বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

স্কুলের পাঠ্যবই

সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিন

বছরের প্রথম দিনই স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া সরকারের একটি সাফল্য। বিশ্বজুড়ে নন্দিত হয়েছে এই শিক্ষাবান্ধব কর্মসূচি। সরকারের এ কর্মসূচির আগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ছিল পাঠ্যবই ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। সময়মতো বই হাতে পাওয়া ছিল কল্পনার বাইরে। শিক্ষা বোর্ডের বই কিনতে গেলে সঙ্গে ধরিয়ে দেওয়া হতো নোটবই। অভিভাবকদের পকেট কাটা হতো প্রকাশ্যেই। বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণের সিদ্ধান্ত চালুর পর এ পর্যন্ত বছরের প্রথম দিনেই বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। আগামী বছর এ কর্মসূচিতে কিছুটা হলেও ব্যতিক্রম ঘটবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পয়লা জানুয়ারি বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেওয়া হবে। তবে বই উৎসবের দিনে সব বই পাবে না ছাত্রছাত্রীরা। আংশিক বই দিয়েই বই উৎসব করতে হবে। কোনো কোনো বই পেতে জানুয়ারি পেরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতি বছর মানসম্মত কাগজে বই ছাপা হলেও ২০২৩ সালের সব শ্রেণির বইয়েই মানের ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে বলা হয়েছে, বই উৎসবের লক্ষ্যে ডিসেম্বরের মধ্যে ৮০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। বাকি বই জানুয়ারিতে দেওয়া হবে। আর মুদ্রণ শিল্প সমিতির নেতারা বলছেন, প্রায় ৫০ শতাংশ বই ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছাবে। পুরো বই পেতে আগামী বছরের এপ্রিল-মে পর্যন্ত চলে যেতে পারে। আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সব মিলিয়ে মোট ৩৩ কোটি ৯৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫৭ কপি নতুন বই ছাপানো হচ্ছে। মুদ্রণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেরিতে চুক্তি, কাগজ সংকট, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ইত্যাদি কারণে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা আশা করব, সরকার পাঠ্যবইয়ের ক্ষেত্রে সৃষ্ট সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর