রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিশেষায়িত স্কুল

সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা অনাকাক্সিক্ষত

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের প্রতিটি এলাকায় বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠায় সরকারি উদ্যোগে কোনো গতি নেই। এ ব্যাপারে সরকারের আগ্রহে দুই বছর আগে সাড়া দেয় দেশের সহস্রাধিক উদ্যোক্তা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠার আবেদন জমা হলেও তারপর থেকে বিরাজ করছে স্থবিরতা। এখন পর্যন্ত অনুমোদন পায়নি কোনো স্কুল। স্মর্তব্য, জীবন দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি মূল ধারার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণসহ স্বনির্ভর ও স্বাধীন জীবনযাপনের উপযোগী করতে ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯’ তৈরি করা হয়। বলা হয়েছিল, প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি করে বিশেষ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এসব স্কুল হবে সুবিন্যস্ত ও প্রতিবন্ধীবান্ধব। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ হবে সুগঠিত ও প্রবেশ উপযোগী। বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রও হবে সুবিন্যস্ত। শিক্ষার্থীর চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী অডিওলজিক্যাল পরীক্ষা, হিয়ারিং এইডের ব্যবস্থাসহ ফিজিওথেরাপি,  স্পিচ থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ও থেরাপিসহায়ক উপকরণ এবং কাউন্সিলিং ব্যবস্থাও থাকবে স্কুলেই। এসব বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও বেতন-ভাতার জন্য কমপক্ষে ১০০ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী থাকার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে থাকতে হবে কমপক্ষে ৭৫ জন। অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে বেতন-ভাতার জন্য সমসংখ্যক এনডিডি শিক্ষার্থী থাকতে হবে। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা শিথিলযোগ্য। সরকার প্রতিটি জেলায় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেবে এমন ঘোষণার পর ব্যাঙের ছাতার মতো সারা দেশে হঠাৎ অসংখ্য স্কুল গজিয়ে ওঠে। মোট ২ হাজার ৬৯৭টি বিদ্যালয় অনুমোদন পেতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে গত বছর ১ হাজার ৫২৫টি বাছাই করে।  এরপর বাদ দেওয়া হয় আরও প্রায় হাজারখানেক। অধিকতর যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদনযোগ্য প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা এগোচ্ছে না। এ দীর্ঘসূত্রতার অবসান হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর