শনিবার, ৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেসামাল মূল্যবৃদ্ধি

নিত্যপণ্যে দিশাহারা ক্রেতারা

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়াকে কিছুতেই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। বেপরোয়াভাবে ছুটছে তো ছুটছেই। আর তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। আয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যয় করতে গিয়ে অনেকেই চোখে শর্ষে ফুল দেখছেন। মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা জানান দিচ্ছে এক মাসের ব্যবধানে ৪৩ ভাগ পণ্যের দাম বাড়ার ঘটনা। গত বছরের ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৭৪ ভাগ পণ্যের দাম। মে’র শুরুতে দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনির দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন বড় ব্যবসায়ীরা। বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে প্যাকেটজাত চিনি। ১১২ টাকা কেজির মজুদ প্যাকেট চিনি খুলে ১৩৫-১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন অনেক দোকানি। মাছ, মাংস, ডিম, মসলা, ফল, গুঁড়া দুধ, ভোজ্য তেল, বেকারি পণ্য, ডায়াপার, নুডলস, সাবানসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত, মিরপুর, বাড্ডার বিভিন্ন স্থানে ৭৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। দুই মাস আগে বাজারভেদে প্রতি কেজি হরিণা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। বৃহস্পতিবার খিলক্ষেত বাজারে সকালে ৭৫০ ও দুপুরে ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পিঁয়াজ মাসের ব্যবধানে ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৮০-১২০ টাকা মূল্যের দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের বেপরোয়া মূল্যবৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের একটি ক্ষুদ্র অংশ লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। মূল্যবৃদ্ধির কশাঘাতে পণ্য বিক্রির পরিমাণ কমে যাওয়ায় তাদের লাভ কমছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারি কর্মকর্তাদের সিংহভাগের খুব একটা অসুবিধা না হলেও বেসরকারি চাকরিজীবী এবং সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেকেই সংসার চালাতে সঞ্চিত অর্থে হাত দিতে বাধ্য হচ্ছে। জনদুর্ভোগ কমাতে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সামাল দিতে সরকার সক্রিয় হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর