বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সংকট মোকাবিলা

আতঙ্ক নয় উৎপাদন বাড়াতে হবে

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা এবং খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের মোকাবিলায় বাংলাদেশেও রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে। দুনিয়ার বেশির ভাগ দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলক বিচারে ভালো হলেও দুটি কারণে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। প্রথমত, ভবিষ্যতের যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে সর্বক্ষেত্রে খরচ কমানো এবং বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণের যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে তাতে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হচ্ছে। বিরোধী দলের একাংশ এটিকে অপপ্রচারের সুযোগ হিসেবে বেছে নিয়েছে। বলছে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় শেষ হয়ে গেছে অথচ তাদের আমলের চেয়ে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বহুগুণ বেশি। ডলার সংকট এবং ব্যাংক খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি গ্রাহকদের মধ্যে সৃষ্টি করেছে আস্থাহীনতা; যার ফলে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১০টি ব্যাংককে দুর্বল চিহ্নিত করায় ব্যাংকিং খাতে আতঙ্ক বেড়েছে। মানুষ ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে আমানত ভাঙা শুরু হয়েছিল করোনাকালে। করোনা মহামারি শুরুর প্রাক্কালে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল জীবন নিয়ে। এখন মানুষের উদ্বেগ জীবনধারণের। জীবনযাত্রার দৈনন্দিন খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈশ্বিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের আতঙ্ক। বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামও বেশি। অন্যদিকে এ বছর বিশ্বব্যাপী সব ধরনের উৎপাদনও কমবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। যা মানুষের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করছে। অনেকে খাদ্য মজুদের মাধ্যমে ভবিষ্যতের বিপদ এড়ানোর ভাবনা শুরু করেছেন। তা সংক্রমিত হলে দেশে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হতে পারে।  বিশ্বমন্দার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে বাস্তবভিত্তিক নীতি গ্রহণ করতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চালাতে হবে সর্বাত্মক চেষ্টা। মানুষের মধ্যে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায় সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর