বুধবার, ১৫ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

করোনা সংক্রমণ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ দিন পর এক দিনে ৩ অঙ্কে পদার্পণ করেছে। সোজা কথায় সংক্রমণের হার এক শর বেশি ঠেকেছে আবারও। সংক্রমণের এ চিত্রে বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে তা সংখ্যাতত্ত্বে অতিবিশ্বাসীরাও বলবেন না। কারণ দেশে যখন করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছিল তখনো আক্রান্তের একটি ক্ষুদ্র অংশই সংক্রমণ পরীক্ষা কেন্দ্রের শরণাপন্ন হতো। আর এর প্রকোপ কমার পর গত তিন মাসে এ ভাইরাসটির বিদায় ঘটেছে বলে সিংহভাগ মানুষের বিশ্বাস।

তবে এ বিশ্বাস যে আত্মঘাতী হতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, করোনা সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত তিন দফা করোনার ঢেউ সামলেছে দেশ। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এখনো যারা টিকা নেননি তাদের অবশ্যই টিকা নিতে হবে। যারা দুই ডোজ নিয়েছেন তাদের নিতে হবে বুস্টার ডোজ। সংক্রমণ হার ১০০ ছাড়ালেও মৃত্যুহার এখনো নিয়ন্ত্রণে। তবে করোনাকে অবহেলার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ ও মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যক্তি, সামাজিক ও সরকারি পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা সবাই মোটামুটি জানি কীভাবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হয়। সবাই মিলে গুরুত্ব দিয়ে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, এ বছরের পর করোনাভাইরাস মহামারি হয়ে ওঠার শক্তি হারাবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নিজেদের অসতর্কতার জন্য আমরা যাতে বিপদে না পড়ি তা মনে রেখে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। করোনাভাইরাসের নতুন উত্থানকে খাটোভাবে না নিয়ে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে নিজেদের স্বার্থেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর