শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সমাবেশ যখন শঙ্কার কারণ

মহিউদ্দিন খান মোহন

সমাবেশ যখন শঙ্কার কারণ

১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ কেন্দ্র করে যে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সচেতন মানুষ শঙ্কিত। তাদের শঙ্কার প্রধান কারণ হলো, সরকার ও বিএনপি এ ইস্যুতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একচুল না নড়ার যে প্রত্যয় প্রদর্শন করছে, তাতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়ে কি না। পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আওয়ামী লীগ যে ভাষায় কথা বলছে, তাতে সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠার আলামত ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সমাবেশের স্থান নিয়ে সৃষ্ট এ জটিলতার আশু কোনো সমাধানের পথ কেউ দেখছেন না; যদি না উভয় পক্ষ নমনীয় হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে ১৫ নভেম্বর সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে যে আবেদন করা হয়েছিল, তার জবাব মিলেছে ২৯ নভেম্বর। ডিএমপি বিএনপিকে ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। যদিও বিএনপি আবেদনপত্রে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি প্রার্থনা করেছিল। আবেদন পাওয়ার পর ওইদিনই ডিএমপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল, গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণের পর অনুমতির বিষয়টি জানানো হবে। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তাদের কাছে যে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে এতে কোনো ঝুঁকি আছে কি না। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৬ নভেম্বর, ২০২২)। পুলিশসূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, বিএনপিকে নয়াপল্টনের পরিবর্তে পূর্বাচলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ভেন্যু কিংবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সমাবেশস্থল হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু বিএনপি আগাগোড়া নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসছে।

গণমাধ্যমে এ-সংক্রান্ত যেসব খবরাখবর বেরিয়েছে তাতে এটা বোঝা যাচ্ছে, বিশেষ কোনো কারণে বিএনপি তাদের পার্টি অফিসের সামনেই সমাবেশটি করতে চায়। আর সরকারও অদৃশ্য কোনো কারণে তা করতে দিতে নারাজ। যদিও ‘রাস্তায় সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির’ কথা বলা হচ্ছে ডিএমপির পক্ষ থেকে। অথচ একই স্থানে বিএনপি মাসে অন্তত ১০ দিন সমাবেশ করে আসছে। তাই কথা উঠেছে, আগের সভাগুলোর কারণে যদি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়, তাহলে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে কেন তা সৃষ্টি হবে?

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য ডিএমপির ‘অনুমতি’র পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বিএনপি। আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও দলটি ডিএমপির চিঠি কার্যত প্রত্যাখ্যান করেছে। ওইদিনই নয়াপল্টনে এক সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ নয়াপল্টনেই হবে’ উল্লেখ করে সরকারকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘চারদিকে দেয়াল ঘেরা, একটি মাত্র ছোট গেট দিয়ে দুজন মানুষ সেখানে যেতে পারে না, অমন জায়গায় আমরা সমাবেশ করতে কমফোর্টেবল নই।’ এ বিষয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে যেসব কথা বলেছেন, তাতে হাস্য-কৌতুকের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপি রাজধানীতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায়। লাখ লাখ মানুষের সমাগম হবে এতে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো “ছোট মাঠে” তা কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। কারণ বিভিন্ন রকম স্থাপনা তৈরি করায় উদ্যানটির ভিতরে তেমন জায়গা নেই।’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৩০ নভেম্বর, ২০২২)। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বিএনপি জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করার সুবাদে তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ-পরিচয় ভালোই ছিল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতা শুনেছি। ফলে তাঁর জ্ঞান-গরিমা সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রয়েছে আমার। তাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে তিনি ‘ছোট মাঠ’ বলায় আমি বিস্মিত হইনি। কারণ ওই মাঠ সম্পর্কে টুকু সাহেবের যে কোনো ধারণাই নেই তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। শিশুপার্ক, স্বাধীনতা স্তম্ভ বাদ দিলেও যে পরিমাণ জায়গা সেখানে রয়েছে, তা নয়াপল্টনের ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত জায়গার কমপক্ষে পাঁচ-ছয় গুণ হবে নিঃসন্দেহে। এমন একটি মাঠকে ইকবাল হাসান টুকু ছোট বলে অভিহিত করে জনমনে শুধু বিস্ময় সৃষ্টি করেননি, তাঁর নিজের অজ্ঞতাও জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এ মাঠে এর আগে বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের একাধিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে; যেগুলোয় বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। এমনকি ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি তাদের ভাষায় ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনের’ বর্ষপূর্তির প্রতিবাদে যে কর্মসূচি বিএনপি দিয়েছিল, তাতে নয়াপল্টন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা শাপলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করার দৃঢ়প্রত্যয় ঘোষণা করেছিল দলটি। যদিও সরকারের বাধার মুখে সে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হতে পারেনি; বেগম জিয়া অবরুদ্ধ ছিলেন গুলশানে তাঁর কার্যালয়ে। প্রশ্ন উঠেছে, এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করা গেলে এখন তা করতে আপত্তি কেন? এটা কি শুধুই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে? সে কারণটি যা-ই হোক না কেন, তা অবশ্য আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক যা বলেছেন তা নয়। একই দিনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বলেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে অনীহা দেখাচ্ছে। বিএনপির অন্তর্জ্বালা হচ্ছে, তাদের দোসর পেয়ারে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। এজন্যই বিএনপি সেখানে সমাবেশ করতে চায় না।’ অকাট্য তথ্য-প্রমাণ ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা শিষ্টাচারবহির্ভূত- এ কথা বিজ্ঞজনেরা বলে থাকেন। বিএনপি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না বা পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান বিধায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে অনাগ্রহী এসব কথাকে শিষ্টাচারবহির্ভূত বলা যায় কি না জানি না। তবে জাহাঙ্গীর কবির নানকের মতো একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিকের উচিত হয়নি এমন বালখিল্য মন্তব্য করা। কারণ বিএনপি এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা-সমাবেশ করেনি তা নয়। এখন কেন তারা সেখানে সমাবেশ করতে চায় না, কেন নয়াপল্টনেই করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তোলা যায়। তবে সেজন্য তাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলা সমীচীন নয় বোধহয়। একটি রাজনৈতিক দলকে এ ধরনের অপবাদ দেওয়া যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। আমাদের বড় দুর্ভাগ্য, আমাদের রাজনীতিকরা একে অন্যকে ঘায়েল করতে মাঝেমধ্যে এমন সব কথা বলেন, যা শুনে তাদের সম্পর্কে আম-পাবলিকের ধারণা নিম্নগামী হয়।

এদিকে সমাবেশ করার জন্য বিএনপিকে ডিএমপি যে ২৬টি শর্ত দিয়েছে, তা নিয়ে রাজনীতিসচেতন মহলে আলোচনা-সমালেচনা চলছে। কেউ কেউ একটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের জন্য ‘কোয়ার্টার সেঞ্চুরি’রও বেশি শর্ত দেওয়াকে হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটতে নদীতে ফেলার সঙ্গে তুলনা করছেন। তারা বলছেন, দেশে এখন স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। বিএনপি ইতোমধ্যে ঢাকার বাইরের সমাবেশগুলো শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন করেছে। সেসব স্থানে কিছু নিয়মাবলি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বেঁধে দিলেও ঢাকার ব্যাপারে তাদের এত শর্তারোপ কেন, তা বোধগম্য নয়। তারা বলছেন, দেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত; সামরিক সরকার নয়। সাধারণত সামরিক সরকারগুলোর সময়ে এ ধরনের শর্তের বাড়াবাড়ি দেখা যায়। একটি গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে বিরোধী দলকে শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ করা গণতন্ত্রকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে। যে ২৬টি শর্ত ডিএমপি বিএনপিকে দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- মাত্র চার ঘণ্টা মাঠ ব্যবহার, সমাবেশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিতরেই সীমাবদ্ধ রাখা, সমাবেশের নিরাপত্তা বিধানের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ), নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উচ্চ রেজুলেশনসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্রবেশপথে আর্চওয়ে স্থাপন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে মাইক না লাগানো, পতাকা, ব্যানার ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠিসোঁটা বহন না করা, রাস্তায় যান চলাচলে বিঘœ না ঘটানো, রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য না দেওয়া, উসকানিমূলক কোনো প্রচারপত্র বিলি না করা ইত্যাদি। এ ছাড়া সমাবেশের দুই ঘণ্টা আগে প্রবেশ এবং নির্ধারিত সময়ে সমাবেশ শেষ করার কথাও বলা হয়েছে ডিএমপির শর্তাবলিতে। এতসব শর্ত মেনে বিএনপির মতো একটি বড় দল কীভাবে সমাবেশ করতে পারবে সে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। কেননা সমাবেশস্থলে সমবেত হওয়া লোকজন উদ্যান ছেড়ে রাস্তায় আসাটা অস্বাভাবিক নয়। সে ক্ষেত্রে পুলিশ কি তাদের বিরুদ্ধে শর্তভঙ্গের অভিযোগ আনবে? একটি রাজনৈতিক দলের মিছিল-সভা-সমাবেশ হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব যে বেড়ে যায় এটা বলাই বাহুল্য। সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ তাদেরই নিতে হবে। কিন্তু ডিএমপির ২৬ শর্তের দিকে তাকালে দেখা যায়, পুরোটাই বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি সিসি ক্যামেরা স্থাপন পর্যন্ত! অনেকেই মনে করেন, এসব ‘অবশ্যপালনীয়’ শর্তারোপ আর যা-ই হোক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় কাক্সিক্ষত হতে পারে না।

অন্যদিকে বিএনপি যাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে পারে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ও ৯ ডিসেম্বর থেকে এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর এক দিন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং তা দেশে একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন। তাঁরা বলছেন, বিএনপিরও উচিত নয়াপল্টনের গোঁ ধরে বসে না থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সুপরিসর পরিবেশে বৃহৎ সমাবেশ করে তাদের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক শক্তির জানান দেওয়া।

তবে জনমনে এ মুহূর্তে যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দখা দিয়েছে তা হলো, সরকার যদি নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি না দেয় এবং বিএনপি যদি সেখানেই সমাবেশ করতে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে, তাহলে কী হবে? দুই দলের এমন বিপরীতমুখী অবস্থানকে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পূর্বলক্ষণ বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সংঘাত এড়াতে সরকার ও বিএনপিকে সমঝোতার পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু যুদ্ধংদেহি মনোভাব নিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থানরত দুই পক্ষ সেসব পরামর্শ কানে তুলবে কি না তা এক বিরাট প্রশ্ন। আর সেজন্যই সাধারণ মানুষের মনে শঙ্কা বাসা বেঁধেছে, দেশের পরিস্থিতি আবার অসমাধানযোগ্য কোনো জটিলতার আবর্তে নিপতিত হয় কি না। তারা মনে করেন, রাজনৈতিক পক্ষগুলোর উচিত শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশের স্বার্থে ছাড় দেওয়ার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসা। একটি কথা তো মানতেই হবে, বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করে সরকারের গদি উল্টে ফেলতে পারবে না, আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করলে তারা ক্ষতিগ্রস্তও হবে না। তাহলে এই গোঁ ধরে বসে থাকা কেন?

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর