বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর

আস্থার সম্পর্ক আরও নিবিড় করবে

জাপানে প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের সফর গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও লাল গালিচা সংবর্ধনার মাধ্যমে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে। একই দিন জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক এবং তার দেওয়া নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠককালে স্বাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে আট চুক্তি ও সমঝোতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানি প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণক্রমে সে দেশ সফর করছেন। মঙ্গলবার বিকালে টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান। বিমানবন্দরে জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়ামাদা কেনজি ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। টোকিওর বিমানবন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রাসহ তাকে আকাসাকা প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী টোকিওর এই প্রাসাদেই অবস্থান করছেন। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের মৈত্রীর সম্পর্কের সূচনা বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের মাধ্যমে। তারপর থেকে জাপান এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়। বঙ্গবন্ধু সেতুর মতো বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে জাপানি সহযোগিতায়। মেট্রোরেল পাতাল রেলের প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছে বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তি সামর্থ্যরে অধিকারী দেশটি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও জাপানের সমর্থন ছিল বাঙালিদের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী আজ মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য চার জাপানিকে ‘ফ্রেন্ড অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করবেন। আমরা আশা করব প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর দুই দেশের আস্থার সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। কীভাবে  ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উড়াল দিতে হয় সেই কৃতিত্বের অধিকারী জাপান। এ ক্ষেত্রে তাদের সাফল্য আমাদের জন্যও অনুকরণীয়।

সর্বশেষ খবর