সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ওভার ইনভয়েসিং

ওরা দেশ ও দেশের মানুষকে ঠকাচ্ছে

ওভার ইনভয়েসিংয়ে ঠকানো হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে। কতিপয় অসৎ লোকের কর্মকান্ড ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সুনামেও বাদ সাধছে। বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিংয়ে যে ভয়ংকর প্রতারণা চালাচ্ছে ব্যবসায়ীদের একাংশ তা দেশের অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ ডেকে আনছে। অর্থ পাচার প্রতিরোধে নিয়োজিত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে ওভার ইনভয়েসিংয়ের বিষয়টি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক ডলার সংকটের মধ্যে কোনো কোনো আমদানি পণ্যে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত ওভার ইনভয়েসিং দেখানো হয়েছে। এই অর্থবছরে বিভিন্ন রিপোর্টিং এজেন্সি ৮ হাজার ৫৭১টি সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত করেছে। যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। দেশে ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারকদের বেশির ভাগেরই সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ বিভিন্ন দেশে নিজস্ব অফিস রয়েছে। তারা কোনো পণ্য আমদানির সময় সরাসরি রপ্তানিকারক দেশ থেকে না করে নিজস্ব অফিসের মাধ্যমেই আমদানি দেখায়। তৃতীয় দেশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে বেশি মূল্য দেখিয়ে ভোগ্যপণ্য দেশে আনা হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, অন্যদিকে অতিরিক্ত মূল্যে জনগণকে পণ্য কিনতে হচ্ছে। এর ফলে ক্রেতাদের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে যে কোনো সরকারের কৃতিত্ব বলে ভাবা হয়। সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে অসৎ ব্যবসায়ীদের একাংশ উঠেপড়ে লেগেছে। এক বছরের ব্যবধানে ৬২ শতাংশ বেশি লেনদেন প্রমাণ করছে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে কারসাজি চলছে।  এ ষড়যন্ত্র রুখতে তৃতীয় দেশের মাধ্যমে আমদানিতে বাদ সাধতে হবে। ওভার ইনভয়েসিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের রাজনৈতিক কানেকশনও খতিয়ে দেখা উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর