শিরোনাম
বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

অস্ত্র প্রতিযোগিতা

বন্ধ হোক এ অর্বাচীনতা

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর দুনিয়াজুড়ে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রক্সি যুদ্ধে কারা জিতবে তা অনিশ্চিত হলেও সেটি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সম্পদই শুধু স্ফীত করছে। অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ইউক্রেনের মতো দেশ তাদের মোট জিডিপির এক তৃতীয়াংশ ব্যয় করছে। মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে শত শত কোটি টাকার অস্ত্র বিনামূল্যেও পেয়েছে তারা। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে অস্ত্র প্রতিযোগিতার যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা বিশ্ব শান্তির জন্য প্রত্যক্ষ হুমকি। প্রতিবেদন মতে, অস্ত্র খাতে সারা দুনিয়া যা খরচ করছে তার অর্ধেকের বেশি হিস্যা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। এর ফলে রাশিয়ার প্রতিবেশী অথবা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল এমন দেশগুলোতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ফিনল্যান্ড তার সামরিক ব্যয় বাড়িয়ে দেয় শতকরা ৩৬ ভাগ। লিথুয়ানিয়া বাড়ায় শতকরা ২৭ ভাগ। রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড ইতোমধ্যে ন্যাটোর ৩১তম সদস্য হয়েছে। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে সামরিক জোট থেকে দূরে থাকা সুইডেন ন্যাটো জোটে যুক্ত হতে চাইছে। ২০২২ সালে ইউরোপে সামরিক খাতে ৪৮ হাজার কোটি ডলার খরচ হয়েছে। গত দশকের তুলনায় মহাদেশটিতে খরচের পরিমাণ এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। গত বছর বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৯ শতাংশই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা চীন বিশ্বের মোট সামরিক খরচের ১৩ শতাংশ ব্যয় করছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত আর সৌদি আরবের সামরিক খাতে ব্যয় সমান। রাশিয়ার ব্যয়ও আগের চেয়ে বেড়েছে বোধগম্য কারণেই। বলা যায়, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বিশ্বকে ক্রমান্বয়ে অনিরাপদ করে তুলছে। রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দা। ক্ষুধাকাতর মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার বদলে অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যারা মদদ জোগাচ্ছে তারা যে মানবতার শত্রু তাতে সংশয়ের অবকাশ নেই। এই অর্বাচীন প্রতিযোগিতা থামাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর