শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

হাসপাতালে ভাঙচুর

এ প্রবণতা মেনে নেওয়া যায় না

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত রাত ৮টার দিকে শহীদ হবিবুর রহমান হলের ৩ নম্বর ব্লকের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে আহত হন কে জি এম শাহরিয়ার নামে এক শিক্ষার্থী। গুরুতর অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত হয়ে সহপাঠীরা রাত ১০টার দিকে ভাঙচুরে মেতে ওঠেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নেওয়ার পর অব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা হয়নি শাহরিয়ারের। যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের নাম প্রকাশ করে প্রত্যেককে শাস্তি দিতে হবে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে অনশন কর্মসূচিও পালন করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা শাহরিয়ারকে জরুরিভাবে আইসিইউতে নিতে বলেন। কিন্তু জরুরি বিভাগে থাকা ব্যক্তিরা বলেন, চিকিৎসকের রেফারেন্স লাগবে। পরে ওই শিক্ষার্থী সেখানেই মারা যান। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের ফুলের টব ভেঙে ফেলেন ও পরিচালকের কক্ষ ভাঙচুর করে নিজেদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। খবর পেয়ে হাসপাতালে যান রাজশাহী মহানগরী পুলিশ কমিশনার। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুর্ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর প্রাণহানি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। তবে এ ঘটনা কেন্দ্র করে সহপাঠী শিক্ষার্থীরা যেভাবে হাসপাতালে ভাঙচুর করেছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সহপাঠীর মৃত্যুতে শিক্ষার্থীরা আবেগপ্রবণ হবেন এতে অস্বাভাবিকতা না থাকলেও সে আবেগ হাসপাতালে ভাঙচুর করার মতো অশোভন প্রবণতায় রূপান্তর হলে তা অবশ্যই আপত্তিকর। হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গের ঘটনা ঘটলে তা অবশ্যই জবাবদিহির সম্মুখীন হওয়া উচিত। কিন্তু তা নির্ধারণের দায়িত্ব শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে তুলে নেবেন, এ কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত ছিল না। আমরা আশা করব এ প্রবণতা রোধে সবাই সুমতির পরিচয় দেবেন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর