শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

উন্নয়ন ভোগান্তি

অব্যবস্থাপনা সামাল দিন

উন্নয়ন প্রতিটি মানুষেরই কাম্য। দেশের মানুষ চায় তাদের প্রতিনিধি হয়ে যারা সরকার চালাচ্ছেন তারা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিক। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে ভূমিকা রাখুক। সন্দেহ নেই দেশের ইতিহাসে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দিক থেকে বর্তমান সরকারের কৃতিত্বের কোনো জুড়ি নেই। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়নে তারা যে কৃতিত্ব দেখিয়েছে তা হাজার বছরের ইতিহাসও অতিক্রম করেছে। তবে মুদ্রার অন্য পিঠে রয়েছে ঘন অন্ধকার। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের বদলে সময় ক্ষেপণের কারণে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে সৃষ্ট ভোগান্তি রাজধানীর নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। যানজট সমস্যার সমাধানে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে বছরের পর বছর কেটে যাওয়ায় মানুষের মোহমুক্তি ঘটছে। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ভোগান্তি এড়ানোর কৌশল অনুসৃত না হওয়ায় নগরবাসীও দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ঢাকার রাজপথ থেকে মহল্লার গলিপথ কোথাও যেন চলতে স্বস্তি নেই। উন্নয়নের গল্পগুলো এখন ঢাকাবাসীকে যতটা সুখ দেয়, এর চেয়ে অনেক বেশি অস্বস্তিতে ফেলছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটিসহ চলমান বৃহৎ প্রকল্প, রাস্তাঘাট সংস্কার, সরকারি-বেসরকারি ভবন নির্মাণ, ফুটপাতের উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার- কোথাও নেই ন্যূনতম শৃঙ্খলা। এমনকি রাজউক, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, তিতাস, বিটিআরসিসহ সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে নেই সমন্বয়ের বালাই। ঢাকার ট্রাফিকব্যবস্থা এখনো গত শতাব্দীর সত্তর-আশির দশকের মতোই হাতের ইশারায় চলছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে ট্রাফিকব্যবস্থার উন্নয়নে নানারকম প্রকল্প নেওয়া হলেও চোখে পড়ার মতো কোনো উন্নতি হয়নি। রাজধানীবাসীর অবস্থা ভিক্ষা চাই না কুত্তা ঠেকাওয়ের মতো। প্রজাতন্ত্রের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী উন্নয়ন কাজের প্রকল্প প্রণয়ন থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন ও তদারকিতে জড়িত তারা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বিড়ম্বনা অনিবার্য হয়ে উঠছে। উন্নয়ন ইস্যুর সুফল জনগণের পক্ষে ভোগ করা অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। এ অব্যবস্থাপনার রাশ টেনে ধরতে হবে জরুরিভাবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর