রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

একজন সৈয়দ আশরাফ শেখ হাসিনার পাশে কেন দরকার

নঈম নিজাম

একজন সৈয়দ আশরাফ শেখ হাসিনার পাশে কেন দরকার

অনেক কথা শুনেছিলাম। উত্তেজনাকর পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল গুজব। অনেকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর সব বদলে যাবে। বাংলাদেশে সরকার থাকবে না। পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ, ঘোলাটে। বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। কথামালার রাজনীতি দেখে দুই সপ্তাহ আগে বলেছিলাম, কিছুই হবে না।  বাংলাদেশ আগামী এক বছর আগের মতোই চলবে। গর্জন বেশি হলে বৃষ্টি থেমে যায়। বক্তৃতা দিয়ে বা সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের দিন শেষ। গণতান্ত্রিক সমাজে শুধু সরকার বদল হতে পারে ভোটের মাধ্যমে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তার আগে দেশে ভোট হবে না। আগাম ভোটে আগ্রহী নয় সরকারি দল। তারা ব্যস্ত বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচন নিয়ে। জাতীয় পার্টি দেনদরবার করছে। দেবর-ভাবি সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁরা সব চান। আওয়ামী লীগের ভিতরেও আগ্রহীর সংখ্যা কম নয়। ক্ষমতাসীনরা ২০২৩ সালটা চ্যালেঞ্জের ভিতরে কাটিয়ে সবকিছুর মোকাবিলায় ২০২৪ সালকে বেছে নিতে চায়। কারণ জোড় সংখ্যা সব সময় আওয়ামী লীগের প্রিয়। ১৯৫৪ সাল থেকে ’৭০, ’৯৬, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের কঠিন সময় তা-ই দেখা গেছে। শেখ হাসিনা এখন ঘর গোছাচ্ছেন ’২৪ সালের ভোটের টার্গেটে। ভাবছেন ’২৩ সালের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট সামাল দেওয়া নিয়ে। শেখ হাসিনা জানেন কখন কী করতে হবে। আসমানি আওয়াজে ক্ষমতায় বসা যায় না। ক্ষমতা বদলও হয় না। ক্ষমতায় আসতে, থাকতে হলে মানুষের মন জয় করতে হয়। জনগণের সুখদুখে পাশে থাকতে হয়। শেখ হাসিনা তা-ই করছেন। ভিন্ন দিকে ২০০৭ সাল থেকে সময়টা ভালো যাচ্ছে না বিএনপির। রাজনীতির দাবার চালে বারবার মার খাচ্ছে দলটি। খেসারত দিচ্ছে ক্ষমতায় থাকার সময়ের সব ভুলের। রাজনীতিতে একবার ভুল হলে অপেক্ষা করতে হয়। মাথাটা ঠান্ডা রাখতে হয়। ২১ বছর অপেক্ষার পর ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ। ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার ছয় বছরের ভিতরে দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। লড়েছেন একাই। গড়ে তুলেছিলেন নিজস্ব টিম।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার তিল তিল শ্রম-ঘামে দলটি আজকের সাফল্যে। আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতা অনেক কিছু জানেন না। ঠিকভাবে বোঝেন না শেখ হাসিনার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক দর্শন। দলীয় নেতাদের কাণ্ডকীর্তি শেখ হাসিনা সবই দেখেন। কারও কারও বই আছে বাজারে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আটক নেতাদের জবানবন্দি আছে ইউটিউবে। ঝুঁকি কেউ নেননি। এখন বিশাল বীরপুরুষের মতো কথা বলছেন। খারাপ সময় এলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধুও পাননি। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগকে গ্রাস করেছিল ‘সিক্সটিন ডিভিশন।’ ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পর হঠাৎ দেশের সবাই আওয়ামী লীগার বনে যান। মুক্তিযুদ্ধ করেননি, বাপ-দাদা চৌদ্দগুষ্টি আওয়ামী লীগকে গালাগাল করত, তারা হুট করে বনে গেল আওয়ামী লীগার। শিপন শার্ট পরে ঘুরে বেড়ানো রাজাকার পরিবারের সন্তানরা বনে গেল ছাত্রলীগ। এই গোষ্ঠী লুটপাটে জড়াল। বদনাম তৈরি করল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির। মানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু বাকশাল করলেন। জাতির পিতা হিসেবে শেষ চেষ্টা করলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি মাল্টিক্লাস পার্টি। আমি তার নামের আগে কৃষক শ্রমিক লাগিয়েছি বইকি, কিন্তু দলটির চরিত্র এখনো বদলাতে পারিনি, রাতারাতি তা সম্ভবও নয়। আমার দলে নব্য ধনীরাও আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় তাদের লুটপাটের সুযোগ বহুগুণ বেড়ে গেছে। আমি তাদের সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই বাকশাল করেছি। যদি এ ব্যবস্থা সফল করতে ব্যর্থ হই এবং আমার মৃত্যু ঘটে, তাহলে দলকে কবজা করে ওরা আরও লুটপাটে উন্মত্ত হয়ে উঠতে পারে। এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশের মূলমন্ত্রে শত্রুপক্ষের নীতি ও চরিত্র অনুসরণ করে আওয়ামী লীগের নীতি পাল্টে ফেলতে পারে। যদি তা হয়, সেটাই হবে আমার দ্বিতীয় মৃত্যু। সেজন্য আগেই বলছি, আমার দল, আমার অনুসারীদের হাতেই যদি আমার এই দ্বিতীয় মৃত্যু ঘটে, তাহলে দীর্ঘকালের জন্য বিস্মৃতির অন্ধকারে চলে যেতে হবে। কবে ফিরব তা জানি না।’ দলেবলে সবাই বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাস্তায় বেরিয়ে আসেননি জাতীয় নেতারা। জীবনের ঝুঁকি নেননি। ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের রক্ষায়। এখন এ নিয়ে গল্পের আসর বসে!

ঐতিহাসিক সত্য অনেক সময় আমরা মানতে নারাজ। সত্য মেনে সামনে চললে অনেক সংকটের সমাধান হয়ে যায়। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার বাইরে নেওয়ার সক্ষমতা এখনো বিএনপির নেই। আওয়ামী লীগের শত্রু ঘরের ভিতরে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে চক্রান্ত আওয়ামী লীগের ভিতর থেকেই হয়েছিল। এই দলের নেতারাই হাত মিলিয়েছিলেন খুনিদের সঙ্গে। এখনো তারা নিজের ব্যক্তিগত লাভের জন্য অনেক কাজ করেন। এখনো অনেক মন্ত্রী-এমপির কাণ্ড দলকে বিব্রত করছে। কারও কারও অবস্থান দলের ক্ষতি করছে। দলের অপছন্দের লোককে ডোবাতে জামায়াতকে বুকে নেয়। ভুলে যায় নিজের নেত্রীর আদর্শের কথা। আওয়ামী লীগ করলে অবশ্যই শেখ হাসিনার আদর্শ, আদেশ, নির্দেশ মানতে হবে। তাঁর নীতি ও দর্শনের ভিতরে থাকতে হবে। ‘মুখে শেখ ফরিদ, বগলে ইট’ থাকলে চলবে না। স্বার্থপরতার রাজনীতি দলের বারোটা বাজায়। ’৭২ সালে জাসদ গঠন না হলে বঙ্গবন্ধু সরকারকে বিপর্যয়ে পড়তে হতো না। বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে এক দিনের জন্যও সিরাজুল আলম খান আটক হননি। ’৭৫ সালের ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ রাজনীতিবিদদের টানেননি। আবার রাজনীতিবিদরাও তার কাছে আস্থা পাননি। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ৪ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে করা মিছিলটি ছিল বামদের পূর্বনির্ধারিত। আওয়ামী লীগের কেউ যোগ দিলেও এর সঙ্গে অন্য কিছু সম্পৃক্ত ছিল না। ৭ নভেম্বর জাসদ ঐক্য গড়ল জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। যোগ দিল সেনা অফিসার হত্যালীলায়। এখনো জাসদ সংহতি দিবস পালন করে! কীসের জোট, কীসের মহাজোট? দেশবাসীর কাছে স্পষ্ট নয়, ৭ নভেম্বর কীসের বিপ্লব, কীসের সংহতি? সিপাহি বিপ্লবের নামে গণবাহিনীর হাতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসাররা খুনের শিকার হন। ৭ নভেম্বর অফিসার হত্যার দিন। খুনিদের উৎসবের দিন। বাংলাদেশের রাজনীতির ঘাটে ঘাটে চক্রান্তের জাল তৈরি হয়েছিল ১৯৭২ সালে। আওয়ামী লীগকে হটাতে জাসদ তৈরি হয়। বঙ্গবন্ধু সব জানতেন। তার পরও সব হজম করতেন। ভাবতেন সব ঠিক হয়ে যাবে। সবাই ভুল থেকে বের হবে। ভালো হয়ে যাবে। মোশতাক আওয়ামী লীগের ক্ষতি করছেন এমন রিপোর্ট বঙ্গবন্ধুর কাছে ছিল। তার পরও বঙ্গবন্ধু ’৭৩ সালের ভোটে মোশতাককে জয়ী করতে দাউদকান্দি গিয়েছিলেন। মানুষের কাছে অনুরোধ করেছিলেন মোশতাককে ভোট দিতে। খন্দকার মোশতাক সেদিন হারলে কী এমন ক্ষতি হতো?

বঙ্গবন্ধু উদার ছিলেন। মানুষের নেতারা উদারই হন। শেখ হাসিনা বাবার উদারতাটুকু পেয়েছেন। বাইরে কঠোরতা দেখান। ভিতরে তিনি মানবতার নেত্রী। দলের ক্ষতিকারকদের তিনি চেনেন, জানেন। তার পরও তাদের এড়াতে পারেন না। ব্যবস্থা নেন না। নিজের ক্ষতি মেনে নেন। কষ্ট করে আবার সব গোছান। ’২৪ সালের ভোটে এ অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। যারা হারবে তাদের কেন টানতে হবে? দেশে একটা টেনশনের যুগ চলছে। এ টেনশন কারও ক্ষমতায় যাওয়ার। কারও ক্ষমতায় থাকার। আগামী এক বছর বাংলাদেশের সামনে পুরোপুরি চ্যালেঞ্জের। করোনা ও যুদ্ধের অর্থনীতি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সে চিন্তা অর্থনীতিবিদরা করছেন। সব সামলাতে দিনরাত খাটছেন শেখ হাসিনা। এ জটিল সময়ে আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতা দম্ভ নিয়ে চলেন। দুই দিনের দুনিয়ায় ক্ষমতা নিয়ে দম্ভের কী আছে? বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক দর্শন থেকে শিক্ষা নিন। আগামীর বাংলাদেশ নিয়ে ভাবুন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনে যান। দেখবেন সবকিছুই জয় করতে পেরেছেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কথা মনে পড়ছে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় নরসিংদীর গণমানুষের নেতা রাজিউদ্দিন রাজু ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিদিন আড্ডা দিতাম। শুনেছি রাজু ভাইয়ের শরীরটা এখন ভালো যাচ্ছে না। রাজু ভাইয়ের আমন্ত্রণে একদিন বিখ্যাত লেখক সমরেশ মজুমদারসহ আমরা গিয়েছিলাম রায়পুরার আদিয়াবাদে তাঁর বাড়িতে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে সমরেশদা যোগ দিয়েছিলেন। মধ্যাহ্নভোজের পর আমরা নৌকায় চড়ে মেঘনা নদীতে ঘুরেছি। সে অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফেরও যাওয়ার কথা ছিল। অসাধারণ মানুষ ছিলেন সৈয়দ আশরাফ। শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে রাজনীতি করতেন। অনেক কিছুতে নীরব থাকতেন। সময়মতো আবার বেরিয়ে আসতেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় কথা বলতে কার্পণ্য করতেন না। হেফাজতের সময় গর্জে উঠতে দ্বিধা করেননি। ওয়ান-ইলেভেনের খলনায়কদের বিদায় নিয়ে ভোট দেওয়ার দাবি জানিয়ে একদিন ঢাকা ক্লাবে এলেন। অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। রাজু ভাই তাঁকে অভিনন্দন জানালেন। বললেন, তুমি ভালো বলেছ। আমি বললাম, এত সাহস কই পান? জবাবে বললেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শ থেকে পেয়েছি। ভদ্র, সজ্জন একজন মানুষ ছিলেন। লোভ-লালসার বাইরে ছিলেন। তাঁকে আধ্যাত্মিক মানুষ মনে হতো। এ যুগে এমন মানুষের বড় অভাব। শেখ হাসিনার পাশে একজন সৈয়দ আশরাফকে সব সময় দরকার। তাঁর বিদায়ের বছর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে লেখনী ছিল ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে। সম্মেলন শেষে বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। ভেবেছিলাম আশরাফ ভাই আসবেন না। আমন্ত্রণ জানালাম। তিনি এলেন। দীর্ঘ তিন ঘণ্টার বেশি থাকলেন। হাঁটাহাঁটি করেছেন অনুষ্ঠানস্থলে। সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। নেতা হতে হলে কিছু গুণের দরকার হয়।

আরেকটি ঘটনা মনে পড়ছে। এক মধ্যরাতে চ্যানেল আইতে মতিউর রহমান চৌধুরীর টকশোয় সৈয়দ আশরাফের তুমুল সমালোচনা করলাম। বললাম, সৈয়দ আশরাফ কেন আওয়ামী লীগ অফিসে যান না? কর্মীদের সময় দেন না? অনুষ্ঠান শেষ হতেই ফোন ক্যাপ্টেন (অব.) তাজের। তিনি তখন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী। থাকতেন গুলশান ১ নম্বরে। বললেন, বাসায় যাওয়ার পথে এক কাপ চা খেয়ে যান। থমকে গেলাম তাজ ভাইয়ের বাসায় ঢুকে। বসে আছেন আশরাফ ভাই। আমাকে দেখে হাসলেন। কাছে ডেকে বসালেন। বললেন, আপনার কথাগুলো এতক্ষণ আমরা শুনছিলাম। তাজ সাহেবকে বললাম, অনেক দিন দেখা হয় না। ভালো বলেছেন। আসতে বলুন। গল্পগুজবে মধ্যরাত অবধি কাটল। টিভিতে তাঁর সমালোচনা নিয়ে একটি প্রশ্নও করলেন না। আশরাফ ভাই এই গুণটিও শেখ হাসিনা থেকে পেয়েছেন। শেখ হাসিনা নীলকণ্ঠে সব আপন করে নেন। এক মার্কিন সাংবাদিক বন্ধুকে বলেছিলাম, শেখ হাসিনার চেয়ে বড় মিডিয়াবান্ধব বাংলাদেশে কেউ নেই। সেই সাংবাদিক বন্ধু বিস্ময় নিয়ে তাকালেন। শেখ হাসিনা কীভাবে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ান কিছু ঘটনা বললাম। সাংবাদিক বন্ধু থতমত খেলেন। তারপর বললেন, তাহলে এত অপপ্রচার কেন? বললাম, সরকারে থাকলে অনেক বেশি ডিপার্টমেন্ট থাকে। তারা অপপ্রচারের পাল্টা জবাব দিতে পারে না।

অনেকে বোঝেন না, হুমকিতে মিডিয়া জয় করা যায় না। মৃণালকান্তি দা আশির দশকে নেত্রীর সঙ্গে কাজ করতেন। এখন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও এমপি। তিনি পত্রিকা অফিসে ঘুরে ঘুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেন। নেত্রীর পজিটিভ নিউজগুলো সামনে নিয়ে আসতেন। কারণে-অকারণে আমাদের নেত্রীর সামনে নিয়ে যেতেন। ঢাকার বাইরে সফরের সময় নেত্রী খেতে বসে প্রথমেই জানতে চাইতেন সাংবাদিকরা খেয়েছেন কি না। তিনি সাংবাদিকদের পাশাপাশি গাড়ির চালক ও নিরাপত্তারক্ষীদের খবর নিতেন। সাংবাদিকদের বিপদে-আপদে পাশে থাকতেন। এরশাদ ও বিএনপি সরকারের রোষানল থেকে অনেককে রক্ষা করেছেন। সেসব লিখে শেষ করা যাবে না। এখনো এ ব্যস্ততায়ও তিনি মিডিয়ার হাঁড়ির খবর রাখেন।  তাঁর সহযোগী নেতারা এক শর এক ভাগও পাননি নেত্রীর। শেখ হাসিনা দেশপ্রেমসহ বাবার অনেক ধাঁচই পেয়েছেন। তাই তো বাংলাদেশকে উন্নতির নতুন ধাপে আনতে পেরেছেন।  তাঁর নেতৃত্বে এ দেশ এগিয়ে চলছে। এগিয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকতে পারে না।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ খবর