শুক্রবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শীতে কাঁপছে দেশ

শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে

প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে দেশ। কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ সারা দেশেই অনুভূত হচ্ছে শীতের তীব্রতা। শীতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘন কুয়াশা। এ কারণে দেশের অনেক অঞ্চলে দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। হিমশীতল ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই সময়ে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শীতের তীব্রতা ছিল প্রচণ্ড। তাপমাত্রার তুলনায় শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ উত্তরের হিমেল বাতাস। দেশজুড়ে এমন বাতাস বইতে পারে আরও কয়েক দিন। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, চলতি জানুয়ারিতে দেশে দুই থকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। তবে তা তীব্র রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। বর্তমানে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। আবহাওয়া অধিদফতরের অভিমত, দেশে এখন যে তাপমাত্রা রয়েছে, তা এ সময়ের জন্য স্বাভাবিক। তবে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দেশের ওপর দিয়ে হিমেল হাওয়া বইতে থাকায় এখন শীত তুলনামূলক বেশি অনুভূত হচ্ছে। এদিকে টানা দুই সপ্তাহ ধরে কুয়াশায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সেই সঙ্গে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথেও ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। গত ১৪ দিনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে প্রায় ৮০ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ ছিল। আরিচা-কাজিরহাট রুটে ১০ দিনেই বন্ধ ছিল ৮৫ ঘণ্টা। যথাসময়ে যানবাহন নদী পাড়ি দিতে না পারায় দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। শীতে সবচেয়ে কষ্ট ভোগ করছে গরিব মানুষ। তাদের জীবিকায়ও শীত আঘাত হানছে। সাধারণভাবে বৃদ্ধ ও শিশুর অনেকেই শীতজনিত রোগের শিকার হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। শীতে শিশু ও বৃদ্ধদের সুরক্ষায় বাড়তি নজর দেওয়া উচিত। শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সমাজের সম্পন্ন মানুষ পাশে দাঁড়াবে- এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর