শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২ আপডেট:

স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে চাই স্বাস্থ্যবীমা

ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে চাই স্বাস্থ্যবীমা

অসংক্রামক রোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। জটিল কোনো রোগ যেমন ক্যান্সার, হার্ট, লিভার বা কিডনি বিকল, স্ট্রোক বা দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হলে অসচ্ছলদের পক্ষে টাকার অভাবে চিকিৎসা নেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া জন্মের পর থেকে প্রতিবন্ধী রোগীরা যেমন অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও সেরিব্রাল পলসি, যাদের সারা জীবন চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে হবে তাদের জন্যও ব্যয় নির্বাহ করা অনেক পরিবারের জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। এ ছাড়া চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি, ওষুধের আকাশচুম্বী দাম, রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার উচ্চ খরচ, বেড চার্জ, অ্যাডমিশন ফি, মাত্রাতিরিক্ত অপারেশন চার্জ, সিসিইউ, আইসিইউ এবং ডায়ালাইসিসের উচ্চতর ফি ইত্যাদি কারণে চিকিৎসা ব্যয় বেড়েই চলেছে। ফলে প্রতিবন্ধীসহ যারা দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগেন তাদের অনেকের পক্ষে যেমন চিকিৎসার খরচ চালানো অনেকটাই অসম্ভব, তেমনি এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে দিন দিন অনেকেই আরও গরিব হয়ে পড়ছেন। দ্রুত স্বাস্থ্য খাত বীমার আওতায় আনতে না পারলে ব্যক্তিগত চিকিৎসার ব্যয় বাড়তেই থাকবে এবং মানুষের দীনতা আরও বেড়েই চলবে।

অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো চিকিৎসা একটি মৌলিক অধিকার। চিকিৎসা ব্যয়ের প্রায় ৬৯ শতাংশ ব্যক্তি নিজে বহন করেন, আর এ ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে প্রতি বছর ৮৬ লাখের বেশি মানুষ গরিব থেকে আরও গরিব হচ্ছে। ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে ৩ কোটির বেশি মানুষ প্রয়োজন হলেও চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে যেতে পারেন না। নিম্ন বা সীমিত আয়ের লোকজন চিকিৎসার জন্য নিজেরা আলাদা কোনো টাকা বরাদ্দ রাখেন না। ফলে যে-কোনো রোগের বা জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন মেটাতে তাকে হিমশিম খেতে বা দৈন্যদশায় পড়তে হয়। এমনকি নিজের শেষ সম্বল বা ঘরবাড়ি বিক্রি করে অথবা ঋণ নিয়ে চিকিৎসাসেবা চালাতে হয়। এত কিছু করেও চিকিৎসা নিয়ে রোগ নিরাময় হবে কি না অথবা অনিরাময় কোনো রোগে আক্রান্ত রোগী বেঁচে থাকবেন কি না তার কোনো নিশ্চয়তা কিন্তু নেই। নির্মম সত্য হলো, চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে পরিবারটি যে পথে বসতে পারে বা আর্থিক দীনতায় পড়বে তা কিন্তু শতভাগ সত্য। অথচ এ অবস্থায় পড়তে হতো না যদি তাদের স্বাস্থ্যবীমা থাকত।

স্বাস্থ্যবীমা সম্পর্কে জানার আগে বীমা সম্পর্কে কিছু জানা দরকার। বীমা বা ইন্স্যুরেন্স হচ্ছে বীমা কোম্পানি এবং ব্যক্তির মধ্যে একটি চুক্তি, যার মাধ্যমে বীমা কোম্পানি সেই বীমাকৃত ব্যক্তির প্রদত্ত প্রিমিয়ামের বিনিময়ে তাকে কোনো আকস্মিক আর্থিক ক্ষতির জন্য ক্ষতি পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। বীমা চুক্তিকে সাধারণভাবে ‘বীমা পলিসি’ বলা হয় এবং যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বীমা পলিসি গ্রহণ করে তাকে ‘বীমাগ্রহীতা’ বলা হয়। বীমা এক ধরনের আর্থিক সেবা যা ব্যক্তি, পরিবার বা কোম্পানিকে অসংখ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে এবং ব্যক্তিগত জীবনের বা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ঝুঁকির বিপরীতে সুরক্ষা দেয়। যেমন আকস্মিক অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, আগুন লাগা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি ইত্যাদি। এসব ঝুঁকির কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি হলে বীমা কোম্পানি আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।

স্বাস্থ্যবীমা : একজন ব্যক্তির অসুস্থতায় চিকিৎসা ব্যয় বহন করার জন্য বীমা কোম্পানির সঙ্গে যে চুক্তি করা হয় সেটাই স্বাস্থ্যবীমা। স্বাস্থ্যসেবার সামগ্রিক ঝুঁকি ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ব্যয়ের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, একজন বীমাকারী বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যবীমা গ্রহণ করতে পারেন, যেমন নিজের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিপরীতে নির্দিষ্ট অঙ্কের মাসিক প্রিমিয়ামের অর্থ অথবা পে-রোল ট্যাক্স, এ উদ্দেশ্যে জমা করেন যা বীমার চুক্তি অনুযায়ী বীমা কোম্পানি ব্যক্তিটির জরুরি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ জোগাবে। যেমন অসুস্থ হলে চিকিৎসা খরচ, প্রতিবন্ধিত্ব বা দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ অথবা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ প্রদান। অর্থাৎ স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে ওই বীমা প্রতিষ্ঠান সেই ব্যক্তির চিকিৎসাসংক্রান্ত ব্যয়ের সম্পূর্ণ বা একটি বড় অংশ প্রদান করে। সাধারণত বীমা কোম্পানি স্বাস্থ্যবীমা তালিকাভুক্ত হাসপাতালগুলোয় ‘ক্যাশলেস’ সেবা অথবা সেবা গ্রহণ-পরবর্তীকালে গ্রাহককে বীমার অর্থ প্রদান করে থাকে।

প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্যবীমা থাকা জরুরি : স্বাস্থ্যবীমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে যে-কোনো ব্যক্তি খুব অল্প পরিমাণ প্রিমিয়াম প্রদানের বিনিময়ে প্রয়োজনীয় আর্থিক সুরক্ষা পেতে পারেন এবং চিকিৎসা ব্যয়সহ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অপারেশনের জন্য যা খরচসহ তার পুরোটা বা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কোম্পানি দিতে বাধ্য থাকবে। স্বাস্থ্যবীমার আরও অনেক সুবিধা আছে। যেমন- হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় রোগ নির্ণয়ের সব পরীক্ষা, ডাক্তারের পরামর্শ ফি, অপারেশন খরচ এবং যে-কোনো অনাকাক্সিক্ষত অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা মেডিকেল ইমারজেন্সি হলে স্বাস্থ্যবীমা আর্থিক সুরক্ষা দেয়, যার ফলে যে-কোনো বিপদের মুহূর্তে ইন্স্যুরেন্স প্ল্যানের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স চার্জ থেকে শুরু করে ডে-কেয়ার পর্যন্ত সবকিছুর জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ পাওয়া যাবে।

বীমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কোনো কোনো হাসপাতালের চুক্তি থাকে, যার আওতায় হাসপাতালে ভর্তি বীমাকারী রোগীকে নগদহীন চিকিৎসা প্রদান করে এবং বীমাকারীদের প্রাপ্ত চিকিৎসার সঙ্গে সম্পর্কিত খরচগুলো ব্যক্তিটি দাবি করার পর বীমা কোম্পানি পুরো খরচের বা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করবে। অনেক স্বাস্থ্যবীমা পলিসি অতিরিক্ত খরচ বা গুরুতর অসুস্থতার জন্য কভার প্রদান করবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবীমা করা থাকলে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবাও নেওয়া যায় এবং কেউ মৃত্যুবরণ করলে সম্পূর্ণ বীমার টাকা নমিনিকে প্রদান করা হয়।

আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবীমা কি সম্ভব? : পৃথিবীর উন্নত দেশ ও কল্যাণ রাষ্ট্রগুলোয় মানুষের স্বাস্থ্যসেবা অনেকাংশে বীমার ওপর নির্ভরশীল। ফলে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় মেটাতে সেসব দেশের জনগণকে আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয় না।

বাংলাদেশে এটি একেবারেই উদীয়মান পর্যায়ে রয়েছে আর বিপুল জনগোষ্ঠী এ ব্যাপারে অবহিত নয় এবং এর আওতার বাইরে। এমনকি স্বাস্থ্যবীমা শব্দটি অনেক মানুষের কাছে প্রায় অপরিচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোগীর সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবীমা চালু থাকলেও বাংলাদেশে এখনো এ সেবা সফলভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি। সেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকার পরও দেশের অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্যসেবা পেতে বীমা করতে আগ্রহী নয়। তা ছাড়া আগে টাকা দিয়ে পরে সেবা গ্রহণের মনোভাব না থাকা এবং একজনের টাকায় অন্যজনের চিকিৎসা বিষয়েও অনীহা রয়েছে। তাই স্বাস্থ্যবীমা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ এ খাতের মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি নিম্নমধ্য আয়ের দেশে স্বাস্থ্যসেবার জন্য মাথাপিছু প্রয়োজন হবে ১৪৬ ডলার। সেখানে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় ৪৬ ডলার, যার ৬৯ শতাংশ ব্যক্তির নিজের ব্যয়। ফলে আকস্মিক স্বাস্থ্য ব্যয় নিজের পকেট থেকে মেটাতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর জনগণের বিশাল অংশ দরিদ্র হয়ে পড়ছে। সারা পৃথিবীতে স্বাস্থ্যসেবার খরচের ধাক্কায় ১০ কোটির বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার সব সদস্য রাষ্ট্রকে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা (ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ) নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছে। এর মানে হলো, কোনো আর্থিক সংকট ছাড়া প্রত্যেকেই প্রয়োজন অনুযায়ী মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা পাবে।

স্বাস্থ্যসেবা পেতে বাংলাদেশের মানুষকে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের বিশাল অংশ নিজের পকেট থেকে খরচ করতে হয়। ২০১৫ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টের তথ্যমতে সেবা নিতে গিয়ে জনপ্রতি ৬৭ টাকা পকেট থেকে ব্যয় করতে হয়, ২০১২ সালে যা ছিল ৬৩ টাকা। তবে বর্তমানে পকেট থেকে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা। স্বাস্থ্যসেবা পেতে বীমা নিতে অনাগ্রহের কারণে অধিকসংখ্যক মানুষকে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার (ইউএইচসি) আওতায় আনা যাচ্ছে না। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অর্জনের উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম সবার জন্য সুস্বাস্থ্য। কারণ দেশের সব ধরনের উন্নয়নের স্থায়িত্বের জন্য সবার আগে প্রয়োজন জনগণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। এজন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির এবং স্বাস্থ্যবীমার বিকল্প নেই। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবীমার প্রতি অনাগ্রহী। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশে স্বাস্থ্যবীমা নিশ্চিত করা সহজ নয়। এর জন্য সমন্বিত সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।

পৃথিবীর কোনো দেশেই রাতারাতি এটি চালু করা হয়নি, এমনকি শতভাগ নাগরিককে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। কারণ একটি দেশের আর্থিক অবস্থা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা ও মনমানসিকতার ওপর নির্ভর করেই স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হয়। ফলে এটি বাস্তবায়ন হতেও দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। প্রকৃতপক্ষে স্বাস্থ্য একটি অপরিহার্য সম্পদ এবং স্বাস্থ্যকর জীবন বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যবীমা পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যা কোনো অপ্রত্যাশিত চিকিৎসা ব্যয়ের ক্ষেত্রে একটি নিরাপত্তা জাল তৈরি করে।

আমাদের দেশের কেউ চাইলেই সহজে সবাইকে বীমার আওতায় আনা হয়তো সম্ভব হবে না, তবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আয়ের অনুপাতে এবং পরিবারের সদস্যসংখ্যা অনুযায়ী বীমার প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রথমে উচ্চবিত্ত থেকে ক্রমান্বয়ে মধ্যবিত্তদের আগে বীমার আওতায় আনতে হবে। পরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকেও বীমার আওতায় আনতে হবে, খুবই স্বল্পমূল্যে বা সম্ভব হলে বিনামূল্যে। এমনকি দরিদ্রদের প্রিমিয়াম সরকারিভাবে দেওয়া যেতে পারে। এতে নিম্ন আয়ের ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা সহজ হবে, বাজেটে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা যেতে পারে।

দেশে প্রচলিত প্রাইভেট ইন্স্যুরেন্স কেম্পানিগুলোর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবীমা খুব গ্রহণযোগ্য না হলেও গ্রুপ স্বাস্থ্যবীমা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বহু প্রতিষ্ঠান এ গ্রুপ হেলথ ইন্স্যুরেন্স করছে। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রামীণ ব্যাংকসহ আরও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আঙ্গিকে স্বাস্থ্যবীমা চালু করেছে। অন্যদিকে কমিউনিটি পর্যায়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ আরও কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। এখন জরুরি হয়ে উঠেছে সরকারের সিদ্ধান্ত। বেসরকারি পর্যায়ের স্বাস্থ্যবীমার কার্যক্রমের সঙ্গে সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে সারা দেশের মানুষের জন্য একটি কার্যকর স্বাস্থ্যবীমা পদ্ধতি চালু করা। যার মধ্য দিয়ে সরকারের সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিকল্পনা বাস্তবায়নও সহজ হয়ে উঠবে।

বীমার সেবা বা খরচের হিসাব সুষ্ঠু করতে সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল বীমা গ্রহণের এবং সেবা প্রদানের জন্য নিবন্ধনব্যবস্থার আওতায় আনা যেতে পারে। এমনকি বীমা ব্যবহারকারীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগ অনুযায়ী সাধারণ প্যাকেজভিত্তিক সেবা চালু করা যেতে পারে। অর্থাৎ বীমা ব্যবহার করলে সে নির্ধারিত হাসপাতালগুলো থেকে নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসা একটি নির্দিষ্ট খরচে পাবে। ফলে বীমার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা পাওয়া যেমন সহজতর হবে, তেমনি চিকিৎসা খরচ ও বীমার অর্থ ব্যয়ের জটিলতাও থাকবে না।

স্বাস্থ্যবীমা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আরও একটা বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন, আসলেই যারা গরিব তারাই যেন ফ্রি বা স্বল্পমূল্যের সুবিধা পান। আবার বিত্তবানরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যেন বীমার আওতায় চলে আসেন। কারণ এখানে তিনি শুধু নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বীমা করছেন না, বরং  পরোক্ষভাবে অন্য আরেকজনের চিকিৎসাসেবায় সহায়তা করে দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখছেন, পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে। এখানে আরও একটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, যেন গতানুগতিক বীমার মতো সেবা পেতে কাউকে হয়রানি করা না হয়। সাধারণ বীমার মতো সেবার টাকা ওঠাতে গিয়ে যদি অফিসের টেবিলে টেবিলে দৌড়াতে হয়, তবে মানুষ কিন্তু আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। কারণ স্বাস্থ্য বিষয়টি সব সময়ই স্পর্শকাতর, তাই যে মানুষটি বিপদের শঙ্কায় বছরব্যাপী বীমার প্রিমিয়াম জমা দিল, তাকে তার প্রয়োজনের সময় যত দ্রুত সম্ভব প্রাপ্যটা সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো প্রকার হয়রানি যেন না হয় সে ব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যার তুলনায় দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্তের সংখ্যাও কম নয়। দরিদ্র জনগণের সব রকমের চিকিৎসা ব্যয় মেটানো এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। তবে স্বাস্থ্যবীমা করা থাকলে এ চ্যালেঞ্জ শতভাগ না হলেও অনেকটা মেটানো সম্ভব। কিন্তু এ কথা সত্য, আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবীমা চালু করা অত্যন্ত কঠিন এবং এর বাস্তবায়ন আরও কঠিন। তবে সরকার যদি একে বাধ্যতামূলক করে তাহলে কাজটি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। সর্বোপরি স্বাস্থ্যবীমা করা থাকলে রোগীদের বিশেষ করে হতদরিদ্র বা সহায়সম্বলহীনদের উন্নত ও জরুরি চিকিৎসা দেওয়া যেমন সম্ভব হবে, তেমনি আর্থিক দৈন্যের কারণে তাদের চিকিৎসা প্রাপ্তিও ব্যাহত হবে না। তবেই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন সম্ভবপর হবে, যার মূল লক্ষ্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং এ খাতে ব্যক্তিগত ব্যয় শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনা। মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে চলেছে। যে-কোনো মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে এবং চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য পেতে, স্বাস্থ্যবীমা পলিসি করা এখন সময়ের দাবি।

লেখক : প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক

এই বিভাগের আরও খবর
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
ভিসা জটিলতা
ভিসা জটিলতা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
বাণিজ্যে অচলাবস্থা
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
প্রাপ্তির খাতা শূন্য
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
নৈতিকতার পতন : আদর্শবান তরুণ থেকে ঘুষখোর কর্মকর্তা
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
তিন রোগের সংক্রমণ
তিন রোগের সংক্রমণ
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
শেষ রাতের সৌভাগ্যবান যারা
শেষ রাতের সৌভাগ্যবান যারা
নফল ইবাদতের মাস মহররম
নফল ইবাদতের মাস মহররম
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
ইরানে ফের হামলা-প্রস্তুতির যুদ্ধবিরতি!
ইরানে ফের হামলা-প্রস্তুতির যুদ্ধবিরতি!
সর্বশেষ খবর
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ জনকে হত্যা করল ইসরায়েল

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উইম্বলডন শিরোপার দৌড়ে সাবালেঙ্কা
উইম্বলডন শিরোপার দৌড়ে সাবালেঙ্কা

২২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসে মহারাজের অনন্য রেকর্ড
দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসে মহারাজের অনন্য রেকর্ড

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জর্ডান ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বৈঠক
জর্ডান ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বৈঠক

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির সম্মেলন
দীর্ঘ ১৭ বছর পর টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির সম্মেলন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

থমকে গেছে ঋণসহায়তা কমিটির কার্যক্রম
থমকে গেছে ঋণসহায়তা কমিটির কার্যক্রম

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেসি-সুয়ারেজদের উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি
মেসি-সুয়ারেজদের উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতেই সংসদ নির্বাচন হবে : আমীর খসরু
ফেব্রুয়ারিতেই সংসদ নির্বাচন হবে : আমীর খসরু

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩১ দফা বাস্তবায়নে খিলক্ষেতে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
৩১ দফা বাস্তবায়নে খিলক্ষেতে বিএনপির লিফলেট বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় ৪৫ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় ৪৫ জনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফের আগ্রাসন চালালে ইসরায়েলকে দাঁতভাঙা জবাব দেবে ইরান’
‘ফের আগ্রাসন চালালে ইসরায়েলকে দাঁতভাঙা জবাব দেবে ইরান’

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বুলাওয়ায়োতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, ইতিহাসে উইলিয়ামস
বুলাওয়ায়োতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, ইতিহাসে উইলিয়ামস

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের সেই উপস্থাপিকাকে পুরস্কারে ভূষিত করলেন মাদুরো
ইরানের সেই উপস্থাপিকাকে পুরস্কারে ভূষিত করলেন মাদুরো

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে: আসিফ মাহমুদ
নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে: আসিফ মাহমুদ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম
ফলের রাজ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগ
ছাদ থেকে লাফ দিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টার অভিযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারি বৃষ্টিপাতের বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর
ভারি বৃষ্টিপাতের বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে রুশ হামলায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত
ইউক্রেনে রুশ হামলায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮ ঘণ্টা শাটডাউনের পর এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার
৪৮ ঘণ্টা শাটডাউনের পর এনবিআরের আন্দোলন প্রত্যাহার

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'ক্যাটরিনা কখনও আলোচনা করে না', ভিকির কণ্ঠে আক্ষেপ
'ক্যাটরিনা কখনও আলোচনা করে না', ভিকির কণ্ঠে আক্ষেপ

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নড়াইলে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রসচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি
নড়াইলে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রসচিব ও ট্যাগ অফিসারকে অব্যাহতি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সবার অধিকার রক্ষায় কাজ করবে বিএনপি : তাহসিনা রুশদীর লুনা
সবার অধিকার রক্ষায় কাজ করবে বিএনপি : তাহসিনা রুশদীর লুনা

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে মাউশির নতুন নির্দেশনা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে মাউশির নতুন নির্দেশনা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাবিপ্রবির প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৭ জুলাই
শাবিপ্রবির প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৭ জুলাই

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘প্রাণিস্বাস্থ্যের বিষয়ে আপোসের কোনো সুযোগ নেই’
‘প্রাণিস্বাস্থ্যের বিষয়ে আপোসের কোনো সুযোগ নেই’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুরাদনগরের ঘটনায় ৪ জনের নামে পর্নোগ্রাফি মামলা, কারাগারে প্রেরণ
মুরাদনগরের ঘটনায় ৪ জনের নামে পর্নোগ্রাফি মামলা, কারাগারে প্রেরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে গুলিবর্ষণ, যুবক আটক
মুন্সীগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে গুলিবর্ষণ, যুবক আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তালগাছ কেটে বাবুই পাখি হত্যার ঘটনায় দুই মামলা
তালগাছ কেটে বাবুই পাখি হত্যার ঘটনায় দুই মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সর্বাধিক পঠিত
নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫
নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসফাহানের ভূগর্ভেই ইরানের পারমাণবিক শক্তি, যা ধ্বংসে অক্ষম মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’
ইসফাহানের ভূগর্ভেই ইরানের পারমাণবিক শক্তি, যা ধ্বংসে অক্ষম মার্কিন ‘বাঙ্কার বাস্টার’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯০ ডিগ্রি বাঁক! ‘অদ্ভুত’ সেতু নকশায় বরখাস্ত ৭ প্রকৌশলী
৯০ ডিগ্রি বাঁক! ‘অদ্ভুত’ সেতু নকশায় বরখাস্ত ৭ প্রকৌশলী

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমাম-খতিবদের বেতন পে স্কেল অনুযায়ী দিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি
ইমাম-খতিবদের বেতন পে স্কেল অনুযায়ী দিতে মন্ত্রণালয়ে চিঠি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম আবার কমলো
স্বর্ণের দাম আবার কমলো

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এনবিআর কর্মকর্তারা এতদিন আমাদের জ্বালিয়েছে, এখন সরকারকে: শওকত আজিজ
এনবিআর কর্মকর্তারা এতদিন আমাদের জ্বালিয়েছে, এখন সরকারকে: শওকত আজিজ

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৫০০ ধরনের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার
৫০০ ধরনের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা রাশিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি তিন বিলিয়ন ডলার
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি তিন বিলিয়ন ডলার

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ
কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে
দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এনবিআরের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৬ নেতার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক
এনবিআরের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৬ নেতার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইতিহাসের পাতায় ইরান
ইতিহাসের পাতায় ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সড়ক ভবন লুটেছে ১৫ ঠিকাদার
সড়ক ভবন লুটেছে ১৫ ঠিকাদার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৩ হাজার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুরাদনগরের অপকর্মে আওয়ামী লীগ নেতা জড়িত : রিজভী
মুরাদনগরের অপকর্মে আওয়ামী লীগ নেতা জড়িত : রিজভী

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ধর্ষণসহ ২৩ অপরাধে অভিযুক্ত ভবিষ্যৎ রাজার পুত্র
ধর্ষণসহ ২৩ অপরাধে অভিযুক্ত ভবিষ্যৎ রাজার পুত্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকার ব্যর্থ, জুলাই ঘোষণাপত্র ৩ আগস্টে দেবে এনসিপি : নাহিদ
সরকার ব্যর্থ, জুলাই ঘোষণাপত্র ৩ আগস্টে দেবে এনসিপি : নাহিদ

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত
ইউক্রেনের আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্ট পালিত হবে ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’
৫ আগস্ট পালিত হবে ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেফালির মৃত্যুর কারণ জানা গেল, পুলিশ বলছে 'তবু চলবে তদন্ত'
শেফালির মৃত্যুর কারণ জানা গেল, পুলিশ বলছে 'তবু চলবে তদন্ত'

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো : মির্জা আব্বাস
দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো : মির্জা আব্বাস

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুমিল্লার সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম থেকে সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
কুমিল্লার সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম থেকে সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতেই জুলাই সনদে স্বাক্ষরের আশা ছিল : আলী রীয়াজ
আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতেই জুলাই সনদে স্বাক্ষরের আশা ছিল : আলী রীয়াজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অবশেষে সিটি করপোরেশনের মর্যাদা পাচ্ছে বগুড়া পৌরসভা
অবশেষে সিটি করপোরেশনের মর্যাদা পাচ্ছে বগুড়া পৌরসভা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের
সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ আইডিয়ালের শিক্ষার্থীদের

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে রাজধানীর সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ
মধ্যরাতে রাজধানীর সড়কে ঝরল পাঁচ প্রাণ

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষের নজর ঘোরানোর সুযোগ নেই: আমীর খসরু
মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষের নজর ঘোরানোর সুযোগ নেই: আমীর খসরু

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা নির্বাচিত
শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা নির্বাচিত

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর
এক-এগারোর চেয়ে অনেক ভয়ংকর

সম্পাদকীয়

পুনর্গঠন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন
পুনর্গঠন হচ্ছে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

লুটের টাকায় নতুন ঠিকানায় কামাল
লুটের টাকায় নতুন ঠিকানায় কামাল

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিন ডিটেনশন সেন্টারের ভয়াবহ চিত্র ফাঁস
মার্কিন ডিটেনশন সেন্টারের ভয়াবহ চিত্র ফাঁস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অবশেষে শাটডাউন প্রত্যাহার
অবশেষে শাটডাউন প্রত্যাহার

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবন্দরে উপদেষ্টার ব্যাগে গুলিসহ ম্যাগাজিন
বিমানবন্দরে উপদেষ্টার ব্যাগে গুলিসহ ম্যাগাজিন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট পিছিয়ে তারা জাতির সর্বনাশ করতে চাইছে
ভোট পিছিয়ে তারা জাতির সর্বনাশ করতে চাইছে

প্রথম পৃষ্ঠা

এই দেশটা কি সবার?
এই দেশটা কি সবার?

প্রথম পৃষ্ঠা

৩০০ বছরের সূর্যপুরী
৩০০ বছরের সূর্যপুরী

পেছনের পৃষ্ঠা

পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা ইরানের রয়েছে
পারমাণবিক বোমা তৈরির সক্ষমতা ইরানের রয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কার করতে না পারলে সংকটে পড়বে বাংলাদেশ
সংস্কার করতে না পারলে সংকটে পড়বে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

৬০ কোটি টাকা ব্যয়েও বিশুদ্ধ পানি জোটে না পৌরবাসীর
৬০ কোটি টাকা ব্যয়েও বিশুদ্ধ পানি জোটে না পৌরবাসীর

নগর জীবন

কী ঘটেছিল মুরাদনগরে
কী ঘটেছিল মুরাদনগরে

প্রথম পৃষ্ঠা

শৃঙ্খলা ফেরেনি গণপরিবহনে
শৃঙ্খলা ফেরেনি গণপরিবহনে

পেছনের পৃষ্ঠা

হাত-পা বেঁধে তরুণীকে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
হাত-পা বেঁধে তরুণীকে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

পেছনের পৃষ্ঠা

৩ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে এনসিপি
৩ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

গোপন ভিডিও ছাড়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ
গোপন ভিডিও ছাড়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ

দেশগ্রাম

১৫ মিনিটেই মিলছে করোনার রিপোর্ট
১৫ মিনিটেই মিলছে করোনার রিপোর্ট

দেশগ্রাম

যত শুনছেন ততই অবাক হচ্ছেন প্রবাসীরা
যত শুনছেন ততই অবাক হচ্ছেন প্রবাসীরা

মাঠে ময়দানে

ডেঙ্গু কেড়ে নিল নববধূর প্রাণ
ডেঙ্গু কেড়ে নিল নববধূর প্রাণ

পেছনের পৃষ্ঠা

নিখোঁজের তিন দিন পর শিক্ষার্থীর লাশ
নিখোঁজের তিন দিন পর শিক্ষার্থীর লাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভেঙে পড়েছে চিকিৎসাসেবা
ভেঙে পড়েছে চিকিৎসাসেবা

দেশগ্রাম

ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোলাহাটে উসকানির অভিযোগে গ্রেপ্তার
ভোলাহাটে উসকানির অভিযোগে গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

বাহরাইনকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
বাহরাইনকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

কৃষকরা পেলেন বীজ-সার
কৃষকরা পেলেন বীজ-সার

দেশগ্রাম

বগুড়া প্রেস ক্লাবের কমিটি
বগুড়া প্রেস ক্লাবের কমিটি

দেশগ্রাম

কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা
কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা

দেশগ্রাম

চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

দেশগ্রাম