শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

সবার আগে দেশ ও মানুষ

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান অনুসরণযোগ্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার গণভবনে ভোগ্যপণ্য আমদানি-রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ব্যবসায়ীদের দেশ ও মানুষের কথা ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, সরকারে আসার পর তিনি ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। ব্যবসায়ীরা যে দলেরই হোক তাঁরা দল বাছতে যাননি। এখন ব্যবসায়ীরা লাভের কথা ভাবতে পারেন। অথচ আগে একটা বড় অংশ হাওয়া হয়ে যেত। এখন হাওয়া হওয়ার ব্যবস্থা নেই। সেখান থেকে ব্যবসায়ীদের মুক্ত রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বজনীন অর্থনৈতিক মন্দা ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সংকটের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বাংলাদেশে আমরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অথচ ইংল্যান্ডে ৪০ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। আমেরিকায়ও বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী তেল-গ্যাসের সমস্যা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ সম্ভবত প্রথমবারের মতো তাদের মজুদ থেকে তেল ব্যবহার করছে। যুক্তরাজ্য বিদ্যুতের দাম ৮০ শতাংশ বাড়িয়েছে এবং সমগ্র ইউরোপসহ শীতপ্রবণ দেশগুলোকে শক্তি সঞ্চয়ে পরিকল্পনা তৈরি করতে হচ্ছে। জ্বালানি ক্ষেত্রে সরকারের ব্যাপক ভর্তুকিদানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের ব্যবসার জন্য এলএনজি কিনে সাপ্লাই দিচ্ছি। কিন্তু যে টাকা দিয়ে কেনা হচ্ছে, যে খরচ পড়ছে তার চেয়ে খুব কম টাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। ৬০ টাকার বদলে ৯ টাকা পার লিটারে এলএনজি সাপ্লাই দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান সমস্যাটা বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিক সমস্যা, এটা মাথায় রাখতে হবে। যেসব জায়গা থেকে সার, গম বা খাদ্যপণ্য আনা হয় সেসব জায়গায় সমস্যা। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছিল। সে সময় আমদানি ব্যয় কম হয়েছে। আমদানি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে রিজার্ভ কমেছে। তবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি হয়েছে। এগুলো কাজ শুরু করলে রিটার্ন আসবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময়ে দুই পক্ষের আস্থার সম্পর্ক দৃঢ় হবে। ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সংকট মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের সাহস জোগাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর