বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

রুচির দুর্ভিক্ষ সর্বত্র

মহিউদ্দিন খান মোহন

রুচির দুর্ভিক্ষ সর্বত্র

হিরো আলমকে নিয়ে একটি মন্তব্য করে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দেশের প্রখ্যাত নাট্যনির্মাতা ও কলাম লেখক মামুনুর রশীদ। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা একটা রুচির দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ে গেছি। সেখান থেকে হিরো আলমের মতো একটা লোকের উত্থান হয়েছে। যে উত্থান কুরুচি, কুশিক্ষা ও অপসংস্কৃতির।’ তার এ মন্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।  নানা জন তাকে নানাভাবে আক্রমণ করে কথা বলছেন। কেউ কেউ তার রুচিবোধ এবং জ্ঞানগরিমা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তার এ মন্তব্যকে অনভিপ্রেত, অনাকাক্সিক্ষত এবং অশোভনীয় আখ্যায়িত করে সামাজিকমাধ্যমে তাকে তুলাধোনা করছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, তিনি হিরো আলমের মানবাধিকার ক্ষুণœ করেছেন। মামুনুর রশীদের এ মন্তব্যে হিরো আলমের মানবাধিকার কতটুকু ক্ষুণœœ হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না তা মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ বিষয়ে তিনি যে কথা বলেছেন, তাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার অবকাশ নেই। কেননা, এ দুর্ভিক্ষের ছাপ আজ আমাদের সমাজজীবনের সর্বত্র দৃশ্যমান। সে ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে হিরো আলমকে উপস্থাপন হয়তো সঠিক হয়নি। তবে এটাকে গর্হিত অন্যায় বলা যাবে না।

আশরাফুল আলম নামের যুবক যিনি নিজেকে নিজেই ‘হিরো’ বিশেষণে আখ্যায়িত করেন, তার রুচিবোধ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে তাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো কতটা সঠিক তা ভেবে দেখার দরকার আছে। তবে মামুনুর রশীদের মতো একজন বড় মাপের মানুষের হিরো আলমকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন অনেকের কাছেই সমীচীন মনে হয়নি। সত্যি বলতে আমার নিজেরও মনে হয়েছে কাজটি তিনি সঠিক করেননি। কেননা আমাদের রুচি বিকৃতির অন্য অনেক উদাহরণ তিনি দিতে পারতেন। মামুনুর রশীদের একজন ভক্ত হিসেবে আমার মন খারাপ এ কারণে যে, একটি সামান্য ভুলের কারণে তাকে আজ বিরূপ সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে। বাংলাদেশের নাট্যজগৎ তথা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে মামুনুর রশীদ একটি নক্ষত্রের নাম। অন্যদিকে হিরো আলম কে? নানা রকম হাস্যোদ্দীপক কর্মকান্ডের দ্বারা সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক যুবক। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার কি কোনো অবস্থান আছে? তাকে কি কেউ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বলে স্বীকৃতি দেয়?

হিরো আলম নামের এ ছেলেটি বেশ কয়েক বছর ধরে ইউটিউবে বেসুরো গলায় ও ভুল শব্দ সহযোগে গান পরিবেশনসহ নানা কর্মকান্ডের দ্বারা পরিচিতি পেয়েছে। এক শ্রেণির মানুষ তার ভিডিও দেখে বিনোদন অনুভব করে। বলা নিষ্প্রয়োজন, ওইসব ভিডিও কনটেন্ট শিল্প-সংস্কৃতির মানদন্ডে ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। এহেন হিরো আলম গণমাধ্যমের আলোচনায় আসেন গত ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের বগুড়ার দুটি শূন্য আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এর মধ্যে একটিতে তিনি সামান্য ব্যবধানে হেরে যান। নির্বাচনী ফলাফল যা-ই হোক না কেন, এর ফলে হিরো আলম দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছেন এটা অস্বীকার করা যাবে না। জনগণের একটি অংশের সহানুভূতিও অর্জন করতে পেরেছেন। এত দিন যে যুবক সামাজিকমাধ্যমে হাস্যরসের অবতারণা করে পরিচিত ছিলেন তিনি হয়ে গেলেন জাতীয় চরিত্র। তাকে নিয়ে জাতীয় দৈনিকে রিপোর্ট হয়েছে, উপসম্পাদকীয় লেখা হয়েছে, টিভি চ্যানেলে হয়েছে টকশো। সেই সুবাদে তিনি দুবাইয়ে একজন খুনের মামলার আসামির দোকান উদ্বোধনের অনুষ্ঠানেও অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হন।

নাট্যকার মামুনুর রশীদ অবশ্য তার ওই উক্তির ব্যাখ্যা দিয়েছেন গত ৩০ মার্চ একটি দৈনিকের কলামে। সেখানে তিনি প্রায় পঞ্চাশ-ষাট বছর আগে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ‘দেশে আজ রুচির দুর্ভিক্ষ চলছে। তাই দুর্ভিক্ষ থাকলেও দুর্ভিক্ষের ছবি আঁকতে পারছি না’ উক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা কি একটি অত্যন্ত সুস্থ রাজনীতির মধ্যে দিনযাপন করছি? একটি যুগোপযোগী ও মননশীল শিক্ষাব্যবস্থায় রয়েছি? প্রতিদিন এসব বিষয়ে যেসব সংবাদ গণমাধ্যমে ছাপা হয়, তা কি মনোযোগ দিয়ে পড়ি? এত ধরনের লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, ধর্ষণের ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে, সেগুলোর বিশ্লেষণ করলে তার মধ্যে মিডিয়ার যে দায়িত্বহীনতা তা কি প্রকাশ পায় না? আর এ দায়িত্বহীনতা কারা করছে? একা হিরো আলম করেছেন কি? এখানে তিনি একটি উদাহরণ মাত্র। আর এ উদাহরণ যথার্থই।’ লক্ষণীয় হলো, মামুনুর রশীদ ‘কৈফিয়ৎ’ দিতে গিয়ে সম্ভবত বেখেয়ালে আরেকটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেছেন। তিনি তার দৃষ্টিতে রুচির দুর্ভিক্ষের জন্য মিডিয়াকে অংশত দায়ী করেছেন। অথচ কে না জানে মিডিয়ার সজাগ দৃষ্টির কারণে জানা-অজানা বহু দুর্নীতি-অপরাধের খবর জনসমক্ষে আসে। এমনকি তিনি তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সেই মিডিয়ারই শরণাপন্ন হয়েছেন। রুচির দুর্ভিক্ষ হোক কিংবা দুর্নীতির রাহুগ্রাস, এসবের প্রতিরোধে তো মিডিয়াই সবচেয়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছে। তবে হ্যাঁ ব্যতিক্রম হয়তো আছে। মিডিয়ার মধ্যেও কুরুচির পৃষ্ঠপোষক যে নেই তাই-বা হলফ করে বলি কী করে। এটা ঠিক সমাজের সর্বত্র আজ কুরুচির ছড়াছড়ি। রুচিকর জিনিসের চেয়ে কুরুচিপূর্ণ বিষয় মানুষকে যেন বেশি আকর্ষণ করে। তবে সে কুরুচির উদাহরণ হিসেবে হিরো আলমকে উপস্থাপন না করলেও চলত।

আমাদের এ দেশে আগে-পরে বেশ কয়েকটি দুর্ভিক্ষ হয়েছে। তাতে লাখ লাখ লোকের প্রাণহানিও ঘটেছে। সেগুলো ছিল দ্রব্যমূল্য, খাদ্যের তীব্র সংকট ও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার অভাবজনিত কারণে সৃষ্ট। নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে অবশ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেলেই দুর্ভিক্ষের আবির্ভাব ঘটে। তার কথার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। ১৯৭৪ সালের দ্রব্যমূল্যের তুলনায় এখন আমাদের দেশের দ্রব্যমূল্য বহুগুণ বেশি। কিন্তু দুর্র্ভিক্ষ হচ্ছে না, না খেয়ে কেউ মারাও যাচ্ছে না। এর কারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চুয়াত্তর সালে ১০ টাকা দিয়ে এক সের চাল কেনা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি হচ্ছে দেদার। তবে রুচির দুর্ভিক্ষ কথাটির তাৎপর্য ব্যাপক। এ দুর্ভিক্ষ জাতি হিসেবে আমাদের জন্য আত্মগ্লানির ব্যাপার অবশ্যই।

গভীর দৃষ্টিতে তাকালে সর্বত্র রুচির দুর্ভিক্ষের উপস্থিতি প্রকটভাবেই দৃশ্যমান হবে। রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক- সব ক্ষেত্রেই রুচির সংকট চলছে। যেহেতু আমরা রাজনীতিমনস্ক জাতি, তাই এ সম্পর্কেই প্রথমে আলোকপাত করা যাক। আমাদের রাজনীতিতে আজ কুরুচির প্রাদুর্ভাব প্রকটভাবে লক্ষণীয়। রাজনীতির মাঠে এমন সব খেলোয়াড় দোর্দ-  প্রতাপে বিচরণ করছে, মানুষের রুচিবোধ অক্ষুণœ থাকলে তারা মাঠের কাছেও ঘেঁষতে পারতেন না। ময়দানের বেশিরভাগ জায়গা দখল করে আছেন সমাজের চিহ্নিত দুষ্কৃৃতকারী-দুর্বৃত্তরা। চোরাকারবারি, মুনাফাখোর, কালোবাজারি, মাদককারবারি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারী, অপরের জমি দখলকারী, টেন্ডারবাজ, খুন, অপহরণ, ধর্ষণের মতো অপরাধে অপরাধীরা আজ রাজনীতির মাঠের তারকা খেলোয়াড়। এদের দোর্দ- প্রতাপে নিষ্ঠাবান, সৎ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিকরা মাঠের এক কোণে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো- ওইসব লোককে আবার জনগণের একটি অংশ ‘শ্রদ্ধা’ সহকারে বরণ করে নেয়! কর্মগুণে যে লোকটির থাকার কথা জেলখানার গরাদের অন্তরালে, তিনি পুষ্পমাল্যে ভূষিত হয়ে সহাস্য বদনে আলোকিত করেন সভামঞ্চ। রুচির ক্ষেত্রে আমাদের নিদারুণ দৈন্যের কারণেই এসব ‘বর্জ্য’ শোভা পায় পুষ্পদানিতে।

নির্বাচনের কথাই ধরুন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে যে লোকটি অর্থবিত্তে ‘জাম্বো’ সাইজের, ভোটারদের পছন্দ তিনি। না থাক তার শিক্ষাদীক্ষা, না থাক নৈতিকতা। সেসব বাছ-বিচারের অবসর কারও নেই। প্রার্থী হিসেবে তিনি যতই অরুচিকর হোন না কেন, তার পকেটে আছে ‘টাকা’ নামের সুস্বাদু চাটনি। ওই চাটনি সঙ্গে থাকলে যে কোনো বিস্বাদ খাদ্যবস্তুও মুহূর্তে সুস্বাদু হয়ে উঠতে পারে। পক্ষান্তরে অর্থবিত্ত নেই, কিন্তু শিক্ষা আছে, আছে নৈতিকতা, সৎ এবং নিষ্ঠাবান ব্যক্তিটি হয়ে পড়েন অপাঙক্তেয়। আমরা মাঝেমধ্যে হা-হুতাশ করি আমাদের রাজনীতি থেকে আদর্শ ও নৈতিকতার উধাও হয়ে যাওয়া নিয়ে। কিন্তু এ জন্য আমরা যে কতটা দায়ী একবারও কি তা হিসাব কষে দেখেছি? আমাদের রুচি বিকৃতিই এর প্রধান কারণ। আমরা ভালোকে বাদ দিয়ে মন্দকে গলাধকরণ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। ফলে মন্দ আমাদের ঘাড় মটকানোর প্রয়াস পাচ্ছে।

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আমাদের রুচি বিকৃতির কথা পুনরুল্লেখের প্রয়োজন পড়ে না বোধ হয়। সিনেমা শিল্পের কথাই ধরা যাক। অশ্লীল নাচ-গান আর বিকৃত গল্পের সমাহারে আজ সংস্কৃতির এ মাধ্যমটি মৃতপ্রায়। এক সময় আমাদের দেশের বাংলা সিনেমার সুনাম ছিল। সামাজিক এবং বিনোদনধর্মী সেসব চলচ্চিত্র পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে দেখা যেত। কিন্তু গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে এসে চরম রুচি বিকৃতির কবলে পড়ে এ গণমাধ্যমটি। বস্তাপচা কাহিনি, অশ্লীল সংলাপ আর নৃত্যের নামে মেয়েদের অশালীন দেহভঙ্গি রুচিবান দর্শকদের সিনেমাবিমুখ করে তোলে। অবশ্য সিনেমায় রুচি বিকৃতির সংক্রমণটি শুরু হয়েছিল তারও আগে। ১৯৮৫ সালে মুক্তি পেল শেখ নিয়ামত আলী পরিচালিত ছবি ‘দহন’। শুক্রবারে মুক্তি পাওয়া ছবিটি রবিবার নাইট শোতে দেখতে গেলাম ওয়াইজঘাটের ‘স্টার’ সিনেমা হলে। ড্রেস সার্কেল (ডিসি) আসনে বসে গুনে দেখলাম মোট সতেরজন দর্শক আছি আমরা। ফ্রন্ট স্টল জনশূন্য। ছবি দেখে বের হওয়ার পর হলের পরিচিত লাইটম্যান বলল, ভাই আজ না এলে এ ছবি আর দেখতে পারতেন না। কালই ছবিটি নামিয়ে দেওয়া হবে। অথচ সে বছর জাতীয় ও বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারে ১০টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছিল দহন। কিন্তু পায়নি দর্শকপ্রিয়তা। উল্টোদিকে মুন সিনেমায় চলছিল মারদাঙ্গা একটি ছবি। সেখানে ছিল প্রচ-  ভিড়। আমাদের চলচ্চিত্রের আজ যে দৈন্যদশা, তার জন্য শুধু নির্মাতারাই কি দায়ী? না, আমরা যারা দর্শক তাদের দায়ও কম নয়। আমরা তা অস্বীকার করতে পারি না।

নাট্যকার মামুনুর রশীদ রুচির দুর্ভিক্ষের প্রসঙ্গটির অবতারণা করে ভুল করেননি। বরং আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের একটি কঠিন সত্যের প্রতি দৃষ্টি ফিরিয়েছেন। রুচি বিকৃতি বলুন আর দুর্ভিক্ষই বলুন, তা যে আমাদের রাজনীতি-সংস্কৃতি, সামাজিকতা-মননশীলতাকে কুরে কুরে খাচ্ছে, তা তো অস্বীকার করা যাবে না। সংক্রামক ব্যাধির মতো তার বিস্তার চলছে। যদি এর বিস্তার রোধ করা না যায়, তাহলে ভয়াবহ সংকটে নিমজ্জিত হব আমরা। সমাজ থেকে নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, সততা, দেশপ্রেম, কল্যাণচিন্তা সবই তিরোহিত হবে। সমাজ পরিণত হবে সমাজবিরোধীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে। অর্থনৈতিক দুর্ভিক্ষ মোকাবিলার দায়িত্ব সরকারের ওপর চাপানো যায়; কিন্তু রুচির এ দুর্ভিক্ষ মোকাবিলার দায়িত্ব তো সবার।

                লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর