকে দূরে রেখেছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের দল। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে তারা শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে। ভারত নিঃসন্দেহে এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। যে কোনো খেলায়ই বাংলাদেশ প্রতিবেশী দলটির বিপক্ষে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ক্রিকেট, হকি কিংবা ছেলেদের ফুটবলে অভিন্ন দৃশ্য দেখা গেলেও এ ধারণায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছেন মারিয়া মান্ডারা। বুধবার কমলাপুর স্টেডিয়ামের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে আক্রমণের পর আক্রমণে আক্ষরিক অর্থেই ছিন্নভিন্ন করে দেন তারা। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে ডি-বক্সের ডান পাশ থেকে রিপার ব্যাক হিলে বল পান অনাই মোগিনি। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে মোগিনির শট ছুটে যায় গোলমুখে। অনেকটা লাফিয়েও বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ভারতের গোলরক্ষক আনশিকা। বল জড়ায় জালে। গোল উৎসবে মেতে ওঠেন মারিয়া মান্ডারা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে ম্যাচের স্কোরলাইন দিয়ে মারিয়াদের পারফরম্যান্স বিচার করলে ভুলই হবে। ম্যাচজুড়ে অন্তত পাঁচটি গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি করেছেন তারা। মাঝমাঠে মারিয়া মান্ডা, রিপা, শামসুন্নাহারদের দাপটের কাছে বারবারই হার স্বীকার করেছেন ভারতের মেয়েরা। এ জয়ের মাধ্যমে শিরোপা নিজেদের হাতে রাখতে সক্ষম হলেন মারিয়া মান্ডারা। ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে তারা শিরোপা পান নেপালকে হারিয়ে। এ আসরটিই এ বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ নামে। মারিয়া মান্ডারা প্রমাণ রেখেছেন দৃঢ় মনোবল থাকলে শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারানো সম্ভব। যা থেকে পুরুষ ফুটবল দলেরও শিক্ষা নেওয়ার আছে। যে শিক্ষা জাতিকে পিছিয়ে থাকার লজ্জা থেকে রেহাই দিতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর