রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

মহান স্বাধীনতা দিবস

প্রতিকূলতার বিরুদ্ধেও জিততে হবে

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ। স্বাধীনতা যে কোনো জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন। বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতির জন্যও তা এক মহাসত্যি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে একসাগর রক্তের বিনিময়ে। দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রামের ফসল হিসেবে। ১৯৭০-এর নির্বাচনে জয়ী আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। ’৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদাররা শুরু করে ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম গণহত্যা। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে ২৬ মার্চের শুরুতেই বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন দেশের স্বাধীনতা। ডাক দেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের। ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে অর্জিত হয় মুক্তিযুদ্ধের মহিমান্বিত বিজয়। পদ্মা মেঘনা যমুনা বুড়িগঙ্গা পাড়ের এই ভূখন্ডের ৫ হাজার বছরের ইতিহাসে স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশকে সবচেয়ে উজ্জ্বল ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মহান স্বাধীনতার এই দিনে আমরা স্মরণ করছি জাতির জনক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও পাকিস্তানি হানাদারদের দ্বারা নিগৃহীত ২ থেকে ৩ লাখ মা-বোনকে। মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী মিত্রবাহিনীর শহীদ যোদ্ধাদের স্মরণ করছি কৃতজ্ঞচিত্তে। সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ছিল মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন পূরণে দেশ গত ৫২ বছরে কতটুকু এগিয়েছে জাতি সে মূল্যায়ন করছে আজ স্বাধীনতার বার্ষিকীতে। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধান ঘোচাতেও এ দিন শপথ নেবে দেশপ্রেমী প্রতিটি মানুষ। আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠন; যেখানে দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক চাহিদা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে। জাতি এ বছর এমন একসময় ৫২তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে যখন রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। এ যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক মন্দার শিকার হয়েছে সারা বিশ্ব। বাংলাদেশও সেই মন্দার প্রত্যক্ষ শিকার। ’৭১-এর মতো জাতি লড়ছে অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে। মন্দা বা কোনো প্রতিকূলতার কাছে হার মানবে না ১৭ কোটি মানুষের গর্বিত জাতি। মুক্তিযুদ্ধের মতো এ যুদ্ধেও জাতি জিতবে- আমরা এ প্রত্যাশাই করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর