শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

বায়ু-শব্দ-পানি দূষণ

এ দুরবস্থার অবসান কাম্য

বায়ু ও শব্দ দূষণে কুখ্যাতি অর্জন করেছে রাজধানী ঢাকা। জনস্বাস্থ্যের জন্য বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ হুমকি হয়ে দাঁড়ালেও তা নিরসনে কোনো কর্তৃপক্ষ দেশে আছে বলে মনে হয় না। পানিদূষণেও অসামান্য কীর্তি রাখার চেষ্টা করছেন এ ক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। বায়ুদূষণে কয়েক বছর ধরে দফায় দফায় বিশ্বের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে দূষিত বায়ুর রাজধানী হিসেবে ঢাকা এখন বিশ্বসেরা। অথচ ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, বাংলাদেশে পরিবেশদূষণ জনিত নানা অসুখ-বিসুখে প্রতি বছর ২৮ শতাংশ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। আর বিশ্বে ঠিক একই কারণে গড় মৃত্যু মাত্র ১৬ শতাংশ। সে প্রতিবেদন প্রকাশের চার বছর পার হয়েছে। সে সময়ের চেয়ে দেশের বা ঢাকার বাতাস এখন আরও বেশি দূষিত। বায়ুদূষণের পর শব্দদূষণেও বিশ্বের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। রাজধানী ঢাকায় এ দূষণের মাত্রা বিশ্বের অন্য যে কোনো শহরের চেয়ে বেশি। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির ২০২২ সালের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য; যেখানে বিশ্বের ৬১ শহরের শব্দদূষণের মাত্রা তুলে ধরে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ঢাকাসহ বাংলাদেশ যে শব্দদূষণের অভয়ারণ্য তার প্রমাণ রাজশাহীর মতো ছোট মহানগরীও এ ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে ওঠার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। এমন কৃতিত্ব দেশের ভাবমূর্তির জন্য বিড়ম্বনা ডেকে আনলেও কর্তাব্যক্তিরা এগুলোকে কোনো সমস্যাই মনে করেন না। রাজধানীতে গ্রীষ্ম মৌসুম এলেই সঙ্গে হাজির হয় ডায়রিয়া আর কলেরার দাপট। দূষিত পানির কারণে গ্রীষ্মে দ্রুত ছড়ায় পানিবাহিত রোগ। ওয়াসার পানির ওপর মানুষের এতই অনাস্থা যে বিদেশিদের অনেকে এ দেশের বোতলজাত পানি পান করতেও শঙ্কায় ভোগেন। বায়ু-শব্দ-পানি দূষণ কেড়ে নিচ্ছে মানুষের আয়ু। মানসিক স্বাস্থ্যের সর্বনাশ ডেকে আনছে। দূষণের এ অবাধ রাজত্বের অবসান ঘটাতে হলে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর