শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

সিটি নির্বাচন : আওয়ামী লীগ-বিএনপির কৌশলের লড়াই

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
সিটি নির্বাচন : আওয়ামী লীগ-বিএনপির কৌশলের লড়াই

১৫ জুন ২০১৩। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট- এই চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনে সব সিটি করপোরেশনেই পরাজিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। এর কদিন পরই (৬ জুলাই) অনুষ্ঠিত হলো গাজীপুর সিটি নির্বাচন। সেখানেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হেরে গেলেন। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছিলেন ৮৩ হাজারের কিছু বেশি ভোট।  আর বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পান প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ভোট। খুলনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছিলেন ১ লাখ ২০ হাজারের কিছু বেশি ভোট। অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি তার চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার বেশি ভোট পান। বরিশালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত হোসেন হিরণ, তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আহসান হাবিব কামালের চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন। সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন কামরান, বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে হেরে যান। আর ৬ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা ১ লাখেরও বেশি ভোটে পরাজিত হন বিএনপির এম এ মান্নানের কাছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই পাঁচ সিটির নির্বাচন আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করেছিল। বিএনপি ক্ষমতার সুবাস পাচ্ছিল। এ সময় যদি এই বিজয়ের ধারাবাহিকতায় বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিত, তাহলে আওয়ামী লীগ যে বড় ধরনের চাপে পড়ত এ নিয়ে কোনো সংশয়ই নেই। কিন্তু পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের ফসল ঘরে তুলতে পারেনি বিএনপি। পাঁচ সিটিতে জয়ের পর বিএনপি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় অবস্থান গ্রহণ করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেয়। শুরু হয় সহিংস আন্দোলন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে একের পর এক সমঝোতা প্রস্তাব দেন। প্রথমে তিনি নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। ওই সরকারে বিএনপিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সব মন্ত্রণালয় দিতে রাজি হন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসনকে গণভবনে চায়ের আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী হরতাল, জ্বালাও- পোড়াও ছেড়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান। বেগম জিয়াকে টেলিফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বেগম জিয়া টেলিফোনে ছিলেন আক্রমণাত্মক। তার কিছু বক্তব্য ছিল রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। কুরুচিপূর্ণ। একজন রাজনৈতিক নেতা এমন অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে পারেন! এটি সাধারণ মানুষকে বেগম জিয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা দেয়। এ সময় সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি তাদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি। অবশেষে বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়াই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পুরোপুরি নির্বাচন বর্জন, জাতীয় পার্টির আংশিক বর্জনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই নির্বাচন ছিল উত্তেজনাহীন। ১৫৩টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি আসনেও ভোট হয় নামমাত্র। অনেকেই এটি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের মতো মনে করেছিলেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের নির্বাচন। আওয়ামী লীগের প্রায় সবাই ধরেই নিয়েছিল খুব শিগগিরই দেশে আরেকটি নির্বাচন হবে। কিন্তু ২০১৪-এর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত জাতীয় সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করে। জনগণ বিএনপির জেদকে, সহিংস রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে। বিনা ভোটে অর্ধেক এমপি হওয়ার পরও সাধারণ মানুষ ওই সরকারকে সমর্থন দেয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেগম জিয়া সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন। ওই সময় পেট্রলবোমা, অগ্নিসংযোগ, বাসে গানপাউডার দিয়ে মানুষ হত্যার এক নারকীয় তান্ডব শুরু হয়। মানুষ এসব সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ করে। অকার্যকর হয়ে যায় বিএনপির আন্দোলন। জনগণ বিএনপির ওপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত বিএনপির ওই আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। বিএনপির রাজনৈতিক ভুলের তালিকা করা হলে ২০১৪-এর নির্বাচন বর্জন প্রথম দিকে থাকবে। ওই নির্বাচন যদি বিএনপি বর্জন না করত তাহলে হয়তো তাদের পরিণতি আজকের মতো হতো না। ২০১৩ সালের জুন-জুলাইয়ে পাঁচ সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির পক্ষে একটি জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ভুল কৌশলের কারণে সেই জোয়ারকে কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। উপরন্তু জ্বালাও-পোড়াও এবং অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। ভুল রাজনীতি এবং ভুল কৌশল একটি রাজনৈতিক দলকে যে কতটা বিপর্যস্ত করতে পারে ২০১৩ এবং ২০১৪-এর ঘটনা প্রবাহ তার বড় প্রমাণ।

২০১৩ সাল থেকে ২০২৩। ঠিক ১০ বছর পর প্রায় একই রকম রাজনৈতিক পরিস্থিতির সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন।

১২ জুন বরিশাল এবং খুলনা সিটিতে হবে ভোটযুদ্ধ। আর ২১ জুন ভোট হবে রাজশাহী এবং সিলেটে। ২০১৩ সালে যেমন বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে ছিল। ১০ বছর পর একই দাবিতে বিএনপি রাজপথে। তখন যেমন বিএনপি বলেছিল নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া তারা জাতীয় নির্বাচন করবে না। এখনো সেই দাবিই বিএনপি নেতাদের কণ্ঠে। তবে ২০১৩ সালে বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছিল। এখন আরও অনড় অবস্থান গ্রহণ করেছে দলটি। ঘোষণা করেছে, এই সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এখন দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলে একটি দলের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের ভালো উপায় এসব নির্বাচন। কিন্তু কয়েক বছর ধরেই বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে বয়কট করছে। যদিও ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা এমনকি বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিএনপির নানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র পরিচয়ে অংশ নিচ্ছেন। এটি দলের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। শেষের দিকে এসে এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিএনপি কঠোর হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার। নির্বাচনের পর দীর্ঘদিনের ত্যাগী এই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই পরিণতি বরণ করেন কুমিল্লায় মনিরুল ইসলাম সাক্কু। কিন্তু ওইসব নির্বাচনের চেয়ে সামনের পাঁচ সিটি নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এই নির্বাচন এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন জাতীয় নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। বিএনপি বলছে, এই সরকারের অধীনে কোনো অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। কিন্তু এটি তাত্ত্বিক কথা। বাস্তবতা হলো ২০১৮-এর নির্বাচনের পর দেশে অনেক স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে হতাশা আছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক উৎসবের ঘাটতি দৃশ্যমান। নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক হয়নি এমন অপ্রাপ্তি আছে। বিরোধী প্রার্থীদের ছলে-বলে বসিয়ে দিয়ে বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার অগ্রহণযোগ্য প্রতিযোগিতা আছে। কিন্তু নির্বাচনে কারচুপির বড় অভিযোগ নেই। কয়েকটি নির্বাচনকে মডেল নির্বাচন হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। যেমন নারায়ণগঞ্জ এবং রংপুর সিটি নির্বাচন। এর মধ্যে রংপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামানত হারান। নির্বাচন কমিশন পাঁচ সিটি নির্বাচনের আগে বিএনপিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিএনপিকে অন্তত একটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাজের পরীক্ষা নিতে আহ্বান জানান। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দেখা যাচ্ছে বিএনপির অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান। কর্মী এবং ভোটারদের জন্যই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে আগ্রহী। যেমন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সবুজ সংকেত পেতে লন্ডন পর্যন্ত গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দল অনুমতি না দিলেও তিনি হয়তো নির্বাচনে দাঁড়াবেন। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে দুদিক থেকেই বিএনপি লাভবান হতে পারত। যদি নির্বাচনে দলগতভাবে অংশগ্রহণ করত এবং দুই-তিনটিতে বিজয়ী হতো, তাহলে বিএনপি বলতে পারত এই সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে। কর্মীরা উৎসাহিত হতো, অনুপ্রাণিত হতো। এই শহরগুলোকে ঘিরে বিএনপি সংগঠিত হতে পারত। দ্বিতীয়ত, এই নির্বাচনে সব সিটিতে মেয়র পদে হারলেও বিএনপির লাভ হতো। তারা বলতে পারত, আগেই বলেছিলাম এই সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এটি প্রমাণিত হলো। নির্বাচনের সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতিও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে জোরালো করত। কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচন থেকে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছে। অবশ্য নির্বাচন থেকে বিএনপি সম্পূর্ণ দূরে সরে আছে এরকম বলাটা ভুল হবে। বিএনপি এই নির্বাচনকে রাজনৈতিক কৌশলের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। বিএনপি মনে করছে, সিটি নির্বাচন বর্জন করলে ভোটের আকর্ষণ নষ্ট হবে। ভোট উৎসব হবে বিবর্ণ। ফলে ‘অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের দাবি আরও জোরালো হবে। বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে যে ভোটের জৌলুস থাকে না, সেটি প্রমাণ করতেই বিএনপি সিটি নির্বাচন বর্জন করছে। প্রতিযোগিতাহীন ভোট মানেই সেখানে জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলন হয় না। তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক মহলে বিএনপি এ কথাটি বারবার বলছে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের’ ওপর জোর দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানাচ্ছে না বটে। কিন্তু তারা সুস্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কথাবার্তায় একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। সেটি হলো, বিএনপি অংশগ্রহণ না করলে, সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এ জন্যই বিএনপি নেতাদের মধ্যে এক ধরনের আত্মতুষ্টি লক্ষ্য করা যায়। বিএনপি নেতারা বলছেন, ২০১৪-এর মতো নির্বাচন এবার হবে না। এবার যদি তারা ঘরেও চুপচাপ বসে থাকে, তাহলেও আওয়ামী লীগের জন্য একতরফা নির্বাচন দুরূহ হবে, এমন ধারণা বিএনপির। তাই সিটি নির্বাচনকে পানসে করে বিএনপি নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ করতে চায়। এই নির্বাচনের পর তাদের নির্বাচনে আনার চাপ বাড়বে এমন বিশ্বাস বিএনপির। তবে পাঁচ সিটিতে বিএনপির আরেকটি কৌশলও লক্ষণীয়। সেটি হলো, আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পর্যুদস্ত করা। এখন পর্যন্ত প্রতিটি সিটি করপোরেশনেই বিএনপির নানা ধরনের প্রার্থীর তৎপরতা লক্ষণীয়। সিলেটে বর্তমান মেয়র আরিফ প্রার্থী হতে পারেন, এমন গুঞ্জন রয়েছে। বরিশালে সাবেক মেয়র এবং বিএনপি নেতা প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের পুত্র কামরুল হাসান রূপন প্রার্থী হবেন বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। গাজীপুরে বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে শাহ নূর ইসলাম রনি প্রার্থী হয়েছেন। খুলনা এবং রাজশাহীতেও বিএনপির ‘ছদ্মবেশী’ প্রার্থী থাকবেন, এটা নিশ্চিত। এরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও এদের পেছনে রয়েছে স্থানীয় বিএনপির একটি বড় অংশ। বিএনপির নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী হলেও নির্বাচনে একটি উত্তেজনা সৃষ্টি হবে। কে আওয়ামী লীগ আর কে বিএনপি এটা ভোটারদের কাছে কোনো গোপন বিষয় নয়। তাই বিএনপি স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিলেও নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। যেমনটি হয়েছিল নারায়ণগঞ্জ এবং কুমিল্লায়। তাই বিএনপির দ্বিমুখী কৌশল স্ববিরোধী। একদিকে দলীয় পরিচয়ে নির্বাচন না করে তারা নির্বাচনকে গুরুত্বহীন করতে চাইছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেছে এটা প্রমাণ করতে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে তারা নির্বাচনকে আকর্ষণীয় এবং উৎসবমুখর করছে। কাজেই বিএনপির এই কৌশল শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য বুমেরাং হয় কি না, সেটি দেখার বিষয়। কারণ বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থিতার কারণে ইতোমধ্যে সিটি নির্বাচনে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপির দলগত অংশগ্রহণ ছাড়া যদি পাঁচ সিটির নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হয়, তাহলে তা বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে দুর্বল এবং অর্থহীন করবে। এখানেই সিটি নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কৌশল পরিকল্পনা। জয়-পরাজয়ের চেয়ে এই নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য প্রমাণ করার নির্বাচন। দলীয় সরকারের অধীনে যে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, তা প্রমাণের শেষ সুুযোগ এই পাঁচটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এই নির্বাচনগুলো যদি সুষ্ঠু, অবাধ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়, তাহলে বিএনপিকে বাদ দিয়েই আরেকটি জাতীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে পারবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বিভিন্ন বক্তৃতায় বারবার বলছেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। কে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল, কে করল না, সেটি দেখার বিষয় নয়। কাউকে হাতেপায়ে ধরে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব না সরকারের, না নির্বাচন কমিশনের।’ সিটি নির্বাচন সফল হলে, উৎসবমুখর হলে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শক্ত ভিত্তি পাবে। ক্ষমতাসীন দল বিএনপির ওপর পাল্টা চাপ দিতে পারবে।

আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে এই নির্বাচনকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবে। বলতে পারবে, বিএনপি ছাড়া ভালো নির্বাচন হয় না, এরকম ধারণা সঠিক নয়। এটি সংবিধান অনুসরণ করে জাতীয় নির্বাচন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। বলাই বাহুল্য, ২০১৪ সালের মতো সেই নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী দলসমূহ, ১৪ দলের শরিকরা যদি আলাদা আলাদাভাবে নির্বাচন করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন একেবারে ঠান্ডা থাকবে না। কাজেই আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে এই নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি সব সিটিতেও পরাজিত হয় তাহলেও তাদের ক্ষতি নেই। এই বোধ আওয়ামী লীগের অতি উৎসাহীদের মধ্যে সঞ্চালিত হতে হবে। নির্বাচনে যে কোনো উপায়ে জয়ী হওয়ার এক অযৌক্তিক মানসিকতা আওয়ামী লীগের কারও কারও মধ্যে ইদানীং প্রবলভাবে লক্ষ্য করা যায়। এটা আওয়ামী লীগের সর্বনাশ করছে। ভবিষ্যতে আরও করবে। ২০১৩-তে সব সিটিতে হেরেই আওয়ামী লীগ জিতেছিল। এবারও আওয়ামী লীগকে সেই পরীক্ষাই দিতে হবে। একদিকে ভালো ভোট, অন্যদিকে জয়। এটা আওয়ামী লীগের জন্য দ্বিমুখী সংকট। জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে গিয়ে যদি নির্বাচনে অতি উৎসাহী আওয়ামী লীগাররা কারচুপি করে, প্রশাসনকে ব্যবহার করে কিংবা অনিয়ম ও আধিপত্য বিস্তার করে, সেটি ক্ষমতাসীনদের জন্য হবে আত্মঘাতী। এর ফলে বিরোধী পক্ষের দাবিকে জোরালো করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে জনমত এবং আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হবে। তাই পাঁচ সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অনেকটা ‘জলে কুমির, ডাঙায় বাঘের মতোই।’ আওয়ামী লীগ কী করবে?

প্রশ্ন হলো, গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের এত উন্নয়ন, এত অর্জন, তারপরও স্থানীয় নির্বাচনে জয় নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের এত সংশয় কেন? এত অনিশ্চয়তা কেন? কেন কারচুপি করে জিততে চায়? নির্বাচনে জয়ী হতে কেন পুলিশ লাগে? প্রশাসন প্রয়োজন হয়? এর কারণ আওয়ামী লীগ নিজেই। পাঁচ সিটিতে প্রার্থী ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের গৃহদাহের খবর পাওয়া যাচ্ছে। গাজীপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা আজমত উল্লা। কিন্তু সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর তার পক্ষে নেই। তিনি নির্বাচন করবেন, এমন কথা গাজীপুরে কান পাতলেই শোনা যায়। শেষ পর্যন্ত যদি আজমত-জাহাঙ্গীর এক না হতে পারেন, তাহলে ‘দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ’ খ্যাত গাজীপুরে আওয়ামী লীগের জন্য অপ্রত্যাশিত ফলাফল আসতে পারে। সিলেটে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন লন্ডন প্রবাসী আনোয়ার। সিলেট মহানগরের একটি বড় অংশ তার বিরুদ্ধে গোপনে কাজ করছেন, এমন খবর কে না জানে। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই গত সিটি নির্বাচনে বদরউদ্দিন কামরানের মতো জনপ্রিয় প্রার্থী হেরেছিলেন। এখন সেই কোন্দল কমেনি, বরং বেড়েছে। বরিশালে মনোনয়নে আওয়ামী লীগ সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি শেখ হাসিনার একটি বার্তা। যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে দুর্নাম কুড়াবেন। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন। অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা করবেন। তাদের আগামীতে সাদিক আবদুল্লাহর মতোই পরিণতি বরণ করতে হবে- এ বার্তাটি শেখ হাসিনা দিয়েছেন। কিন্তু বরিশালে কি আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ? সাদিক আবদুল্লাহপন্থিরা কি আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন? খোকন সেরনিয়াবাতকে হারাতে কি বিএনপির চেয়েও ভয়ংকর হবে না আওয়ামী লীগের একাংশ? কোন্দলে জর্জরিত, বিভক্ত আওয়ামী লীগই এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শত্রু।  এই কোন্দল সহজ জয়কেও কঠিন করে তোলে। জয়ী হতে নির্বাচন ব্যবস্থাকেই কলুষিত ও কলঙ্কিত করে। তাই সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। নিজেদের অন্তর্কলহ পাশ কাটিয়ে ক্ষমতাসীনরা কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করে তা দেখবেন দেশবাসী এবং বিশ্ব।

আগামী প্রায় দুই মাস সিটি নির্বাচন, তাই শুধু ভোটের লড়াই হবে না, হবে রাজনৈতিক কৌশলের লড়াই। দেখার বিষয় এই কৌশলের লড়াইয়ে কে জেতে, আওয়ামী লীগ না বিএনপি?

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
সর্বশেষ খবর
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতায় ভারত ‘অপ্রস্তুত, খানিকটা বিস্মিত’: ব্রিটিশ বিশ্লেষক

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

আরাউহোকে বিক্রির ভাবনা বার্সার, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন
আরাউহোকে বিক্রির ভাবনা বার্সার, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কৃষকের ৫ গরু চুরি
কৃষকের ৫ গরু চুরি

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা
পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা

১৩ মিনিট আগে | বাণিজ্য

নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল
নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

১৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য

১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু

২২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

২৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু
গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি
তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি

৩১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে
রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে

৩৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল
ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল

৪০ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

৪২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক
বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী
নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী

৫৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম
সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!
সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ
জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন
ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম
নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত
বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের
সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত
পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল
বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও
যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ
চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ

শোবিজ

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি
সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি

শোবিজ

বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য
বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

রকমারি