সোমবার, ৮ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী

কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা

সাহিত্যে এশিয়ায় প্রথম নোবেলজয়ী বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন আজ। বাঙালির বাতিঘর হিসেবে ভাবা হয় এই মহান কবিকে। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর সুবিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ। কবিগুরুর পূর্বপুরুষরা ছিলেন বাংলাদেশের খুলনার অধিবাসী। ঠাকুর পরিবারের জমিদারিও ছিল বাংলাদেশের ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া, নওগাঁর বিভিন্ন এলাকাজুড়ে। রবীন্দ্রনাথের গান ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হওয়ায় বাংলাদেশের আত্মার অবিভাজ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই কবিকে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ১১০ বছর আগে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। বাংলা সাহিত্যকে স্বদেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ব পরিসরে তুলে ধরার যে কৃতিত্ব তিনি দেখিয়েছেন তা অমরতার দাবিদার। ঔপনিবেশিক সেই যুগে নোবেল পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির মর্যাদা তিনি যে উচ্চতায় নিয়ে যান, তা ছিল হাজার বছরের অন্যতম সেরা অর্জন। আড়াই হাজার বছর আগেও পদ্মা-মেঘনা-যমুনা পাড়ের জনগোষ্ঠীর পরিচিতি ছিল আত্মপ্রত্যয়ী জাতি হিসেবে। বিদেশি শাসন ও বঞ্চনা বাঙালির পরিচয় নিষ্প্রভ করে তোলে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্যকর্ম দিয়ে বাঙালিকে বিশ্বজুড়ে পরিচিত করে তোলেন। কবিগুরুর নোবেল পুরস্কার বাঙালি জাতির মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে প্রায় ছয় দশক পর স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে তা স্বমহিমায় আত্মপ্রকাশ করে। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে বাঙালিকে অস্ত্র ধরতে শেখায় এ আত্মবিশ্বাস। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন মানবতাবাদের একনিষ্ঠ সাধক। বাঙালি মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠবে- এ স্বপ্নেরই ধারক ছিলেন তিনি। আজ আমরা যখন জাতি হিসেবে বিশ্ব পরিসরে জোর কদমে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি, তখন রবীন্দ্রনাথই হতে পারেন আমাদের আকাশছোঁয়ার প্রেরণা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর