বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ

লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ছে

প্রতি বছরের মতো এ বছরও ঈদে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছে নাড়ির টানে। বাবা-মা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদ কাটাতে। প্রায় ২ কোটি মানুষের মেগা সিটি ঢাকার রাস্তায় যানজটের দেখা নেই এখন সিংহভাগ সড়কে। সরকারি দফতরে ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস ছিল গত মঙ্গলবার। সোমবার ঈদযাত্রা শুরু হলেও সরকারি অফিসে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় বড় পরিসরে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও আকাশপথে বাড়ি ফিরছে মানুষ। আপনজনের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দে নানা ঝক্কিঝামেলা পার করে নিজ গ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন যাত্রীরা। মহাখালী ও গাবতলী এলাকায় গত তিন দিন যাত্রীর চাপ বেশি লক্ষ্য করা গেছে। শেষ কর্মদিবসে মঙ্গলবার বেশ উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা ছিল প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়েও। অনেকে ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শেষ কর্মদিবসেও অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক কাজকর্ম চলেছে, তবে উপস্থিতি খুব কম। অনেকে আগেই ছুটি নিয়েছেন। দুপুরের পরই সচিবালয় ফাঁকা হতে শুরু করে। পবিত্র শবেকদর আর ঈদের ছুটির মাঝে একমাত্র কর্মদিবস ২০ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করায় বুধবারই ছুটি শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার ঈদে ছুটি পাঁচ দিন। আর ৩০ রোজা হলে এ ছুটি গড়াবে ছয় দিনে। দুই দিন ধরে কমলাপুর রেলস্টেশনে বেশির ভাগ ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে। রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ৪০ মিনিট বিলম্বে ছেড়েছে। চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী প্রায় এক ঘণ্টা দেরি করেছে। এ ছাড়া নীলফামারীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জগামী এগারসিন্ধুর প্রভাতী, দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেন ১৫ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত দেরিতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলেছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কিছুট দেরি করে কোনো কোনো ট্রেন কমলাপুর ছেড়েছে। বাস, ট্রেন ও নৌপথে লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ায় রাজধানীর নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দিতে হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। এ ব্যাপারে নাগরিক সচেতনতাও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর