মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক

যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী

ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। বাংলাদেশের সুবন্ধু হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রেখেছে বিভিন্নভাবে। বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক রাজনীতির মূল্যায়নে দুই দেশের মধ্যে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিন্নমতের প্রকাশ ঘটলেও তা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কখনো অন্তরায় হয়ে ওঠেনি। করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে বিনামূল্যে হাজার হাজার কোটি টাকার টিকা সরবরাহ করে যে সহমর্মিতার পরিচয় দিয়েছে তা অনন্য। বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে। তাদের করণীয় নির্ধারণ এবং প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রেখেছে বন্ধু দেশটি। র‌্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করলেও তারা স্বীকার করেছে এলিট ফোর্সটি এখন আগের চেয়ে ভালোভাবে চলছে। রাজনৈতিক দুয়েকটি ইস্যুতে কথা-পাল্টা কথার ঘটনা থাকলেও দুই দেশই জানে বিশ্বশান্তির স্বার্থে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রকে একই পথে চলতে হবে। বাংলাদেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধকে বাংলাদেশ গুরুত্ব দিয়েছে সর্বোচ্চভাবে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যে বিস্তৃত ও গভীর সম্পর্ক বজায় রেখেছে তা আরও এগিয়ে নিতে চায়। একই অভিমত বাংলাদেশেরও। বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ সহযোগিতাকে স্বীকার করে বাংলাদেশ। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশের ঋণ প্রাপ্তির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক মনোভাব কাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র দুনিয়ার একমাত্র পরাশক্তি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মতপার্থক্য ছিল এবং থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কোনো মহলের প্ররোচনায় কেউ যাতে প্রলুব্ধ না হয় সে ব্যাপারে উভয় পক্ষকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, বন্ধু দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠকরণে এ দেশে বিনিয়োগ বাড়াতেও নেবে ইতিবাচক উদ্যোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর