বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

অভিবাসন ব্যয় ছাড়াই কর্মী প্রেরণের সুযোগ

অভিবাসন ব্যয় ছাড়াই সরকারিভাবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের কর্মী যাওয়া শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে এটিকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে ধীরে ধীরে ছয়টি কোম্পানির প্রায় ১ হাজার কর্মী যাবেন মালয়েশিয়ায়। পরবর্তীতে আরও চাহিদাপত্র পাওয়া সাপেক্ষে বিনা ব্যয়ে কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ার ছয়টি কোম্পানি থেকে প্রায় ১ হাজার কর্মীর চাহিদা পাওয়া গেছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ডাটাবেজ থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন জেলায় জবফেয়ারের মাধ্যমে কর্মীর তালিকা সংগ্রহের মাধ্যমে ৭০০ কর্মীকে প্রস্তুত করা হয়েছে। বোয়েসেলের মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর খরচ ৪৫ হাজার ৯২০ টাকা। মালয়েশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্লান্টেশন কোম্পানি ইউনাইটেড প্লান্টেশন থেকে ইতোমধ্যে ৫৫০ জন কর্মী চাওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ায় যাওয়া সংক্রান্ত সব ব্যয় কোম্পানিটি বহন করছে। গতকাল ৩০ জন কর্মী নিয়ে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট যাত্রা শুরু করেছে। মালয়েশিয়া এক সময় ছিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। সৌদি আরবের পর ছিল ওই দেশটির অবস্থান। পরবর্তীতে নানা কারণে এ বাজারটি সংকুচিত হয়ে যায়। মালয়েশিয়ায় করোনার কোপানলে অনেক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। করোনার কালো অধ্যায়ের অবসানের পর সেসব প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম নতুন করে শুরু করছে। এ জন্য প্রয়োজন পড়ছে বিপুলসংখ্যক কর্মীর। মালয়েশীয় নিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদা থাকায় বাংলাদেশের জন্য সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।  আমরা আশা করব, অভিবাসন ব্যয় ছাড়া স্বল্প খরচে মালয়েশিয়া যাওয়ার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে বোয়েসেল সততার পরিচয় দেবে। দক্ষ কর্মীদের পাঠানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর