শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

পিতার কোলে পুত্র

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
পিতার কোলে পুত্র

আজ পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। মনে হয় আমরা দুবার স্বাধীন হয়েছি। একবার ১৬ ডিসেম্বর, আরেকবার ১০ জানুয়ারি। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এখন কে কী ভাবে, কার কেমন লাগে বলতে পারব না। কিন্তু মুক্ত-স্বাধীন দেশে আমার যেটা মনে হয়েছিল তা হচ্ছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা অধরা। ১৬ ডিসেম্বর হানাদাররা আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার আনন্দ সবার মধ্যে ছিল না। কেমন একটা হাহাকার, কেমন একটা হা-হুতাশ, কেমন একটা নাড়িছেঁড়া হুতাশন। কিছুতেই কোনো পরিপূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া যাচ্ছিল না। অন্যের কথা জানি না, সব সময় আমার মন কাঁদছিল পিতার জন্য। হঠাৎই জানুয়ারির ৩ বা ৪ তারিখ জাতির পিতার মুক্তির উড়ো খবরে টাঙ্গাইল কেঁপে উঠেছিল। টাঙ্গাইলের আশপাশে দেড়-দুই শ ক্যাম্প করে তখন কাদেরিয়া বাহিনী অবস্থান করছিল। কালিহাতী-সখিপুর-ভূঞাপুর-মির্জাপুর-গোপালপুর-নাগরপুর সব জায়গায়ই ঘাঁটি ছিল। ১৭-১৮ হাজার প্রত্যক্ষযোদ্ধা শিবিরে বসবাস করত। একেবারে কড়া শাসনে সেনাছাউনির মতো। ৭২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ৮-১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকও ছিল শিবিরবাসী। তাই নিয়মাবদ্ধ অনেক ঘাঁটি ছিল। হঠাৎই রাত ৮টা-সাড়ে ৮টার দিকে চারদিকে গুলি, পুরো মুক্তিযুদ্ধে কখনো কোথাও অনুমতি ছাড়া একটা গুলিও ফোটেনি। কিন্তু সেদিন গুলি আর গুলি। কোনো অনুমতি নেই। এত গোলাগুলি কোথাও ফোন করা যাচ্ছিল না, ফোন করা গেলেও কথা শোনা যাচ্ছিল না। অনেক চেষ্টাচরিত করে আনোয়ারুল আলম শহীদ, আবদুস সবুর খান বীরবিক্রম, হাবিবুর রহমান বীরবিক্রম, মেজর আবদুল হাকিম বীরপ্রতীক, এনায়েত করিম, ব্রিগেডিয়ার ফজলুর রহমান, ক্যাপ্টেন ফজলুল হক বীরপ্রতীক, মেজর গোলাম মোস্তফা বীরপ্রতীক, আবদুল গফুর বীরপ্রতীক, আবদুল্লাহ বীরপ্রতীকসহ ২৫-৩০ জনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি গোলাগুলির অনুসন্ধানে। যে ক্যাম্পেই যাই শুধু গুলি আর গুলি। কমান্ডারকে ডেকে কঠিন তিরস্কার করে আকাশের দিকে গুলি ছোড়া বন্ধ করে সরে যেতেই আবার গুলি। এক শিবির থেকে আরেক শিবিরে ছোটাছুটি করে প্রায় আড়াই-তিন ঘণ্টায় গুলি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরদিন সব কমান্ডারকে ডাকা হয়। দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। অনেককে তিরস্কার করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়ে কোনো মুক্তিযোদ্ধা অথবা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কখনো অমন শক্ত তিরস্কার শোনেনি। কারণ কাদেরিয়া বাহিনীতে যুদ্ধ হয়েছে, কষ্ট হয়েছে। কিন্তু রাগারাগি হয়নি। কোনো গালাগালি হয়নি। আমি খুব কঠোরভাবে এ উত্তেজনাটি চেপে রাখতে যোদ্ধাদের শিখিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম উত্তেজনা কোনো শুভলক্ষণ নয়। আর গালাগালি, রাগারাগি তো কোনো কাজের হতে পারে না। তাই চিৎকার-চেঁচামেচি, রাগারাগি ফান্দাফান্দি কাদেরিয়া বাহিনীর আশপাশে ছিল না। যেটা নতুন বছরে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির ভুয়া খবরে সব এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। কম করে ৪-৫ লাখ গুলি খরচ করা হয়েছিল। কেউ কেউ উত্তেজিত হয়ে, আনন্দিত হয়ে চায়না ব্যালেন্ডার সাইট ও ব্রিটিশ রকেট লঞ্চার ব্যবহার করেছিল। অনেক আলাপ-আলোচনার পর ঠিক করা হয় জাতির পিতার মুক্তির সংবাদে ইচ্ছা-স্বাধীন কেউ গুলি চালাতে পারবে না। প্রতি ঘাঁটিতে একটা রাইফেল, একটা স্টেনগান, একটা এলএমজি, একটা এমজি ব্যবহার করতে পারবে। কেউ আকাশে গুলি ছুড়তে পারবে না। আকাশে গুলি ছুড়লে বুলেট ফিরে এসে কারও গায়ে লেগে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আকাশে গুলি করলেই সেই গুলি যে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, তেমন নয়। বুলেট ফিরে এসে কাউকে অবশ্য অবশ্যই আঘাত করতে পারে। তাই গুলি করতে হবে মাটি খুঁড়ে বাংকার করে সেখানে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শঙ্কা চলতেই থাকে। বাংলার সাড়ে ৭ কোটি মানুষের তখন কেমন যেন শুধু পিতাকে নিয়েই চিন্তা। আমাদের আর কোনো কাজ নেই। বঙ্গবন্ধু কেমন আছেন, কোথায় আছেন, আদৌ বেঁচে আছেন কি না তা অনেকেরই জানা ছিল না। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম বঙ্গবন্ধুর অবস্থানের খবর জানতে। আমাদের তখন যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধাও ছিল। বেশ কয়েকজনকে তখনকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে রাখা হয়েছিল যেখানে বিদেশি সাংবাদিকরা গিজগিজ করছিল। অন্যদিকে ভারতীয় বাহিনীর হেডকোয়ার্টার ছিল আমাদের জন্য অবারিত। তাই খবর পাওয়ার খুবই সুবিধা ছিল।

অন্যদিকে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার সেনাপতি আমির আবদুল্লাহ নিয়াজি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করলে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের জন্য যেমন বুকটা হুহু করছিল, ঠিক তেমনি আমার মা-ভাইবোনের জন্যও হৃদয় কাঁদছিল। আগস্টের ১৬ তারিখ ধলাপাড়ার মাকরাইয়ে আমার হাতে-পায়ে গুলি লাগলে আমার পরিবারকে দুই ভাগ করে ফেলেছিলাম। বাবা, বাবুল সিদ্দিকী, বেলাল সিদ্দিকী এবং আমি এক অংশ। বড়ভাই লতিফ সিদ্দিকী আগেই ভারতে চলে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে মা, রহিমা, শুশু, শাহানা, আজাদ, মুরাদ আরেক অংশ। যাদের ঢাকা পাঠিয়েছিলাম নারিন্দার সারাহ খালার কথা চিন্তা করে কাদেরিয়া বাহিনীর সফল চিকিৎসক কাউলজানির ডা. শাহাজাদা চৌধুরী, ড. নুরুন্নবী ও বেহুলা লখিন্দরের আবুল কাশেমকে দায়িত্ব দিয়ে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার পরিবারের কোনো ক্ষতি হয়নি। বাবা ছিলেন ভারত সীমান্তের মারকার চরে। তাঁর কাজই ছিল একেওকে সাহায্য করা। আল্লাহ তাঁকে সামর্থ্যও দিয়েছিলেন। কারণ আমি বিশাল মুক্তিবাহিনীকে পরিচালনা করছিলাম। ঢাকায় এসে মায়েরও কোনো অসুবিধা হয়নি। পুরান ঢাকার নারিন্দার সারাহ খালার বাড়িতে যাওয়ার আগেই ডা. শাহাজাদা চৌধুরীর শ্বশুরবাড়ি চাষাঢ়ায় আমার মা, ভাইবোনকে উঠিয়েছিল। পরম আত্মীয়ের মতো তারা যত্ন করেছে। তাই ১৬ ডিসেম্বর হানাদারদের আত্মসমর্পণের পরপরই খালার বাড়ি নারিন্দায় গিয়েছিলাম মা এবং ভাইবোনের খবর নিতে। সেখানে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। তারা আবার নারায়ণগঞ্জে গিয়ে বিক্রমপুরের সেলিমের সহায়তায় একটি লঞ্চে করে ধলেশ্বরী, যমুনা হয়ে টাঙ্গাইলের দিকে এগোচ্ছিল এবং স্বাধীনতার দুই দিন পর তারা টাঙ্গাইলে পৌঁছেছিল। অন্যদিকে নারিন্দায় মা-ভাইবোনদের না পেয়ে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের খোঁজে ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে গিয়েছিলাম। গেটের কাছে দাঁড়াতেই একটা ডাটসান গাড়িতে উন্মাদের মতো চারজন লোক ছুটে আসে। নেমেই জিজ্ঞাসা করে, ‘আপনারা এখানে? আপনারা কী চান? বঙ্গবন্ধুর পরিবার-পরিজনের সঙ্গে দেখা করবেন?’ বলেছিলাম, হ্যাঁ। ‘তারা তো এখানে থাকে না। তারা ১৯ নম্বর বাড়িতে থাকেন। চলেন আমরা আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি।’ অত বড় একটা যুদ্ধ মোকাবিলা করেছি। হাজার হাজার মানুষকে পথ দেখিয়েছি। কিন্তু খোঁজখবর না করেই চারজনের পিছে ছুটেছিলাম। বঙ্গবন্ধু পরিবার যে বাড়িতে ছিল প্রথম গাড়ি মানে ডাটসান গাড়িটি ১৯ নম্বর বাড়ির গেটে পৌঁছাতেই হানাদারদের মেশিনগান গর্জে ওঠে। সামনের গাড়ির চারজনই নীরব-নিথর হয়ে যায়। আমার গাড়ি ছিল সামনের গাড়ি থেকে ৫০-৬০ গজ পেছনে। আমার গাড়িতেও দুটি গুলি লাগে। একটি দরজায়, আরেকটি ইঞ্জিনে। আমার পেছনেও ছিল প্রায় ১৫-২০টি মুক্তিযোদ্ধা বোঝাই নানা ধরনের গাড়ি। আমরা সবাই গাড়ি থেকে গড়িয়ে পড়ি। তাই কারও ক্ষতি হয়নি। অনেক চেষ্টা করে শুধু আমার গাড়িটি ফেলে রেখে পিছিয়ে এসে মিত্রবাহিনীর ঘাঁটি খোঁজার চেষ্টা করি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে ব্রিগেডিয়ার সানসিংয়ের ঘাঁটি পাই। সেখানে এক কর্নেল বঙ্গবন্ধু পরিবার তখনো হানাদারের কবলে জানালে আমাদের ব্রিগেডিয়ার সানসিংয়ের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ক্যাপ্টেন তারা নামে একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যেভাবেই হোক বুঝিয়ে সুঝিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির হানাদারদের আত্মসমর্পণ করাতে হবে। অনেক চেষ্টা করে বলেকয়ে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বুরবক পাকিস্তানি হানাদারদের আত্মসমর্পণ করানো হয়েছিল। কাদেরিয়া বাহিনীর পক্ষ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পল্টনে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জনসভার আহ্বান করা হয়েছিল। সে সভায় লোকসমাগম হয়েছিল প্রায় আড়াই-তিন লাখ। সেখানে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, ‘শেখ মুজিবকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মুক্তি না দিলে আমরা পাকিস্তান আক্রমণ করব। এ ব্যাপারে ভারতের সহযোগিতা কামনা করছি।’ সেই সমাবেশে নারী হরণকারী লুটেরা চারজনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। তারা বাঙালি না অবাঙালি আমরা কেউ জানতাম না। তাদের অপরাধই ছিল আমাদের কাছে মূল বিবেচ্য। এ নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে কলকাতা থেকে আমার নামে প্রথম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। আবার কি বিস্ময়ের ব্যাপার, ২৪ জানুয়ারি ’৭২ বঙ্গবন্ধু যখন কাদেরিয়া বাহিনীর হাত থেকে অস্ত্র নিতে গিয়েছিলেন তখন টাঙ্গাইল পার্ক ময়দানে প্রায় ১০-১৫ লাখ মানুষের সামনে বলেছিলেন, ‘কাদের পল্টনে চারজনকে গুলি করেছে। যারা অশান্তি সৃষ্টি করে, যারা লুটতরাজ করে তাদের আরও এক হাজার জনকে যদি কাদের গুলি করে শাস্তি দিত তা হলেও ধন্যবাদ পেত।’ এই ছিলেন জাতির পিতা।

আমরা ৮ তারিখ খবর পাই বঙ্গবন্ধু মুক্ত হয়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তাঁর লন্ডন পৌঁছে যাওয়ার সংবাদ আমরা যথাসময়ে পাই। একটা আনন্দের হিল্লোল খেলে যায়। মুক্তিবাহিনীর প্রায় তিন-সাড়ে তিন শ অবস্থান থেকে একযোগে গানফায়ার শুরু হয়। প্রতিটি শিবিরে বাংকার করে মেশিনগান চালানো হয়। যেখানে যেখানে রিকোয়ার্লেস রাইফেল ছিল, আরআর ছিল সেখান থেকে গানফায়ার করা হয়। ৯, ১০ তারিখ ছিল আমাদের কাছে বাতাসে উড়ে যাওয়ার মতো দিন। কখন সূর্য উঠেছে, কখন ডুবেছে আমাদের কোনো খেয়াল ছিল না। প্রতিদিনই মুক্তিযোদ্ধাদের সভা-সমাবেশ থাকত। কোনো দিন একটা, কোনো দিন দুইটা, তিনটা, চারটা। তখন সকাল ৭টা-৮টায় ঘর থেকে বেরোতাম। আর বাড়ি ফিরতাম রাত ১০-১১টার দিকে। যদিও আমার বাড়ি ছিল না। ৩ এপ্রিল ’৭১ পাকিস্তান হানাদাররা টাঙ্গাইলে ঢুকেই আসাদুজ্জামান খান, বদিউজ্জামান খান এবং লতিফ সিদ্দিকীর বাড়ি ধ্বংস করে দেয়। তখন আমাদের আকুরটাকুর পাড়ার পোড়া বাড়িতে টিনের ছাপড়া তুলে মা-বাবা থাকতেন অন্য ভাইবোনকে নিয়ে, পাশের ওয়াপদা ডাকবাংলোয় আমি থাকতাম। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যখন ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তখন আমরা টাঙ্গাইলের পাথরাইলে পূর্বনির্ধারিত জনসভায় ছিলাম। সকালে গিয়েছিলাম কুদ্দুসনগরের শহীদ কুদ্দুসদের বাড়ি। বিকালে ছিল জনসভা। ঢাকা বেতার কেন্দ্র সারা দিন বঙ্গবন্ধুর কর্মসূচির ধারাবিবরণী দিচ্ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে দিল্লির পালামে এসে অবতরণ করেন। সেখানে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিংসহ অসংখ্য নেতা পিতাকে পালাম বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। তাঁরা নিয়ে যান দিল্লির রামলীলা ময়দানে। সেখানে তিনি প্রথমে ইংরেজিতে, পরে লোকজন চিৎকার করায় বাংলায় বক্তৃতা করেন। কয়েক লাখ ভারতবাসী বাংলার এই অবিস্মরণীয় নেতার বক্তৃতা প্রাণভরে শোনে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়ও বঙ্গবন্ধুকে নামানোর চেষ্টা হয়েছিল। কলকাতার গড়ের মাঠে জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কলকাতায় নামেননি। তাঁর সমস্ত হৃদয় জুড়ে ছিল বাংলাদেশ। তিনি ১০ জানুয়ারি দুপুরে ঢাকা বিমানবন্দরে নামেন। তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কতটুকুই বা পথ। দুই-আড়াই কিলোমিটার। এই পথ অতিক্রম করতে আড়াই-তিন ঘণ্টা লেগেছিল। ৭ মার্চ জাতির পিতার জীবনের শ্রেষ্ঠ বক্তৃতা। বাংলাদেশের সব মানুষের হৃদয় উজাড় করে তিনি ঢেলে দিয়েছিলেন ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে। একটা দেশের স্বাধীনতার জন্য স্বাধীনতার যোদ্ধাদের সামনে যা যা সমস্যা আসতে পারে তার সমাধান কোনো কিছুই সেদিন পিতার বক্তৃতায় বাদ ছিল না। সব ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ। হিন্দু, মুসলমান, বাঙালি, অবাঙালি সবাই আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের উপরে। আমাদের যেন বদনাম না হয়। গ্রামে গ্রামে মহল্লায় মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলো। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ কতটা তীক্ষè বুদ্ধি থাকলে একজন মানুষ মুক্তির সংগ্রাম আগে বলে স্বাধীনতার সংগ্রাম পরে বলতে পারেন। তিনি জানতেন স্বাধীনতার সংগ্রাম আগে বললে মানুষের উচ্ছ্বাসে মুক্তির সংগ্রাম কেউ শুনবে না। তাই মুক্তির সংগ্রাম আগে বলে স্বাধীনতার সংগ্রাম তিনি পরে বলেছিলেন। এমন ক্ষুরধার ধীশক্তিসম্পন্ন কোনো নেতা এই ভূখন্ডে আর কখনো জন্মাবে বলে মনে হয় না।

আগেই বলেছি, কাদেরিয়া বাহিনীর পক্ষ থেকে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম জনসভা করা হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম, ‘শেখ মুজিবকে মুক্তি দাও। না হলে পাকিস্তান আক্রমণ করব।’ সেই জনসভার পর থেকেই সারা দেশে আলোচনা শুরু হয়েছিল আমরা কখন বঙ্গবন্ধুকে পাব। সত্যিই যদি সে সময় বঙ্গবন্ধুকে না পেতাম তাহলে কোনোমতেই পরাজিত পাকিস্তানি ৯৬ হাজার সেনা এবং কিছু বেসামরিক লোক পাকিস্তানে ফিরতে পারত না। বঙ্গবন্ধু জীবিত ফিরে না এলে হানাদাররা যেমন ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছিল, ২ লাখ মা-বোনের সম্মান-সম্ভ্রম নষ্ট করেছিল তেমনি স্বাধীনতার পর আরও ২-৪-১০ লাখ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী হানাদারের সহযোগিতাকারী বাংলার কুলাঙ্গার নিহত হতো। তাদের কেউ বাঁচাতে পারত না। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে বঙ্গবন্ধু ফিরে এসেছিলেন। তাই অনেকেই বেঁচে গিয়েছিল।

১০ জানুয়ারি রাত ১১টা ঝনঝন করে ফোন বেজে ওঠে। ফোনের কাছে যে ছিল ছুটে এসে জানায়, বঙ্গবন্ধু কথা বলবেন আপনাকে চাচ্ছেন। আমরা কেউ আশা করিনি বঙ্গবন্ধুর ফোন পাব। পরদিন ১১ তারিখ ঢাকা যাব ঠিক করে ফেলেছিলাম। ছুটে গিয়ে হ্যালো বলতেই পিতার কণ্ঠ, ‘কাদের সবাইকে দেখলাম আপনাকে দেখলাম না?’ বলেছিলাম, বললে এখনই আসি। পিতা বলেছিলেন, ‘না, টাঙ্গাইল থেকে আসতে কতক্ষণ লাগবে?’ আড়াই-তিন ঘণ্টার কমে হবে না। প্রায় ২২-২৩টি সেতু ভাঙা। নেতা-পিতা সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘না রে, তোকে রাতে আসতে হবে না। তুই সকালের দিকে চলে আয়। জানিস, সাংবাদিকরা তোকে নিয়ে লন্ডনে প্রশ্ন করেছিল, Who is kader Siddique? আমি বলেছি, Oh! Kader Siddique-he is my son. কাদের, আমি কি ভুল বলেছি?’ না, ভুল বলবেন কেন? আমার সব তনুমন-প্রাণ বীণার মতো বেজে উঠেছিল। কয়েক সেকেন্ড আগে যিনি ‘আপনি’ বলে তিরস্কার করেছিলেন, তিনিই সন্তানের মতো তুই বলে সম্বোধন করলেন। পরদিন সকাল ৮টা-সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডির বাড়িতে পিতার সান্নিধ্যে গিয়েছিলাম। শ-দুই-আড়াই কৃতী মুক্তিযোদ্ধার বহর নিয়ে আমি যখন বাড়ির গেটে তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে ভিতরের দিকে যাচ্ছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পত্রপত্রিকা, রেডিও-টেলিভিশন আমাকে নিয়ে অনেক কিছু ভালোমন্দ বলেছে। তাই আমি অনেকের কাছে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ছাত্রছাত্রীরা আমাকে গেটে দেখে ‘কাদের সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকী’ বলছিল। এটা নিশ্চয়ই পিতার কানে যায়। তিনি আবার ঘুরে দাঁড়ান। আমি এবং আমরা ছুটে গিয়ে পিতাকে সালাম করতে থাকি। বঙ্গবন্ধু আমাকে এক হ্যাঁচকা টানে কোলে তুলে বঙ্গমাতার দিকে ছুটে ছিলেন আর বলছিলেন ‘রেণু রেণু দেখো আমি কাকে নিয়ে এসেছি।’ বঙ্গমাতা বলেছিলেন, ‘ওকে আর আমাকে চেনাতে হবে না। ও তোমার আগেই আমাকে সালাম করে গেছে। ১৮ ডিসেম্বর জামালকে পল্টনে নিয়ে গিয়েছিল। এর মাঝে ও অনেকবার এসেছে। আর মুক্তিযুদ্ধের আগেও তো ওরা আসত। লতিফ, কাদের, রহিমা। ওদের সঙ্গে কতবার দেখা। তাই তুমি ওকে আর দেখাবে কী!’

 

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
সর্বশেষ খবর
আরাউহোকে বিক্রি করতে পারে বার্সা, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন
আরাউহোকে বিক্রি করতে পারে বার্সা, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

কৃষকের ৫ গরু চুরি
কৃষকের ৫ গরু চুরি

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা
পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা

৩ মিনিট আগে | বাণিজ্য

নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল
নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য

৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ

১০ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু

১২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু
গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি
তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি

২১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে
রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল
ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক
বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী
নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী

৪৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম
সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!
সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!

৫০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ
জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

৫২ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন
ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম
নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য
বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত
বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের
সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত
পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল
বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও
যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ
চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ

শোবিজ

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি
সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি

শোবিজ

বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য
বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

রকমারি