শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৩ আপডেট:

এক রাতের ব্যবধানে অসহায় শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা

নঈম নিজাম
প্রিন্ট ভার্সন
এক রাতের ব্যবধানে অসহায় শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা

বিদেশের মাটিতে বিশ্বদরবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার প্রতিবাদ তাঁর মেয়েরাই প্রথম শুরু করেছিলেন। দেশের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে কাদের সিদ্দিকীর সশস্র যুদ্ধ, ৩ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করা মিছিলের প্রেক্ষাপট ছিল আলাদা। সেসব বিষয় নিয়ে আরেকটা অধ্যায় লিখব। খালেদ মোশাররফের ক্ষমতা গ্রহণের দিন  মিছিল করা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা প্রতিবাদ শুরু করেন ইউরোপ ও ব্রিটেন থেকে। ভিতরের বুকভরা কষ্ট নিয়েই তাঁরা ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে নামেন। দিল্লি থেকে লন্ডন গিয়ে খোকা চাচার বাসায় উঠলেন শেখ রেহানা। বড় বোনকে রেখে আসেন দিল্লি।

স্টকহোমে ইউরোপের বাকশাল আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ছিল ১০ মে ১৯৭৯ সালে। ব্রিটেনসহ ইউরোপিয়ান দেশের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন। বিভিন্ন দেশের অনেক বিদেশি অংশ নেন। তারা শুনতে আসেন কী হয়েছিল বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সেই সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করা হয়। তারা আমন্ত্রণপত্র পাঠান শেখ হাসিনার কাছে। টেলিফোনও করেন। তিনি তখনো আওয়ামী লীগের সভাপতি হননি। কঠিন সময় অতিবাহিত করছিলেন দিল্লিতে। আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি হলেন দুঃসহ জীবন অতিবাহিতকারী বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে। দিল্লি থেকে ইউরোপ যাওয়ার বিষয়টি অত সহজ ছিল না। আর্থিক সংকটের পাশাপাশি সন্তানদের রেখে যাওয়াসহ অনেক ঝামেলা ছিল। শেখ হাসিনা লন্ডনে ফোন করেন ছোট বোন শেখ রেহানাকে। বললেন এই সম্মেলনে যোগ দিতে। ১৫ আগস্টের নিষ্ঠুর হত্যার কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে। শেখ রেহানা যোগ দিলেন সেই অনুষ্ঠানে। শুরুতে শেখ হাসিনার লিখিত বাণী তিনি পড়ে শোনান। আবেগঘন সেই বাণীতে শেখ হাসিনা বিশ্ববিবেকের কাছে প্রশ্ন তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা নিয়ে। তুলে ধরেছিলেন নিষ্ঠুরতার চিত্র। এরপর পিনপতন নীরবতায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। দুই চোখে অশ্রুর বন্যা নিয়ে তিনি জানান, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। রেহাই দেয়নি নারী ও শিশুদের। শিশু রাসেলের কথা তুলে ধরার সময় অনেকে ডুকরে কেঁদে ওঠেন। ঘটনা শুনে হতবাক হন বিদেশিরাও। শেখ রেহানা জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থাগুলোসহ বিশ্ব বিবেককে অনুরোধ করেন ভয়াবহ এই হত্যার তদন্ত করতে। নারী ও শিশুদের হত্যার বিচারের দাবি তুলতে।

জাতির পিতাকে হত্যার পর ৩ নভেম্বর রাজধানী ঢাকাতে একটি মিছিল বের হয়েছিল। সেই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন খালেদ মোশাররফের মা ও ভাই রাশেদ মোশাররফ। মিছিলটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ওঠে খালেদ মোশাররফের সেদিন ক্ষমতা গ্রহণের কারণে। অনেকে বলছিলেন, এই মিছিল ১০ দিন আগে অথবা ১০ দিন পরে কেন হয়নি? জাসদ তখন এই মিছিল নিয়ে লিফলেট ছড়াল। তারা শুরু করল ভারতবিরোধী প্রচারণা। গর্তে লুকিয়ে থাকা ’৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধীরাও বেরিয়ে এসে নানামুখী প্রচারণা শুরু করল। সেনাবাহিনীর ভিতরে লিফলেট বিতরণ করল জাসদের গণবাহিনীর তাহের সমর্থক সিপাহিরা। তারা খালেদকে ভারতীয় চর হিসেবে আখ্যায়িত করে লিপ্ত হলো মিথ্যাচারে। জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করতে মাঠে নামল কর্নেল তাহের ও জিয়া অনুসারী অফিসাররা। ক্যু করে সেনা প্রধানের দায়িত্ব নিলেও খালেদ মোশাররফ ক্ষমতা কীভাবে পরিচালিত হবে তার গাইড লাইন তৈরি করতে পারলেন না। নানামুখী ষড়যন্ত্র ও নিজের দূরদর্শিতার অভাব আর সিদ্ধান্তহীনতায় তার সব কিছু বানচাল হলো। এর মধ্যে কারাগারে চার জাতীয় নেতার হত্যাকান্ড দেশবাসীকে হতভম্ব করল। বঙ্গবন্ধু হত্যার শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই কারা অন্তরালে নিষ্ঠুরভাবে চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, কামারুজ্জামান ও মনসুর আলীকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শেষ ভয়াবহতা ছিল কারা হত্যা। খন্দকার মোশতাকের নির্দেশেই কারাগারের ফটক খুলে দেওয়া হয়েছিল।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে প্রতিরোধ যুদ্ধে বাংলাদেশের সাহসী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নাসিম ওসমান, দীপঙ্কর তালুকদার, সুলতান মুহাম্মদ মনসুর আহমেদ, শেখ মারুফ, মানু মজুমদার, বিশ্বজিৎ নন্দীসহ অনেকে। সবচেয়ে বেশি ছিলেন ময়মনসিংহের গারো উপজাতির সদস্যরা। কাদেরিয়া বাহিনী সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। তাঁর টার্গেট ছিল ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকা প্রবেশ। সারা দেশে তাঁর অনুসারী তৈরি হয় প্রতিবাদ ও আর প্রতিরোধ যুদ্ধে। কাদের সিদ্দিকী যোগাযোগ রক্ষা করতেন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়েকে বোন বলে তিনি সম্বোধন করতেন।

এদিকে শেখ রেহানা লন্ডন যাওয়ার পর দুই বোনের মধ্যে ফোনে কথা হতো। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন পিতার হত্যার বিচার তাঁরা করবেন। তাঁরা ধীরে ধীরে মানসিকভাবে শক্তি অর্জন করতে থাকেন। যারাই যেখানে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছিল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। প্রতিবাদকারীদের চিঠি দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উৎসাহিত করতেন। শেখ রেহানা লন্ডনে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, সুলতান শরিফ, সৈয়দ আশরাফসহ বিভিন্ন লেখক ও রাজনীতিবিদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতেন। ফোনে শেখ হাসিনা তাঁকে পরামর্শ দিতেন। লন্ডনে শেখ রেহানা সবার কাছে অনুরোধ করতেন বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে করা মিথ্যাচারের জবাব দিতে, লিখতে ও বলতে। তখন দেশ-বিদেশে মিডিয়াতে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলা লোক ছিল সীমিত। তার মাঝে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দুটি পত্রিকা মানুষের মাঝে সাড়া ফেলে। একটি সাপ্তাহিক খবর। আরেকটি মুক্তিবাণী। এই দুটি পত্রিকা আওয়ামী লীগের কর্মীদের মাঝে জনপ্রিয় ছিল। খবর সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান অনেক সভা-সমাবেশেও যোগ দিতেন। তখনকার সব মিডিয়াতে চীনাপন্থি বাম সাংবাদিকদের দাপট ছিল। তারা মিথ্যাচার করত মুজিব পরিবারের বিরুদ্ধে। কাল্পনিক সব গল্প ছড়াত।

দিল্লিতে ছয় বছর ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে ডিফেন্স কলোনিতে। তারপর পান্ডারা রোডের আরেকটি বাসায়। বাড়ির সামনে ছোট্ট একটা পার্ক ছিল। এই পার্কে মাঝে মাঝে তিনি হাঁটতে বের হতেন। কারও কাছে নিজেদের পরিচয় দিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিরাপত্তাজনিত কারণেই পরিচয় গোপন রাখা। শেখ হাসিনার নামের আগে যোগ হলো মিসেস তালুকদার। শেখ রেহানা মিস তালুকদার। আর ড. ওয়াজেদ আলী মিয়াকে বলা হতো মিস্টার তালুকদার। এভাবে নাম বদলে শেখ রেহানা মন খারাপ করতেন। তারপরও সেই সময়ে তাঁদের কিছুই করার ছিল না। একটা দমবন্ধ পরিবেশ। বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা জীবনেও ভাবেননি তাদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। ১৫ আগস্টের এক দিন আগে তাঁরা ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির মেয়ে। গর্ব ছিল তাঁদের পিতা একটি দেশের জাতির পিতা। মাত্র একটি রাতের ব্যবধানে সব কিছু বদলে যায়। সেই সময়ে তাঁদের জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শেখ হাসিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরও অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে থাকতে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি জার্মানি গেলেন। পুত্র-কন্যার পাশাপাশি সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন রেহানাও। যাওয়ার সময় বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেয়েদের জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন। এমনটা তিনি কখনো করেন না। তারপরও কেন সেই সময়ে কাঁদলেন সেই প্রশ্নের জবাব আজও দুই বোনের কাছে নেই। ১৩ আগস্ট ফোনে শেখ হাসিনা যখন কথা বলছিলেন, বেগম মুজিব আবারও কাঁদলেন। বললেন, তুই চলে আয়। তোর সঙ্গে অনেক কথা আছে। সেই কথা আর কোনো দিন বলা হলো না।

জার্মানি সফরই বাঁচিয়ে দেয় বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়েকে। প্রকৃতি বলে একটা কথা আছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের বাঁচিয়ে রেখেছেন মানুষের কল্যাণেই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে এখন লড়ছেন তাঁর বাবার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। গত ১৫ বছরে তিনি বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন। তারপরও তিনি ভুলতে পারছেন না সেসব কঠিন দুঃসহ দিনগুলোর কথা? এখনো সেসব দিনের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা বেদনায় নীল হন। অশ্রু বিসর্জন দেন। জার্মানি তখন দুভাবে বিভক্ত ছিল। পূর্ব ও পশ্চিম। ওয়াজেদ আলী মিয়াকে ঘিরেই বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের জার্মানি সফর।

৩০ জুলাই ১৯৭৫ সাল। পশ্চিম জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট বিমানবন্দরে পায়চারি করছেন ড. ওয়াজেদ আলী মিয়া। তিনি অপেক্ষা করছেন ঢাকা থেকে আসবেন স্ত্রী শেখ হাসিনা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। সঙ্গে আছেন বঙ্গবন্ধুর আরেক মেয়ে শেখ রেহানা। অনেকদিন সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নেই ওয়াজেদ মিয়ার। তিনি জার্মানিতে এসেছেন পড়তে। সেদিন বিমানবন্দরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব আমজাদুল হক। আমজাদুল হক তাঁকে জানালেন ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট আগে এসে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে যান। ততক্ষণে জার্মান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের রিসিভ করে নিয়ে এসেছেন ভিআইপি লাউঞ্জে। পিতাকে পেয়ে জয়-পুতুলের সময়টা ভালোই কাটছিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের এই সদস্যদের তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান ৯ আগস্ট। খাবার টেবিলে হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন প্রাণবন্ত। তাঁরা পরামর্শ দিলেন বাচ্চাদের নিয়ে প্যারিস ও ব্র্রাসেলস ঘুরে আসতে। মিসেস চৌধুরী বললেন, ওখানে গেলে ভালো লাগবে।

হুমায়ূন রশীদ ফোন করলেন বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত সানাউল হককে। জানালেন, ১২ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা ব্রাসেলস যাবেন। ব্রাসেলস থেকে ১৩ আগস্ট তাঁরা ঘুরে আসেন আমস্টারডাম। ১৪ আগস্ট রাষ্ট্রদূত সানাউল হক রাতের ডিনারে ব্যাপক আয়োজন করেন। ডিনার শেষ করে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, ওয়াজেদ আলী মিয়া, জয় ও পুতুলকে নিয়ে সবাই যান আরেকজন কূটনীতিক আনোয়ার শাহদাতের বাসায়। সেখানে গিয়ে দেখেন আনোয়ার শাহদাতের স্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ছোটবেলার বান্ধবী। অনেকক্ষণ আড্ডা দেন তাঁরা। স্মৃতিচারণা করেন পুরনো দিনের। হইচই করেন। হাসাহাসি করেন। রাতে ফেরার পথে গাড়িতে ওঠার সময় ড. ওয়াজেদ আলীর হাতের আঙুল পিষ্ট হয় দরজা লাগানোর সময়। শেখ হাসিনা এ দুর্ঘটনায় মন খারাপ করলেন। তিনি বললেন, আজ অনেক হাসাহাসি করেছি। না জানি কপালে কী আছে। তিনি গাড়ির দরজায় হাত পিষ্ট হওয়াকে কুলক্ষণ হিসেবে দেখলেন। বললেন, বেশি হাসলে কাঁদতে হয়।

রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের বাড়িতে পৌঁছে একটু রাত করেই ঘুমালেন সবাই। সিদ্ধান্ত ছিল সকালে প্যারিস যাবেন। তারপর আবার জার্মানি। ভোর সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রদূত সানাউল হকের ফোন বারবার বেজে ওঠে। ফোন করেছেন জার্মানি থেকে রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। তিনি জানান, বাংলাদেশে কিছু একটা ঘটেছে। প্যারিসে শেখ হাসিনা ও রেহানার যাওয়ার দরকার নেই। তাঁদের জার্মানি ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে তিনি অনুরোধ করেন। তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই। বেগম মুজিব ও রাসেল ছাড়া সবাইকে মনে হয় হত্যা করা হয়েছে। তিনি ওয়াজেদ আলী মিয়াকে ডেকে দিতে অনুরোধ করেন। খবরটা বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের না দিতে অনুরোধ করেন হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। কারণ এত বড় শোকের ধাক্কা বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা সইতে পারবেন না। এদিকে মুহূর্তে বদলে গেলেন রাষ্ট্রদূত সানাউল হক। তিনি বোঝার চেষ্টা করলেন বঙ্গবন্ধুর কী হয়েছে। যখন জানলেন বঙ্গবন্ধু নেই, তখন তিনি হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীকে বললেন, আপনি আমাকে বিপদে ফেললেন কেন? এক দিন আগেও তিনি আনন্দিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের তার বাড়িতে পেয়ে। তার আচরণে বিস্মিত হন হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন সানাউল হক। বঙ্গবন্ধুর আনুকূল্য না হলে তিনি রাষ্ট্রদূত হতে পারতেন না। হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী বুঝলেন, এক মুহূর্তও বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের সানাউল হকের বাড়িতে থাকা নিরাপদ নয়। তিনি একটি গাড়ি চাইলেন বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের জন্য। গাড়ি দিতেও সম্মত হলেন না সানাউল হক। পরে অর্ধেক পথ হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী গাড়ি পাঠান। বাকি অর্ধেক পথ অন্য একটি সাধারণ গাড়িতে আসেন বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা, জামাতা ও নাতি-নাতনি।

শোকে মুহ্যমান বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা বুঝতে পারেন ঢাকায় কিছু একটা হয়েছে। ওয়াজেদ আলী মিয়া সব খুলে বলছেন না। বঙ্গবন্ধু জীবিত না মৃত তাঁরা বুঝতে পারছিলেন না। একটা কিছু অনুমান করে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন। বেহুঁশ হয়ে যাচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। কান্নাকে ধারণ করেই জয়, পুতুলকে সামাল দিচ্ছিলেন শেখ রেহানা। জার্মানি আসার আগে তাঁর প্রতি মায়ের নির্দেশ ছিল জয়, পুতুলের পাশাপাশি হাসিনাকেও দেখে রাখবি। সময় কাটছিল না। অদ্ভুত এক পরিবেশ। কোনো মতে জার্মানি পৌঁছে তাঁরা দেখলেন ড. কামাল হোসেনকে। তিনি একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করে জার্মানি পৌঁছেছেন। জার্মান মিডিয়া এসেছিল হুমায়ূন রশীদ চৌধুরীর বাড়িতে। বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা কথা বলার মতো মানসিক অবস্থায় ছিলেন না। ড. কামাল হোসেনও কিছু বললেন না।

এই কঠিনতম সময়ে যুগোসøাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের খবর নেন। হুমায়ূন রশীদকে তিনি জানান, বাংলাদেশের জাতির পিতার নিষ্ঠুর হত্যার কথা শুনে তিনি ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের খবর নেন। একটা অনিশ্চিত জীবনের মুখোমুখি হন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে। শেখ হাসিনার কাছে মাত্র ১৬ ডলার ছাড়া কোনো অর্থ নেই। জীবনের এই কঠিন সময়ে বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের পাশে দাঁড়ান হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। এ সময়ে চৌধুরী পরিবারের আরেক সন্তান কায়সার রশীদ চৌধুরী সতর্ক করেন ভাইকে। হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী ভাইয়ের কথায় পাত্তা দেননি। তিনি তখন বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের আগামী নিয়ে চিন্তিত। জার্মানিতে তখন ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন ওয়াই কে পুরি। হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী যোগাযোগ করেন তার সঙ্গে। আলাপ করেন ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে। পুরি পরামর্শ দেন ইন্দিরা গান্ধীর পরামর্শদাতা ডি পি ধর এবং পি এন হাক্সের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। তাদের ফোনে ধরতে পারলেন না চৌধুরী। তারা ছিলেন দেশের বাইরে। তিনি আবার যোগাযোগ করেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে। এবার রাষ্ট্রদূত পরামর্শ দেন সরাসরি ইন্দিরা গান্ধীকে ফোন করতে।

একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে এভাবে ফোন করা ঠিক হবে কি না তা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছিলেন হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। শেষ পর্যন্ত দ্বিধা ঝেড়ে ফোন করেন মিসেস গান্ধীকে। তিনি ভেবেছিলেন ফোন ধরবেন অপারেটর। ভাগ্যক্রমে নিজেই ফোন ধরলেন ইন্দিরা গান্ধী। হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী নিজের পরিচয় দিয়ে বললেন, বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা জার্মানিতে তাঁর বাসায় আছেন। মিসেস গান্ধী জানতে চান তাঁরা কেমন আছে? সব কিছু ঠিক আছে তো? জবাবে হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী বলেন, সব ঠিক আছে, তবে দুই বোন ভেঙে পড়েছেন। তারা ঠিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। মিসেস গান্ধী তাদের দিল্লি পাঠানোর জন্য বললেন চৌধুরীকে।

১৯ আগস্ট দিল্লি থেকে নির্দেশ পান জার্মানিতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত। দ্রুত বঙ্গবন্ধুর মেয়েদের দিল্লি পাঠানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ আসে তার কাছে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গোপনীয়তার ভিতরে করার জন্য বলা হয়। আয়োজন চলতে থাকে। ড. ওয়াজেদ আলী মিয়াকে সব কিছু জানান হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী। একজন ভারতীয় কূটনীতিক আলাদা কথা বলেন ওয়াজেদ আলী মিয়ার সঙ্গে। হুমায়ূন রশীদ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন তাদের কাছে কোনো অর্থ নেই। তিনি ১ হাজার ফ্রাঙ্ক দেন ওয়াজেদ মিয়ার হাতে। তারপর বলেন, যখন যা লাগবে বলবেন। অত্যন্ত গোপনীয়তায় ২৪ আগস্ট এয়ার ইন্ডিয়াতে চড়ে দিল্লি পৌঁছেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।

ভারত সরকারের একজন যুগ্ম সচিব তাঁদের বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। অবশ্য বিমানবন্দরে নিয়মকানুন শেষ করতে একটু সময় বেশি লেগেছিল। টানা ভ্রমণ, বিমানবন্দরে অধিক সময় লাগাতে সবাই ভীষণ ক্লান্ত ছিলেন। এমনিতে গত ৯টা দিন তারা কীভাবে কাটিয়েছেন নিজেরাও জানেন না। গাড়িতে করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হয় ৫৬ রিং রোডের সেফ হাউসে। এরপর ডিফেন্স কলোনির একটি ছোট্ট বাসায়। তাঁদের বলা হয় ঘর থেকে বের না হতে। কারও সঙ্গে যোগাযোগ না করতে। নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা থাকার কারণেই সতর্ক ছিল ভারতীয় প্রশাসন। ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সাল। ভারতে অবস্থানের ১০ দিন পর সফদরজং রোডে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৫ আগস্ট কী হয়েছিল জানতে চান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে। ইন্দিরা গান্ধী কিছু বলার আগেই একজন কর্মকর্তা ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবারের কেউ জীবিত নেই। সব শুনে শেখ হাসিনা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি চিৎকার করে কেঁদে উঠতেই ইন্দিরা গান্ধী আসন ছেড়ে উঠে গিয়ে শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ধরেন। তারপর বলেন, তোমার যা ক্ষতি হয়েছে তা কোনো দিন পূরণ হবে না। তারপরও তোমাকে ধৈর্য ধরে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তোমার ছেলেমেয়ে আছে। তারাই তোমার বাবা-মা। এই সাক্ষাতের পর ইন্ডিয়া গেটের কাছে দিল্লির পান্ডারা পার্কের সি ব্লকে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হয়। এ ফ্ল্যাটটি ছিল তিন বেডরুমের। খবর শোনার জন্য দেওয়া হয় একটি সাদা-কালো টেলিভিশনও। ভারতে বঙ্গবন্ধুর মেয়েরা শরণার্থী হিসেবেই আশ্রয় পেয়েছিলেন। এক কঠিন দুঃসহ জীবন অতিবাহিত করছিলেন তাঁরা। ভারত সরকার ড. ওয়াজেদ আলী মিয়াকে পরমাণু শক্তি বিভাগে ফেলোশিপ প্রদান করে। ইন্দিরা গান্ধী ছাড়া এ সময়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়ান প্রণব মুখার্জি। তিনি অভিভাবকের মতোই ভূমিকা পালন করেন। দিল্লিতে ইন্দিরার সঙ্গে সাক্ষাতের এক দিনের স্মৃতিচারণা করেছেন শেখ হাসিনা আ ডটারস টেল তথ্যচিত্রে। তিনি বলেছেন, ‘সেই দিন উনি আমার মুখটা দেখে বললেন, তুমি...তুমি কিছু খেয়েছো? তুমি অমলেট খাবে? টোস্ট খাবে? চা খাবে? উনি উঠে গিয়ে অমলেট, টোস্ট আর চা নিয়ে এলেন। নিজে কাপে চা ঢেলে দিলেন। আমাকে বললেন, তুমি খাও। তোমার মুখটা একদম শুকনো। তুমি কিছু খাওনি। আসলে এই যে স্নেহটা, ভালোবাসাটা, ঘরোয়াভাবের যে ব্যবহারটা সত্যি কথা বলতে কী ওই সময়ে ওনার সামনে গিয়ে এটুকুই অনুভূতি হচ্ছিল- না, আমাদের জন্য কেউ আছে।’  জীবনের কোনো কোনো সময়ে কিছু মানুষের ছায়া, স্নেহ কখনো ভুলে থাকার নয়। শেখ রেহানা নিজেও একবার বলেছেন, ইন্দিরা গান্ধী, প্রণব মুখার্জি আর খোকা চাচা (বঙ্গবন্ধুর ফুফাতো ভাই) সেই সময়ে আমাদের আগলে রেখেছেন।

                লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
গ্রীষ্মের দাবদাহ
গ্রীষ্মের দাবদাহ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
নেক কাজের পুরস্কার দানে আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
চরিত্র গঠনের গুরুত্ব
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
মা সন্তানের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
মোটরসাইকেল
মোটরসাইকেল
হুমকিতে রপ্তানি খাত
হুমকিতে রপ্তানি খাত
বার্লিনের দেয়াল
বার্লিনের দেয়াল
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
বিজ্ঞানবিমুখ মুসলমানদের পথ দেখাবে কে?
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
ধান কাটা মৌসুমে শ্রমিকসংকট
আমার মা ও তাঁর সময়
আমার মা ও তাঁর সময়
সর্বশেষ খবর
আরাউহোকে বিক্রি করতে পারে বার্সা, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন
আরাউহোকে বিক্রি করতে পারে বার্সা, সৌদি ক্লাবগুলোর নজরে ফার্মিন

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

কৃষকের ৫ গরু চুরি
কৃষকের ৫ গরু চুরি

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা
পোশাক খাতের জন্য ৯ দফা অগ্রাধিকার ঘোষণা

৩ মিনিট আগে | বাণিজ্য

নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল
নাটোরে জামায়াতের আনন্দ মিছিল

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু
ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার, দেশে বিভক্তির কোনো সুযোগ থাকবে না : আমীর খসরু

৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক : ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য

৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাধুবাদ

১০ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু

১২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে নেত্রকোনায় মিষ্টি বিতরণ

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা
আঘাত হানতে পারে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন
বগুড়া ডিএসএ কাপ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে এ জেড স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন

১৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু
গাজায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৬৫ হাজার শিশু

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি
তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি : খুবি ভিসি

২১ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে
রিয়ালের বিপক্ষে আজও বার্সার বড় জয় দেখছেন এনরিকে

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

২৯ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল
ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলবে না : ডিআইজি রেজাউল

৩০ মিনিট আগে | নগর জীবন

রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার
রাজশাহীর হত্যা মামলার ৫ আসামি কক্সবাজারে গ্রেফতার

৩২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক
বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মাসিক বৈঠক

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
বগুড়ায় মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছোঁয়া ক্রীড়াঙ্গনেও লেগেছিল : আসিফ মাহমুদ

৩৯ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী
নির্বাচন নিয়ে সরকারের নীরবতায় জনগণের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে : রিজভী

৪৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম
সোনারগাঁয়ে জমি নিয়ে বিরোধে নারীকে পিটিয়ে জখম

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!
সিরি বিতর্কে সাড়ে ৯ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে অ্যাপল!

৫০ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪শ মেধাবী ছাত্রের মাঝে কোরআন বিতরণ

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ
জামিন মেলেনি সাবেক এমপি শামীমার, কারাগারে প্রেরণ

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
বসুন্ধরা শুভসংঘ নাটোর জেলা শাখার উদ্যোগে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

৫২ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন
ইমাম সমিতির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কমিটি গঠন

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম
নতুন সংবিধান না হলে নতুন বাংলাদেশ বলা যাবে না : নাহিদ ইসলাম

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য
বেরোবিতে উচ্ছ্বাস ছড়াচ্ছে পালাম ফুলের মনকাড়া সৌন্দর্য

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সর্বাধিক পঠিত
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ
সেনা ম্যাজিস্ট্রেসি বহালে কুচক্রের মাথায় বাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত
বিকাল ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, জানালো ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ভারত-পাকিস্তান : ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চট্টগ্রামে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’
‘বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে পাকিস্তানপন্থা বাদ দিতে হবে’

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের
সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তানি সেনারা, অভিযোগ ভারতের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প : রিপোর্ট

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের
পাকিস্তানকে প্রশংসায় ভাসিয়ে পাশে থাকার বার্তা চীনের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান
ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে আলোচনায় চীনা যুদ্ধবিমান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে
সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি, দাবি রিপোর্টে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ
জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার
সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত
পাকিস্তানের আকাশসীমা বিমান পরিষেবার জন্য উন্মুক্ত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল
বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে যা বললেন তামিম ইকবাল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধবিরতিকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক
যুদ্ধবিরতির পরও শ্রীনগরে বিস্ফোরণ, পেশোয়ারে ড্রোন আতঙ্ক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে ছাত্র-জনতার উল্লাস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ
বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে ঢাকা, জনজীবন দুর্বিষহ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও
যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন ডা. জোবাইদা ও শর্মিলা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত
যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত নিয়ে অনড় ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল
নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে অনেক সময় লাগবে : আসিফ নজরুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
চট্টগ্রামে বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া
এক যুগ পর স্বজনের বাসায় খালেদা জিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি
নাটকীয় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল
বিএনপির সমাবেশে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা
তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিশ্ব মা দিবস
আজ বিশ্ব মা দিবস

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা
কোকোর কবর জিয়ারত করলেন জুবাইদা শামিলা

নগর জীবন

রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা
রিয়া গোপ স্টেডিয়ামের বেহাল দশা

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ
বিএনপির বৈঠকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গ

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক
কক্সবাজার থেকে ১৮ রুটে মাদক ঢল, কাল বৈঠক

পেছনের পৃষ্ঠা

কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে
কেউ যেন ভোটের অধিকার কুক্ষিগত না করতে পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়
দল নিষিদ্ধ সমস্যার সমাধান নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন
শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলছে ৬০ জোড়া ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান
সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান

নগর জীবন

বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের
বিউটি ক্যাপসিকামে ঝোঁক কৃষকের

পেছনের পৃষ্ঠা

অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে
অস্থিরতা থামছে না শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র
মাকে নিয়ে সেরা যত চলচ্চিত্র

শোবিজ

যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়
যে দেশে ইমাম, স্পিকারকে পালাতে হয়

সম্পাদকীয়

মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ
মোদি-শেহবাজকে প্রধান উপদেষ্টার সাধুবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে
যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জন্মভূমিতে

মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ
চট্টগ্রামের গল্পে জিৎ

শোবিজ

সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল
সভাপতি সুমন, মহাসচিব টুটুল

শোবিজ

সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে
সহযোগিতার আশ্বাস জুলাই শহীদ পরিবারকে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি
সংগীতমাঝির অন্যলোকে পাড়ি

শোবিজ

বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য
বার্সা-রিয়াল লড়াইয়ে লা লিগার ভাগ্য

মাঠে ময়দানে

ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে
ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০ বাংলাদেশি আটক পশ্চিমবঙ্গে

পেছনের পৃষ্ঠা

এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা
এশিয়ার অর্থনীতিতে বিপর্যয় শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বৃত্তান্ত

রকমারি