শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২

এ দেশ আর পেছনে ফিরে যাবে না

আসাদুজ্জামান খান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
এ দেশ আর পেছনে ফিরে যাবে না

‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই, পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি।’ সেদিন বাঙালি জাতিও তাঁকে নিজের করে নিয়েছিল। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃঢ় অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে ১৯৮১ সালে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরে দলকে একত্র করলেন এবং সারা বাংলাদেশ বিচরণ করে মানুষের মধ্যে মিশে যান। যাঁর ধমনিতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে মানুষের কল্যাণের জন্য জীবন উৎসর্গ করাই যেন তাঁর জীবনের ব্রত। বঙ্গবন্ধুর মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়িয়ে দেশের মানুষকে একত্র করলেন। সারা বাংলাদেশের মানুষ যেখানেই তাঁকে পেয়েছে বৃদ্ধ মায়েরা তাঁকে জড়িয়ে ধরে আপ্লুত হয়ে বলতেন- এসেছে, শেখের বেটি এসেছে। নিশ্চয়ই আমরা আবার এগিয়ে যাব। তিনিই জানেন এ দেশের মানুষ কী চায়; বাংলাদেশের কোন জেলা কোন উপজেলার পাশ দিয়ে কী নদী প্রবাহিত; ওই এলাকার মানুষের কী সমস্যা তা তিনি বলে দিতে পারেন, কারণ বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ হাসিনা। তিনি সারা বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে রয়েছেন।

কিশোর বয়স থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে আইয়ুববিরোধী এবং ছয় দফা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে থাকতেন তখন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সংসার সামলানোর পাশাপাশি নেপথ্যে থেকে দেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতেন; যা কাছ থেকে দেখেছেন শেখ হাসিনা। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করতেন এবং বঙ্গবন্ধুও তাঁকে বেশি কাছে টেনে নিতেন। সেজন্যই বঙ্গবন্ধুকন্যা মাঝেমধ্যে আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা বলেন; জাতির পিতা কী কী করতে চেয়েছিলেন তা থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শিক্ষা নিয়েছিলেন এবং তাঁর নীতি আজ তিনি অনুসরণ করে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের জন্য এগিয়ে যাওয়ার পথনকশা তৈরি করে গিয়েছিলেন তিনি সেটা অনুসরণ করে চলেছেন বলেই আজ তিনি বঙ্গবন্ধুর মতো সারা বিশ্বে বরেণ্য নেতায় পরিণত হয়েছেন।

১৯৭৫-এর কালরাতের পর বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সামরিক স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এগিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। পরবর্তী দীর্ঘ চার দশকের রাজনৈতিক পথচলায় স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করে একসময়ের দুর্ভিক্ষপ্রবণ বাংলাদেশকে আজ সারা বিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত করেছেন। পৃথিবীতে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।

পিতার মতো তিনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পছন্দ করেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে কখনো পিছপা হননি; দাবি আদায়ের মাধ্যমে আন্দোলন সফল করেই ফিরেছেন। সেজন্যই আজ বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে শুধু হৃদয় দিয়েই ভালোবাসে না, তাদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে মনে করে। শেখ হাসিনার রাষ্ট্রনায়কোচিত দক্ষ নেতৃত্বের ফলেই দেশে নিরাপত্তা ও উন্নয়নের যুগপৎ সুবাতাস বইছে। রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি বারবার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সফল হয়েছেন। পার্বত্য শান্তিচুক্তি, গঙ্গার পানিচুক্তি, সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি, দীর্ঘদিনের স্থলসীমানা সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান, ছিটমহল সমস্যার সমাধান করে ছিটমহলবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করা, আইসিটি ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নয়ন ইত্যাদি রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা যেমন তাঁকে অবিসস্মরণীয় নেতায় পরিণত করেছে; তেমনি বিশ্বব্যাংকের অন্যায় আচরণ ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পদ্মা সেতু নিজেদের অর্থায়নে নির্মাণ বিশ্ব রাজনীতি-অর্থনীতির বিশ্লেষকদের কাছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে কঠিন প্রতিজ্ঞাদীপ্ত করে তোলে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ’৭৫-পরবর্তী সবচেয়ে দৃঢ় মনোবলের সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি টানা ৪১ বছর উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৮ বছরের বেশি সময় চতুর্থবারের মতো সরকার পরিচালনা করছেন। দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছানোর পাশাপাশি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গেছে বাংলাদেশকে। খাদ্য ঘাটতির দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। ১৩ বছর আগের মাথাপিছু আয়কে চার গুণের বেশি বাড়িয়ে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে উন্নীত করেছেন। দেশের রিজার্ভ সর্বকালের রিজার্ভে উন্নীত করে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছেন। পেয়েছেন ৪০টির বেশি আন্তর্জাতিক পদক ও স্বীকৃতি। লিখেছেন ৪০টির অধিক বই। এক জীবনে বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদও এত সাফল্য অর্জন করতে পারেননি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসব অনন্য ও অতুলনীয় অর্জনের পেছনে রয়েছে নানান চড়াই-উতরাই ও স্বজন হারানোর বেদনার দীর্ঘ সংগ্রামের সাহসী জীবন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার প্রচেষ্টা হয়েছিল, আমার মনে হয় আল্লাহ তাঁকে নিজহাতে রক্ষা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করবেন বলেই হয়তো আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ কমপক্ষে ২০ বার তাঁকে হত্যার অপচেষ্টা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তাঁর পিছু ছাড়েনি। কিন্তু জাতীয় জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তাৎক্ষণিক ও যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে তিনি সময় ক্ষেপণ করেন না। প্রাথমিক অবস্থায় তাঁর কিছু সিদ্ধান্তে আমরা দোদুল্যমান থাকলেও পরবর্তীতে তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্তটিই যথার্থ ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে। অদম্য সাহস, দৃঢ় মনোবল, সততা, নিষ্ঠা, মনন-মেধা, প্রজ্ঞা ও দক্ষতার বলেই তিনি আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক থেকে হয়েছেন বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সংবিধানে পরিকল্পিত অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলে গেছেন। তিনি চেয়েছিলেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে বৈষম্যহীন একটি সমাজব্যবস্থা, যেখানে জাতপাতের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না, সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ থাকবে না। দেশের উত্তর-দক্ষিণ বা পূর্ব-পশ্চিমে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। নারী-পুরুষের মধ্যে সম-অধিকার থাকবে। গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। কাউকে পেছনে ফেলে, কাউকে অর্থনীতির মূল স্রোতধারার বাইরে রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা নয়। এ নীতিতেই দেশের মানুষকে বৈষম্যের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হতো। বঙ্গবন্ধুর কন্যা যদি বেঁচে না থাকতেন তাহলে আমরা এই বাংলাদেশ পেতাম না, যে বাংলাদেশকে আমরা হৃদয় দিয়ে ধারণ করি। বাংলাদেশ অতল অন্ধকারে নিমজ্জিত হতো যা আমরা ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর দেখেছি। বাঙালির হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল এবং এতদিন আমাদের কপালে যে কালো দাগটি ছিল সেটি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের মাধ্যমে কিছুটা হলেও ঘোচাতে পেরে স্বস্তি পাচ্ছি। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা বেঁচে ছিলেন বলেই জাতির পিতার হত্যা ও জেলহত্যার বিচার সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ এ সাহসী ভূমিকার জন্য তাঁকে চিরদিন মনে রাখবে।

আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণ পালন করতে পেরেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। মুজিব শতবর্ষে তিনি ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। স্বাধীনতার সুফল হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরের সুবিধাসম্পন্ন নগরে পরিণত করতে আমার গ্রাম-আমার শহর কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

কভিড-১৯ মহামারি মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবন-জীবিকা মারাত্মক ব্যাহত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ অবস্থা সফলভাবে মোকাবিলা করছে। জাপানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিকেই এশিয়া প্রকাশিত ‘নিকেই কভিড-১৯ রিকভারি সূচক’-এর তথ্যমতে করোনা মহামারি সামলে ওঠার ক্ষেত্রে বিশ্বের যে দেশগুলো সবচেয়ে ভালো করছে, সে তালিকায় পঞ্চম স্থানে বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সবার ওপরে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও সময়োপযোগী হস্তক্ষেপের ফলে এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ সময়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ইতিবাচক ছিল।

নারী ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চিন্তা করতেন পুরুষের সঙ্গে নারীকেও এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য তিনি পুলিশ বাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নারী ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে নারীদের অন্তর্ভুক্তি করেছেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নারী শিক্ষায় ব্যাপক সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ থেকে ইউনেস্কো পিস ট্রি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। নারী ক্ষমতায়নে তাঁর ভূমিকার জন্য এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত এবং ইউএন উইমেনের পক্ষ থেকে প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহারসংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কারণে বাংলাদেশকে সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। পরিবেশ রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাসংক্রান্ত সাফল্যের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ইউএনইপি থেকে চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ ঘোষণা করা হয়। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগে, ২০১৩ সালেই অর্জন করে বিশ্বকে তাক লগিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ফলে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য কমে এবং বাংলাদেশে তা ক্রমহ্রাসমান। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্জন করবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসডিজি অর্জনের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার দেওয়া হয়। দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিশ্ব সংস্থার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক নিউইয়র্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার প্রদান করে। ব্যক্তিজীবনে আমি সৌভাগ্যবান কারণ স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছিলাম আর তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরির সরাসরি তত্ত্বাবধানে দেশসেবায় কাজ করতে পারছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে যত দেখি ততই বিস্মিত হই। জাতীয় জীবনের উন্নয়ন ও দুর্যোগকালীন প্রতিটি সিদ্ধান্তে তিনি দূরদর্শিতার প্রমাণ রেখেছেন।

ওয়ান-ইলেভেন সরকার আমেরিকা থেকে যখন তাঁকে দেশে ফিরতে দিচ্ছিল না তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি আমার দেশে ফিরে যাবই এবং তিনি দেশে ফিরেছেন। সেদিনও শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর জন্য বাংলাদেশের জনগণ বাঁধভাঙা স্রোতের মতো সমবেত হয়েছিল। তিনি ফিরে এলে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার এলাকার হোমওয়ার্ক তুমি কেমন করেছ?’ জবাবে বলেছিলাম, ‘এই আসনটি (ঢাকা-১০ বর্তমানে-১২) আমরা আপনাকে উপহার দিতে পারব।’ তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন ‘কাজ করে যাও’। কিন্তু তিনি যে আমাকে নমিনেশন দেবেন তা তখন ভাবতে পারিনি। নির্বাচনের পর তিনি আমাকে বিনিয়োগ বোর্ড ও প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। ফলে বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও গণমাধ্যমের বিষয়ে আমি সম্যক ধারণা পাই। তা ছাড়া তিনি আমাকে যে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন আমি তা সম্পূর্ণরূপে পালন করতে চেষ্টা করেছি। দায়িত্বগুলো যেন আমি সুচারুভাবে পালন করতে পারি সেজন্য তিনি আমাকে সব সময় সহযোগিতা করেছেন যাতে আমি আরও কাজ শিখতে বা জানতে পারি।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তিনি আমাকে প্রতিমন্ত্রী করলেন। আমার ধারণা ছিল না যে আমি মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হব। তিনি যখন আমাকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য করলেন অনেকটাই অবাক হয়েছিলাম। তারপর যখন তাঁকে সালাম করতে গেলাম তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি বিস্মিত হয়েছ?’ আমি বলেছিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি সত্যিই বিস্মিত! তিনি বললেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে লাখো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে; মানুষ তাদের স্বজনদের হারিয়েছে। এ মুক্তিযুদ্ধকে আমরা ভুলতে পারব না। তুমি একজন সম্মুখসমরের মুক্তিযোদ্ধা; এজন্যই তোমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছি।’ তারপর বের হয়ে আসার সময় তিনি আমাকে বলেন, ‘আজ থেকে তুমি সারা বাংলাদেশ ঘুরবে, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি উপজেলায় কী কী সমস্যা আছে ঘুরে ঘুরে দেখবে এবং এগুলো নিয়ে কাজ করবে।’ তিনি আমাকে দেশের কোন প্রান্তে কোন ধরনের সমস্যা বিদ্যমান এবং তার সমাধান প্রক্রিয়া নিয়ে নির্দেশনা দিলেন। আমি তাঁর নির্দেশনামতো সারা দেশ ঘুরছি। আমার বাসায়ও যারা আসেন মধ্যরাত পর্যন্ত তাদের কথা শুনি; চেষ্টা করি সবার সমস্যার সমাধান করতে।

রাষ্ট্রীয় কার্য সঞ্চালনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার প্রায়ই দেখা-সাক্ষাৎ বা কথা হয়, তিনি প্রায়ই আমাকে বলেন, জাতির পিতা সাড়ে তিন বছরে যেসব কাজকর্ম করে গেছেন, অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর হাতে নেওয়া পরিকল্পনা এবং বঙ্গবন্ধু যেসব নির্দেশনা দিয়ে গেছেন এগুলো ধাপে ধাপে তিনি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদর্শী বিশ্বনেতা। তাঁর দেখানো পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

দেশের বড় কোনো সমস্যা হলে তিনি সারাক্ষণই আমাদের সবাইকে নির্দেশনা দেন; ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার রাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা রাত জেগে আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পূর্ববর্তী বিএনপি সরকারের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় উদ্ভূত দেশি জঙ্গি-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে তিনি দেশবাসীকে ডাক দিয়েছিলেন। তিনি আমাদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নির্দেশনা দেন বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে জঙ্গিবিরোধী সভা-সেমিনার করতে। তাঁর আহ্বানে ছাত্র, শিক্ষক, জনতা, ইমাম, পুরোহিত, সব ধর্মের গুরু, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বলেই বাংলাদেশ আজ জঙ্গিমুক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসায় যখন রাতে আক্রমণ হলো তিনি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে তিনি যতটা অনমনীয় আবার মানুষের সেবায় তিনি ঠিক ব্যতিক্রম। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট যখন রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল ঠিক তখনই শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষায় সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। যখন দলে দলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছিল, আমরা তাঁর দিকনির্দেশনা চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘তোমরা কি ভুলে গেছ ১৯৭১ সালের কথা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তোমরা কি পার্শ¦বর্তী দেশে আশ্রয় নেওনি? দেশের ১৬ কোটি মানুষকে যদি খাওয়াতে পারি তাহলে এদেরও খাওয়াতে পারব। আসতে দাও; অন্তত জীবনটা তো বাঁচবে ওদের।’ আজ বিশ্ববিবেক শেখ হাসিনাকে বলেন ‘মানবতার জননী’, ‘স্টার অব দ্য ইস্ট’। তিনি এখন বিশ্বনেত্রী।

বিরোধী দলে থাকাকালেও তিনি রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা রেখেছিলেন; বিরোধী দলে থাকাকালে ১৯৯৪ সালে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড গঠনের জন্য সংসদে একটি বেসরকারি বিল উত্থাপন করা হয়। যার ফলে বর্তমানে কোস্টগার্ড তাঁরই নির্দেশে একটি সুদক্ষ বাহিনী হিসেবে গঠিত হয়েছে; যা উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা প্রদানসহ ব্লু-ইকোনমির নিরাপত্তায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা দেশ থেকে চরমপন্থি নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি। বহু মাদক ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। দেশের শ্বাসযন্ত্র খ্যাত সুন্দরবন এখন বন ও জলদস্যুমুক্ত। এসব চরমপন্থি, মাদক ব্যবসায়ী ও জলদস্যুর পুনর্বাসনও তিনি করেছেন যেন তারা স্বাভাবিক জীবনে স্থায়ী হতে পারে।

তিনি এভাবে অসংখ্য জাতীয় সমস্যা নিজকাঁধে নিয়ে সমাধান করেছেন এবং সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কখনো বিশ্রামে যান না। আমি তাঁকে কাছ থেকে যতই দেখি ততই বিস্মিত হই। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, দেশকে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁর এ দূরদর্শী ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব প্রয়োজন। তিনি ২০০৮ সালে বলেছিলেন বদলে দেবেন বাংলাদেশকে। তিনি যথার্থই বদলে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা যতদিন নেতৃত্বে থাকবেন ততদিন দুর্বার গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ দেশকে আর পেছনে ফিরে যেতে হবে না। একমাত্র তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে শামিল হবে। তাঁর দূরদর্শিতায়, দক্ষতায় বারবার তা প্রমাণ করেছেন।

লেখক : জাতীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

এই বিভাগের আরও খবর
গরু চোরাচালান
গরু চোরাচালান
বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার
বিপর্যস্ত পুঁজিবাজার
মুমিনের হজ
মুমিনের হজ
চুল নিয়ে চুলোচুলি
চুল নিয়ে চুলোচুলি
যোগ-বিয়োগের ধারাস্রোত
যোগ-বিয়োগের ধারাস্রোত
যুদ্ধবিরতি
যুদ্ধবিরতি
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ
গরমে অস্থির জনজীবন ইসলামের নির্দেশনা
গরমে অস্থির জনজীবন ইসলামের নির্দেশনা
অল্প দেখা আমেরিকা
অল্প দেখা আমেরিকা
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
সেলুকাস! ইঁদুরের গর্তে বসে দেখে মহাকাশ!
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
সর্বশেষ খবর
সৌদি যুবরাজকে বন্ধু বললেন ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজকে বন্ধু বললেন ট্রাম্প

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

দিনাজপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের মাঝে সঞ্চয়পত্র বিতরণ
দিনাজপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের মাঝে সঞ্চয়পত্র বিতরণ

৮ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

জলঢাকায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের কর্মসূচি
জলঢাকায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের কর্মসূচি

২ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ধলেশ্বরীতে লঞ্চ ও বাল্কহেডের সংঘর্ষ
ধলেশ্বরীতে লঞ্চ ও বাল্কহেডের সংঘর্ষ

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পরশুরামে ব্যবসায়ী হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
পরশুরামে ব্যবসায়ী হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এনবিআর ভেঙে দুই বিভাগ: অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ৩ দিনের কলম বিরতি ঘোষণা
এনবিআর ভেঙে দুই বিভাগ: অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ৩ দিনের কলম বিরতি ঘোষণা

৭ মিনিট আগে | বাণিজ্য

‘গুজবকে কখনো দাবানল হতে দেবেন না’
‘গুজবকে কখনো দাবানল হতে দেবেন না’

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গরুর দেশী জাতের পরিবর্তে আধুনিক জাত দরকার নেই: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
গরুর দেশী জাতের পরিবর্তে আধুনিক জাত দরকার নেই: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

বাগেরহাটে ভারতীয় নাগরিককে এনআইডি দেওয়ার অভিযোগ, দুদকের মামলা
বাগেরহাটে ভারতীয় নাগরিককে এনআইডি দেওয়ার অভিযোগ, দুদকের মামলা

১৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাতের আঁধারে কুপিয়ে জখম, আরো একজন মারা গেছেন
রাতের আঁধারে কুপিয়ে জখম, আরো একজন মারা গেছেন

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিষয়ে নাক গলাতে চান না রাহুল গান্ধী
ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিষয়ে নাক গলাতে চান না রাহুল গান্ধী

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ৪৮
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ৪৮

২৮ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

ভারতের পেট্রাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয় সভা
ভারতের পেট্রাপোলে বিজিবি-বিএসএফ সমন্বয় সভা

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরাজগঞ্জে মাদক কারবারী স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জে মাদক কারবারী স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পেছাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ
পেছাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

এনবিআর ভাঙার কারণ জানাল সরকার
এনবিআর ভাঙার কারণ জানাল সরকার

৪২ মিনিট আগে | বাণিজ্য

পটুয়াখালীতে খালে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পটুয়াখালীতে খালে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব কি ভারতকে বিব্রত করলো?
কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব কি ভারতকে বিব্রত করলো?

৪৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানে হামলা: কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে কঠিন চাপে ভারত
পাকিস্তানে হামলা: কাশ্মীর নিয়ে নতুন করে কঠিন চাপে ভারত

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জ আদালতে হাজতখানার লাইব্রেরি উদ্বোধন
মুন্সীগঞ্জ আদালতে হাজতখানার লাইব্রেরি উদ্বোধন

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না : ডিএনসিসি প্রশাসক
ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না : ডিএনসিসি প্রশাসক

৫৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে আইনের শাসন বিপন্ন, বিচারালয় সন্ত্রস্ত: মার্কিন প্রধান বিচারপতি
যুক্তরাষ্ট্রে আইনের শাসন বিপন্ন, বিচারালয় সন্ত্রস্ত: মার্কিন প্রধান বিচারপতি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট অফিস ও হাসপাতালে অভিযান, দুই দালালকে অর্থদণ্ড
নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট অফিস ও হাসপাতালে অভিযান, দুই দালালকে অর্থদণ্ড

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আকাশে ধরা দেবে ঋতুবরণ ফুলচাঁদ
আকাশে ধরা দেবে ঋতুবরণ ফুলচাঁদ

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথমবার চট্টগ্রামে যাচ্ছেন ড. ইউনূস
সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথমবার চট্টগ্রামে যাচ্ছেন ড. ইউনূস

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নিউইয়র্কে সমাবেশ
আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করার দাবিতে নিউইয়র্কে সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর ওপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ
কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর ওপর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদারীপুরে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, শিশুসহ আহত ১০
মাদারীপুরে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, শিশুসহ আহত ১০

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রথম বৈঠকে মোহাম্মদ বিন সালমান ও ট্রাম্পের মধ্যে যে আলোচনা হলো
প্রথম বৈঠকে মোহাম্মদ বিন সালমান ও ট্রাম্পের মধ্যে যে আলোচনা হলো

১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

সর্বাধিক পঠিত
কেন যুদ্ধ থামাল ভারত-পাকিস্তান, রহস্য ফাঁস করলেন ট্রাম্প
কেন যুদ্ধ থামাল ভারত-পাকিস্তান, রহস্য ফাঁস করলেন ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্রেফতার মমতাজ; এতদিন লুকিয়ে ছিলেন কোথায়?
গ্রেফতার মমতাজ; এতদিন লুকিয়ে ছিলেন কোথায়?

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ কোনও বলিউড মুভি নয়,  কেন বললেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান
যুদ্ধ কোনও বলিউড মুভি নয়,  কেন বললেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে যা বললেন মোদি
পাকিস্তানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে যা বললেন মোদি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আন্দালিব পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা
আন্দালিব পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না: পাকিস্তান
পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না: পাকিস্তান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাতারের বিমান উপহার পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প
কাতারের বিমান উপহার পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ, অধ্যাদেশ জারি
এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ, অধ্যাদেশ জারি

১৭ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

স্বর্ণের দাম আরও কমেছে
স্বর্ণের দাম আরও কমেছে

২১ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসি সচিব
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসি সচিব

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানাল হামাস
শেষ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের প্রতি যে আহ্বান জানাল হামাস

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম সফরে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশে গেলেও যাবেন না ইসরায়েল
প্রথম সফরে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ৩ দেশে গেলেও যাবেন না ইসরায়েল

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার দিনের রিমান্ডে মমতাজ
চার দিনের রিমান্ডে মমতাজ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সেনা বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো
ভারত-পাকিস্তানের প্রথম সেনা বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হলো

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী
বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আপিলের জন্য জুবাইদা রহমানের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মওকুফ
আপিলের জন্য জুবাইদা রহমানের ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মওকুফ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী নিহত: রিপোর্ট
মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলায় ১৭ শিক্ষার্থী নিহত: রিপোর্ট

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাকিবুল-আকবরের ঝড়ে বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়
রাকিবুল-আকবরের ঝড়ে বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয়

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা যুদ্ধ নিয়ে নেতানিয়াহুকে এক হাত নিলেন ইসরায়েলের সাবেক সেনাপ্রধান
গাজা যুদ্ধ নিয়ে নেতানিয়াহুকে এক হাত নিলেন ইসরায়েলের সাবেক সেনাপ্রধান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রেমিকার মোবাইলে হোটেলের ওয়াইফাই সংযোগ, রাগে সম্পর্কচ্ছেদ প্রেমিকের!
প্রেমিকার মোবাইলে হোটেলের ওয়াইফাই সংযোগ, রাগে সম্পর্কচ্ছেদ প্রেমিকের!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বশেষ জীবিত মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
সর্বশেষ জীবিত মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রেস্টুরেন্ট নয়, এ যেন মরণফাঁদ!
রেস্টুরেন্ট নয়, এ যেন মরণফাঁদ!

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মমতাজের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
মমতাজের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সারাদেশে এনআইডি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ
সারাদেশে এনআইডি সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল দেশের ইতিহাসে প্রথম’
‘হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল দেশের ইতিহাসে প্রথম’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরের শালবনে বিপন্ন প্রজাতির 'খুদি খেজুর' গাছের সন্ধান
দিনাজপুরের শালবনে বিপন্ন প্রজাতির 'খুদি খেজুর' গাছের সন্ধান

২৩ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া, দৌড়ে গারদে ঢুকলেন সাবেক এমপি মমতাজ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অধিনায়ক লিটনের লক্ষ্য সিরিজ জয়
অধিনায়ক লিটনের লক্ষ্য সিরিজ জয়

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
অর্থ পাচারে সেভেন স্টার
অর্থ পাচারে সেভেন স্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

জয় এখন মার্কিন নাগরিক গ্রহণ করেছেন পাসপোর্ট!
জয় এখন মার্কিন নাগরিক গ্রহণ করেছেন পাসপোর্ট!

প্রথম পৃষ্ঠা

বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী
বিশ্বকে পথ দেখাল সশস্ত্র বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউপিডিএফ নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে মহাসমাবেশ
ইউপিডিএফ নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙামাটিতে মহাসমাবেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আখের সঙ্গে ধান চাষে বদলে যাবে কৃষি অর্থনীতি
আখের সঙ্গে ধান চাষে বদলে যাবে কৃষি অর্থনীতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিগগিরই পিএইচডি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিগগিরই পিএইচডি

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ
হাসিনার বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রতিকূল পরিবেশেও বিশ্বে বাড়ছে বাংলাদেশি ডেনিমের চাহিদা
প্রতিকূল পরিবেশেও বিশ্বে বাড়ছে বাংলাদেশি ডেনিমের চাহিদা

পেছনের পৃষ্ঠা

যে স্বপ্ন পূরণ হলো না শাকিব খানের
যে স্বপ্ন পূরণ হলো না শাকিব খানের

শোবিজ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে নাটক
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে নাটক

প্রথম পৃষ্ঠা

চুরি দেখে ফেলায় দুই খালাকে খুন করে ১৪ বছরের ভাগনে!
চুরি দেখে ফেলায় দুই খালাকে খুন করে ১৪ বছরের ভাগনে!

প্রথম পৃষ্ঠা

শাহবাগে গরু ছাগল জবাই
শাহবাগে গরু ছাগল জবাই

পেছনের পৃষ্ঠা

জবাবদিহি ও শৃঙ্খলা প্রয়োজন চিকিৎসা খাতে
জবাবদিহি ও শৃঙ্খলা প্রয়োজন চিকিৎসা খাতে

প্রথম পৃষ্ঠা

নিবন্ধন স্থগিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন
নিবন্ধন স্থগিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন

প্রথম পৃষ্ঠা

আকস্মিক ঢাকা ত্যাগ পাকিস্তান হাইকমিশনারের
আকস্মিক ঢাকা ত্যাগ পাকিস্তান হাইকমিশনারের

পেছনের পৃষ্ঠা

যেমন আছেন নাটকের সিনিয়র শিল্পীরা
যেমন আছেন নাটকের সিনিয়র শিল্পীরা

শোবিজ

ইনসাফের প্রতি দৃঢ় থাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের
ইনসাফের প্রতি দৃঢ় থাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের

প্রথম পৃষ্ঠা

কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার
কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত বাড়িঘর ভাঙচুর আগুন
সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত বাড়িঘর ভাঙচুর আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ করবে সেনাবাহিনী
শুভাঢ্যা খাল খননের কাজ করবে সেনাবাহিনী

নগর জীবন

ঘুষ-দুর্নীতির ৯০৯ অভিযোগ-পরামর্শ
ঘুষ-দুর্নীতির ৯০৯ অভিযোগ-পরামর্শ

প্রথম পৃষ্ঠা

কঠিন হলো ব্রিটেনে আসা ও স্থায়ী হওয়া
কঠিন হলো ব্রিটেনে আসা ও স্থায়ী হওয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই অতিরিক্ত কমিশনারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু
দুই অতিরিক্ত কমিশনারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‌্যাব পুনর্গঠন
পুলিশের হাতে থাকবে না মারণাস্ত্র, র‌্যাব পুনর্গঠন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বাধীনতাবিরোধীদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার আহ্বান এনসিপির
স্বাধীনতাবিরোধীদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার আহ্বান এনসিপির

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেসবুকে নেতাদের বাহাস
ফেসবুকে নেতাদের বাহাস

প্রথম পৃষ্ঠা

জাপাসহ ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল চায় গণঅধিকার পরিষদ
জাপাসহ ১৪ দলের নিবন্ধন বাতিল চায় গণঅধিকার পরিষদ

প্রথম পৃষ্ঠা

ছবি থেকে দূরে অনন্ত
ছবি থেকে দূরে অনন্ত

শোবিজ

পোশাককর্মী হত্যা মামলায় আইভীর জামিন নামঞ্জুর
পোশাককর্মী হত্যা মামলায় আইভীর জামিন নামঞ্জুর

পেছনের পৃষ্ঠা