শিরোনাম
সোমবার, ৮ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্রিটিশ রাজা চার্লস

দৃঢ়তর হোক ঢাকা-লন্ডন সম্পর্ক

ব্রিটেনের নতুন রাজা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। দীর্ঘ ৭০ বছর পর জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রিটিশ রাজমুকুট পরানো হলো কারোর মস্তকে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর পরই সিংহাসনে বসেন রাজা চার্লস। শনিবার দৃষ্টিকাড়া আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে তিনি অধিষ্ঠিত হন নতুন রাজা হিসেবে। রাজ্যাভিষেকের এ অনুষ্ঠানটি ছিল মাত্র ৩ ঘণ্টার। কিন্তু তা সুসম্পন্ন করতে কয়েক মাসের দীর্ঘ প্রস্তুতি নেওয়া হয়। শনিবার ঠিক ১০টা ২০ মিনিটে শুরু হয় বাকিংহাম প্যালেস থেকে রাজা ও রানিকে নিয়ে সুসজ্জিত রাজকীয় শকট বহরের যাত্রা। ১০টা ৫৪ মিনিটে রাজা ও রানি পৌঁছান ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। ঘড়িতে ১১টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় রাজ্যাভিষেকের আনুষ্ঠানিকতা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ব্রিটেনের শীর্ষ ধর্মীয় গুরু আর্চ বিশপ অব ক্যান্টারবারি জাস্টিন ওয়েলবি। অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৩০০ অতিথি। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে। আর সারা পৃথিবীর ১০০ কোটিরও বেশি মানুষ দেখেছেন টিভিতে। শপথ গ্রহণে হাজার বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখা হয়। রাজা হিসেবে তৃতীয় চার্লসকে প্রথমে স্বীকৃতি দেন আর্চ বিশপ অব ক্যান্টারবারি। রাজা যখন করোনেশন চেয়ারের সামনে দাঁড়ান তখন এই ধর্মীয় গুরু বলে ওঠেন, গড সেভ দ্য কিং! একই সঙ্গে বাদ্য বেজে ওঠে। এরপর শুরু হয় শপথ গ্রহণ। শপথে রাজা তৃতীয় চার্লস চার্চ অব ইংল্যান্ড ও ব্রিটিশ আইন সমুন্নত রাখার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন। এরপর নতুন রাজাকে বসানো হয় সিংহাসনে। তাঁকে আচ্ছাদিত করা হয় সোনায় মোড়ানো কাপড় দিয়ে। ধর্মগুরু আর্চ বিশপ অব ক্যান্টারবারি পবিত্র তেল মাখিয়ে দেন রাজার হাতে। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয় রাজদন্ড ও রাজ গোলক। তিনি ব্রিটেনের রাজা হিসেবে অসীম সম্মানের অধিকারী হবেন। তেমনিভাবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ আরও কিছু দেশের রাজা বা রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মান পাবেন। রাজার নির্বাহী কোনো ক্ষমতা না থাকলেও তিনি মর্যাদার প্রতীক। এক সময় ব্রিটিশ শাসিত দেশগুলোর সংগঠন কমনওয়েলথেরও প্রধান তিনি। কমনওয়েলথের নতুন ব্রিটিশ রাজাকে অভিনন্দন ও শুভ কামনা। আমাদের বিশ্বাস, তাঁর শাসনামলে ঢাকা ও লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর