শিরোনাম
সোমবার, ২২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা ডাকাত

রুখতে হবে এ আপদদের

এক সময় সারা দেশের গ্রামাঞ্চলজুড়ে ছিল সর্বহারা, নকশাল ও গণবাহিনীর দাপট। বলা হতো দিনের বেলায় পুলিশ-আনসার তথা সরকারি বাহিনীর তৎপরতা। আর রাতে চলে গোপন সংগঠনগুলোর অবাধ রাজত্ব। কালের বিবর্তনে দেশের কোথাও এখন গোপন রাজনৈতিক সংগঠনের সশস্ত্র অপরাধীদের তৎপরতা নেই বললেই চলে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সশস্ত্র অপরাধীদের অপতৎপরতা চালানোর সুযোগ নেই। গোপন দলের সংঘবদ্ধ অপরাধীরা দলে দলে সরকারের কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে। ফিরে এসেছে স্বাভাবিক জীবনে। ব্যতিক্রম দেশের টেকনাফ এলাকা। কক্সবাজারের এই উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলো এখন রোহিঙ্গা ডাকাতদের অভয়ারণ্য। তারা ওই এলাকার মালিক-মোক্তারে পরিণত হয়েছে। তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের মানুষ। টেকনাফের পুরান পল্লানপাড়া বাহারছড়া, জাহাজপুরা, হ্নীলা, রঙ্গীখালী ও হোয়াইক্যং এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় অনেক পাহাড়। পাহাড়ঘেঁষে রয়েছে অসংখ্য গ্রাম। গ্রামগুলোর মানুষ দিনের আলোয় চলাচল করলেও রাতে সবাই থাকে একসঙ্গে। কারণ পাহাড়ে আছে সশস্ত্র ১০ গ্রুপ। যারা অস্ত্রের মুখে মুক্তিপণের দাবিতে তুলে নিয়ে যায় সাধারণ মানুষকে। যারা মুক্তিপণ দিতে পারছে না, তাদের হত্যা করে ফেলে রাখে পাহাড়ের পাদদেশে। কারও লাশ অনেক সময় খুঁজে পাওয়া যায় না। গত ছয় মাসে এভাবেই ৬২ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন; যার অধিকাংশই মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নিজগৃহে ফিরেছেন। সশস্ত্র এ গ্রুপগুলো রোহিঙ্গা নামের কৃতঘ্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত। দুধকলা দিয়ে পোষা কালা সাপের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তারা। রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তের কারণে নৈসর্গিক সুন্দর টেকনাফের সবুজ পাহাড়গুলো এখন ভয়ংকর। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, রোহিঙ্গা বর্গিরা এলাকাবাসীর কাছ থেকে ট্যাক্সও আদায় করছে। আইনশৃঙ্খলা তথা দেশের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চালানো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গা নামের আপদ মুক্তির কথাও ভাবতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর