বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের প্রতিটি এলাকায় বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠায় সরকারি উদ্যোগে কোনো গতি নেই। এ ব্যাপারে সরকারের আগ্রহে দুই বছর আগে সাড়া দেয় দেশের সহস্রাধিক উদ্যোক্তা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বিশেষায়িত স্কুল প্রতিষ্ঠার আবেদন জমা হলেও তারপর থেকে বিরাজ করছে স্থবিরতা। এখন পর্যন্ত অনুমোদন পায়নি কোনো স্কুল। স্মর্তব্য, জীবন দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি মূল ধারার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণসহ স্বনির্ভর ও স্বাধীন জীবনযাপনের উপযোগী করতে ‘প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯’ তৈরি করা হয়। বলা হয়েছিল, প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে একটি করে বিশেষ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এসব স্কুল হবে সুবিন্যস্ত ও প্রতিবন্ধীবান্ধব। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ হবে সুগঠিত ও প্রবেশ উপযোগী। বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রও হবে সুবিন্যস্ত। শিক্ষার্থীর চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী অডিওলজিক্যাল পরীক্ষা, হিয়ারিং এইডের ব্যবস্থাসহ ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ও থেরাপিসহায়ক উপকরণ এবং কাউন্সিলিং ব্যবস্থাও থাকবে স্কুলেই। এসব বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও বেতন-ভাতার জন্য কমপক্ষে ১০০ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী থাকার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে থাকতে হবে কমপক্ষে ৭৫ জন। অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে বেতন-ভাতার জন্য সমসংখ্যক এনডিডি শিক্ষার্থী থাকতে হবে। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা শিথিলযোগ্য। সরকার প্রতিটি জেলায় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেবে এমন ঘোষণার পর ব্যাঙের ছাতার মতো সারা দেশে হঠাৎ অসংখ্য স্কুল গজিয়ে ওঠে। মোট ২ হাজার ৬৯৭টি বিদ্যালয় অনুমোদন পেতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে গত বছর ১ হাজার ৫২৫টি বাছাই করে। এরপর বাদ দেওয়া হয় আরও প্রায় হাজারখানেক। অধিকতর যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদনযোগ্য প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা এগোচ্ছে না। এ দীর্ঘসূত্রতার অবসান হওয়া উচিত।
শিরোনাম
- নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল
- ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য
- আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ
- বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
- গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু
- তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি
- দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ
- নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী
- সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম
- সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!
- বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
- নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম
- বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য
- পাকিস্তান ক্রিকেটে অনিশ্চয়তা, পিএসএলের পর বন্ধ ঘরোয়া ক্রিকেটও
- গরমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আম
- গরমে প্রতিদিন তিল খেলে মিলবে যে উপকার
- কলাপাড়ায় খাল দখলমুক্ত করতে মাঠে নামলো প্রশাসন
- স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার