বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ হোক

ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক গিলে খাচ্ছে মোট বিদ্যুতের এক বড় অংশ। দেশে এ মুহূর্তে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ১২ থেকে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট। ৪০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধ হলে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ ঘাটতির অবসান ঘটবে, তেমনি বন্ধ হবে হাজার হাজার কোটি টাকার বিদ্যুৎ চুরি। পরিবেশের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনছে ব্যাটারিচালিত যানবাহনগুলো। সেদিক থেকেও রেহাই মিলবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। এসব অবৈধ যানবাহন ব্যাটারির মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং সেই ব্যাটারি কয়েক ঘণ্টা পরপর চার্জ দিতে হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রতিটি রিকশা গ্যারেজেই নিষিদ্ধ এসব অটোবাইক ও রিকশার ব্যাটারির চার্জ দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ চার্জে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন। ফলে প্রতিদিন উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট গিলে খাচ্ছে এই ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার ইজিবাইক; যা মোট বিদ্যুতের এক চতুর্থাংশ। সাধারণত একটি ইজিবাইক চালানোর জন্য চার থেকে পাঁচটি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি প্রয়োজন। আর প্রতি সেট ব্যাটারি চার্জের জন্য গড়ে ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ ওয়াট হিসেবে ৫ থেকে ৬ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। সে হিসেবে ৩৯ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং তিন চাকার ইজিবাইক চার্জের জন্য জাতীয় গ্রিড থেকে প্রতিদিন ৩ হাজার ৫৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে। কিন্তু এর বেশির ভাগ বিদ্যুৎ গ্যারেজ মালিকরা অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন। রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের চলাচল নিষিদ্ধ হলেও পুলিশের একশ্রেণির অসৎ সদস্যের কল্যাণে প্রতিটি সড়কেই রয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য। মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয় সাধারণ মানুষের আইওয়াশ এবং পুলিশের মাসোহারা বৃদ্ধির জন্য। বিদ্যুৎ চুরি বন্ধে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধের কথা ভাবতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর