বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প

ওদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিন

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নামের অপরাধপ্রবণ জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার খেসারত ভোগ করছে বাংলাদেশ। সে দেশের সেনা অভিযানের মুখে নারী-পুরুষ শিশুসহ পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বিশ্ব সমাজের আহ্বানে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্বিনীত এই জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা নানা অপরাধে জড়িয়ে বাংলাদেশের জন্য বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো হয়ে উঠেছে মাদক, অস্ত্র ও নারী ব্যবসার ঘাঁটি। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার নবম বৈঠকে বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ ও মাদকের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। মিয়ানমারের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সদস্যরা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে তাদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। ক্যাম্পের ভিতরে যারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে তাদের ওপর আক্রমণও বেড়েছে। এ জন্য ক্যাম্পে নজরদারি ও তল্লাশি বাড়ানো প্রয়োজন। ক্যাম্পের চারদিকে যে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে, এর বিভিন্ন অংশ কেটে ফেলা হচ্ছে। অন্য আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বলেন, শুধু নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অপরাধ হ্রাস করার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের মোবাইল সিম ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তারা এসব সিম ব্যবহার করে মিয়ানমারে বসবাসরত রোহিঙ্গা ও অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এর ফলে গোয়েন্দা তথ্য উদ্ঘাটনে সমস্যা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনা খরচে অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসাসহ থাকার সুযোগ মিয়ানমারে এখনো যেসব রোহিঙ্গা রয়েছে তাদের দেশ ছেড়ে চলে আসতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এমন অভিযোগও ওপেন সিক্রেট।  মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করলেও বাংলাদেশ অংশে কোনো বেড়া নেই। যে কারণে ঘুমধুম পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ প্রান্তে কাঁটাতারের বেড়া, ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয় বৈঠকে।  বৈঠকে দেওয়া প্রস্তাবগুলো বাস্তবসম্মত হলেও রোহিঙ্গা নামের আপদমুক্তি নিশ্চিত করতে তাদের স্বদেশে যেভাবেই হোক ফেরত পাঠাতে উদ্যোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর