মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

বজ্রপাতে বাড়ছে মৃত্যু

জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল

জলবায়ুর অশুভ পরিবর্তনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্রাতিরিক্ত বজ্রপাতের ঘটনা। ঈদের দিনে সিলেটের তিন জেলায় বজ্রপাতে নয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ঈদের দিন সকালে হাওরে ধান কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয় তাদের। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের ছাতকে তিনজন, তাহিরপুরে একজন, দোয়ারাবাজারে দুজন, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একজন, কমলগঞ্জে একজন এবং সিলেটের বালাগঞ্জে একজন মারা গেছেন বজ্রপাতে। ঈদের দিন আনন্দের বদলে স্বজন হারানোর কান্না ছায়া বিস্তার করেছে নয়টি পরিবারে। চলতি বছর দারুণ খরার শিকার হয়েছে সারা দেশ। তাপমাত্রা উঠেছিল শত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ঈদের প্রাক্কালে বৃষ্টিপাতে সারা দেশে স্বস্তির ছোঁয়া অনুভূত হলেও বজ্রপাতে নয়জনের মৃত্যু উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীতে বজ্রপাতে যে-সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারায় তার এক-চতুর্থাংশই বাংলাদেশের। বজ্রপাতে ঠিক কী পরিমাণ জীবনহানি ঘটেছে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য-উপাত্ত নেই বললেই চলে। আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, গত কয়েক বছরে বজ্রপাতের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সাধারণত মে মাসে বজ্রপাত বেশি ঘটলেও এক দশক ধরে এ দুর্যোগ কোনো বিশেষ মাসে সীমাবদ্ধ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় দেশের বেশির ভাগ গ্রাম এলাকায় বড় বড় গাছ থাকত। তাল, নারকেল, বটসহ নানা ধরনের বড় গাছ বজ্রপাতের আঘাত নিজের শরীরে নিয়ে নিত। ফলে মানুষের আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা কম ছিল। দেশে বড় গাছের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় বজ্রপাতে প্রাণহানি বেড়েছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার। মুঠোফোনের ব্যবহারও বজ্রপাত বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে ব্যাপকভাবে মনে করা হয়। বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। কেন এ দুর্যোগ বাড়ছে তা নির্ণয়ে উদ্যোগ থাকা উচিত। আবহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধেও থাকতে হবে সতর্কতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর