শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই

প্রশাসনকে দৃঢ় হতে হবে

দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের তাগিদ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান। বলেছেন, জেলা প্রশাসকরা সরকারের প্রতিনিধি। জেলায় কোনো দুর্নীতি হলে তথ্য পাওয়ার অনেক সোর্স তাদের রয়েছে। দুর্নীতির তথ্য পেলে তারা যেন বসে না থেকে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেন, যাতে দুর্নীতি বন্ধ হয়। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রীরা নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা, দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো, পরিবেশ সুরক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে বক্তব্য দেন। বলেন, আসন্ন রমজানে পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ কেউ নিলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। কৃষিজমি নষ্ট করে অর্থনৈতিক অঞ্চল করা যাবে না। দেশের সব ধরনের অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে। সব জমিতে ফসল ফলাতে পারলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। নতুন রাস্তা নির্মাণের চেয়ে ভাঙাচোরা সড়ক মেরামত করতে হবে। পরিবেশসম্মত ব্যাগ ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি প্লাস্টিকের বস্তায় দেশি চাল পাওয়া গেলে জব্দ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বলা হয়, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়হীনতা থাকলে ধারণাগত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রেও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে এগোতে হবে। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়ার যে তাগিদ দেওয়া হয়েছে তা খুবই প্রাসঙ্গিক ও অর্থবহ। দুর্নীতি ১৮ কোটি মানুষের সব অর্জনকে বিপন্ন করে তুলতে চাচ্ছে। স্বাধীনতার পর পাঁচ দশকে বাংলাদেশের উন্নতি নিঃসন্দেহে গর্বের। তবে দুর্নীতি রোধ করতে পারলে উন্নয়নের সুফল আরও বেশি আমজনতার হাতে পৌঁছাত। উন্নয়ন আরও বেশি নিখুঁত এবং ফলপ্রসূ হতো। এ ব্যাপারে শুধু দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা নয়, কার্যক্ষেত্রে সবাইকে দৃঢ় মনোভাবের পরিচয় দিতে হবে। যেখানেই দুর্নীতি সেখানেই গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ। দেশের সরকারি কোনো অফিসে উৎকোচ ছাড়া সেবা পাওয়া দুষ্কর। এই নোংরা ঐতিহ্যের অবসান ঘটাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর