শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

অসহনীয় দাবদাহ

স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা দেশজুড়ে

আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দেরে তুই। দেশজুড়ে চলছে অভিন্ন আকুতি। দেশের আট বিভাগের মধ্যে সাত বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে দুই দিন ধরে। ব্যতিক্রম শুধু রংপুর বিভাগ। বলা যায়, দাবদাহে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই কষ্ট পাচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি চুয়াডাঙ্গায়। ওই জেলায় টানা ১১ দিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে। প্রচ- দাবদাহ শুধু মানুষের জীবনই অতিষ্ঠ করে তুলছে না, ধান, আম ও অন্যান্য ফসলের জন্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ১০টি জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। মেহেরপুর, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে ৪৫ ডিগ্রিতে উঠতে পারে। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৭ ডিগ্রি। এ ছাড়া মোংলায় ৩৯.৫, যশোরে ৩৯.৪, রাজশাহীতে ৩৯.১ ও খুলনায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মুহূর্তে দেশের সাত বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। চলতি বছর বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ ভালো হয়েছে। গত কয়েক মাসের পরিচর্যায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিছু এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। তুলনামূলক কম পরিপক্ব ধান যেসব স্থানে রয়েছে দাবদাহের কারণে হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক। নাটোরের বাগাতিপাড়ায় দাবদাহে ঝরে পড়ছে আমের গুঁটি। প্রচ- দাবদাহ দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপদ সৃষ্টি করছে। বিপুলসংখ্যক লোক আক্রান্ত হয়েছেন ডায়রিয়াসহ নানা রোগে। রোজার মাসে দাবদাহের কারণে রোজাদারদের বাড়তি কষ্টের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে যারা শ্রমজীবী মানুষ দাবদাহে তাদের কষ্টের কোনো সীমা নেই। দাবদাহ অবশ্যই প্রকৃতির অনুষঙ্গ। এটি মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে দাবদাহের ক্ষতি এড়াতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।  অতিরিক্ত ঘামে যাতে পানিশূন্যতা দেখা না দেয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর