সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
ইতিহাস

যুদ্ধবিরোধী মনোভাব

জাফর খান

সমাজ এবং ব্যক্তি স্তরে যুদ্ধের ক্ষতিকর প্রভাব প্রত্যক্ষ করে অশোক বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে, ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধের ভিত্তিতে যুদ্ধের পথ পরিহার করে শান্তি ও সামাজিক সৌহার্দ্য গড়ে তোলার দায়িত্ব কাঁধে নিতে পারলে মানুষের কল্যাণ সাধন সম্ভব। তিনি তার রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় নীতির নতুন ধারণার ব্যাখ্যা দেন ধম্ম-এর ওপর ভিত্তি করে, যা ছিল সম্পূর্ণই ধর্ম ও নৈতিকতা সম্পর্কে তার নিজস্ব চিন্তা। তিনি তার এ ধারণা প্রস্তরখন্ডে এবং স্তম্ভের গায়ে উৎকীর্ণ করে রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা এবং সাধারণের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বর্ণনা দেন, কী করে কলিঙ্গ যুদ্ধ তার চিন্তাধারায় পরিবর্তন এনেছিল এবং শান্তির জগৎ ও সামাজিক সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেছিল। কলিঙ্গ যুদ্ধ তার মনোজগতে যে পরিবর্তন এনেছিল, তেরতম প্রস্তরলিপিতে তার বর্ণনা নিম্নরূপ : ‘‘যখন তিনি (অশোক) ঈশ্বরের প্রিয়পাত্র, রাজা পিয়দসি আট বছর অতিবাহিত করলেন, তখন কলিঙ্গ জয় হলো। এতে ১ লাখ ৫০ হাজার লোক গৃহহীন হয়, ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয় এবং তারও কয়েক গুণ বেশি মানুষ ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  তারপর যখন কলিঙ্গ তার রাজ্যভুক্ত হয়, তখন ঈশ্বরের প্রিয়পাত্র ঐকান্তিকতার সঙ্গে ‘ধম্ম’ পালন করেন, তার একমাত্র কাম্য হয়, ধম্ম প্রচার।  কলিঙ্গ জয়ের পরে ঈশ্বরের প্রিয়জন অনুশোচনায় দগ্ধ হতে থাকেন।  

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর