বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

নকল প্রসাধনী

ওদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখুন

নকল প্রসাধনীতে ছেয়ে গেছে ঈদের বাজার। প্রসাধনীর প্রতি মানুষের দুর্বলতা সহজেই অনুমেয়। বিশেষ করে প্রসাধনীর প্রতি ঝোঁক নেই এমন নারীর সংখ্যা আদতেই কম। এই দুর্বলতাকে সম্বল করে সারা দুনিয়ায় জেঁকে বসেছে প্রসাধনের রমরমা ব্যবসা। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে আমাদের দেশে প্রসাধনের বৈধ ব্যবসার চেয়ে অপব্যবসার দাপটই বেশি। সারা দেশে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নকল প্রসাধন। ‘স্ক্রিন সাইন’ নামের রং ফর্সাকারী একটি ক্রিম মৌলভীবাজারের প্রসাধনীর দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। এটি ভারতীয় পণ্য কিন্তু ভোক্তা অধিদফতরের অভিযানে এর আমদানিকারকের কোনো তথ্য অভিযান পরিচালনাকারী টিম ক্রিমটির গায়ে পায়নি। পণ্যটি অবৈধভাবে দেশে তৈরি করে তা বাজারজাত করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হাইড্রোকুইনন নামক নিষিদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইনে প্রসাধনীতে হাইড্রো কুইনন ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় প্রসাধনীর বাজার থেকে এখন এই ক্ষতিকর ক্রিমটি প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। ডলার সংকটের কারণে নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনীর ওপর এখন শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে বেশি। এ সুযোগে ভেজাল প্রসাধনীর ব্যবসায়ীরা ভেজাল পণ্য বাজারজাত করার সুযোগ নিচ্ছেন। তারা ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য নকল করে বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করছে। বিউটিফিকেশনের পণ্যগুলোই সবচেয়ে বেশি নকল হচ্ছে। নকল ভেজাল প্রসাধনে ক্ষতিকর রাসয়নিক ব্যবহৃত হওয়ায় ত্বকের মারাত্মক ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। মানুষ নিজেকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য প্রসাধন ব্যবহার করে। কিন্তু সেই প্রসাধনে ক্ষতিকর উপাদান থাকলে তাতে ত্বক তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারায়। বিপজ্জনক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শিকার হয় নকল প্রসাধন ব্যবহারকারীরা। জনস্বার্থে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে নকল প্রসাধনী বাজারজাতের পথ বন্ধ করা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর